যে উদ্দেশ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' প্রকাশ করতে শুরু করেছিলাম, এর কানাকড়ি উদ্দেশ্যও পূরণ হয়নি, প্রভাব তো পড়েই নি। উদ্দেশ্য কি ছিলো, প্রকাশ করার পূর্বে প্রাক ভূমিকায় যা লিখেছিলাম তার লিঙ্ক দিলাম। পড়ে দেখতে পারেন। দু পর্বে ভূমিকা লিখা আছে। এটাতে ক্লিক করলে এর পূর্বেরটা পাবেন।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইটি সম্বন্ধে কিছু কথা।

কিছু লিখে ফেলা যতো সহজ, কিছু টাইপ করা কিন্তু ততো সহজ নয়। তার উপর আবার এমন বড় মাপের একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী, তাঁর নিজের আত্মজীবনী টাইপ করে প্রকাশ করা চাট্টিখানি কথা নয়। দাড়ি, কমা, সেমিকোলন সব হুবহু রেখেই টাইপ করতে হয়।

২০১৫ সালের প্রথম শনিবার থেকে প্রকাশ করতে শুরু করেছিলাম। একটা সপ্তাহও মিস হয়নি। শেষের দিকে এসে ভুলক্রমে দু'এক শনিবার মিস হলেও রবিবার সকালেই পোষ্ট করা হয়ে গেছে। মনে হয় শেষের দিকে কিছুটা আগ্রহও হারিয়ে ফেলতেছিলাম। মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এ বছরের ডিসেম্বরে পর্ব ১০০ হলে প্রকাশ করা বন্ধ করে দেবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এবং অনেকটা কাকতালীয়ভাবেই গত দু'সপ্তাহে প্রকাশ করতে পারিনি। এর কারণ, সম্প্রতি চিকনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আমিও হঠাৎই আক্রান্ত হয়ে রীতিমতো শয্যাশায়ী। এতো বিপর্যস্ত ছিলাম যে, দেখে দেখে টাইপ করা আমার পক্ষে কিছুতেই সম্ভব ছিলো না। অথচ গত বছর এপ্রিলে মা মারা যাওয়াকালীন সময়েও পর্ব প্রকাশ বাদ পড়ে নি।

কাকতালীয় বললাম এজন্য যে, আজ ব্লগে ঢুকে সমাপ্তি ঘোষণা দিতে যাব, দেখি 'পর্ব-৭৫' ছিলো সর্বশেষ পোষ্ট!!! হাউ ইট পসিবল? কো-ইনসিডেন্ট?
যাহোক, ঘোষণা দিয়ে শুরু করেছিলাম বলেই আবার ঘোষণা দিয়েই শেষ করছি।

এদেশের মানুষ কখনোই বঙ্গবন্ধুর মতো দেশকে, দেশের মাটি-মানুষকে ভালোবাসতে পারবে না। '৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর এদেশের ঘাড়ে যে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা ভর করেছিলো, তা এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে দেশটাকে পাকিস্তানের অনুরূপ বাংলাস্তান বানিয়েই ছাড়বে। আমি অনেক দগ্ধ, ক্ষতবিক্ষত হই মানুষের মনোজগতের এমন রুপান্তর দেখে।

তবুও আশায় বুক বাধি, ভালো থাকুক বাংলা মা।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ