ছোটবেলায় পশ্চিমা উপন্যাসের প্রতি আমার খুব আগ্রহ ছিল। পরেছিও ইচ্ছেমতো, নসীম হিজাযী,এনায়েতুল্লাহ আলতামাশের,কাসীম বিন আবুবাক্বার,আরো অনেক নাম মনে না থাকা লেখকের। তারমধ্যে কিছু ঐতিহাসিক সিরিজও ছিল।

আজকে দ্বিতীয়বারের মতো গেলাম সেই পারস্য উপসাগরে। আগেও একদিন গিয়েছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি জানতামই না এটাই সেই পারস্য উপসাগর। এই সাগরের সাথেই যে মিশে আছে মুসলমানদের হাজারো বছরের পুরনো ইতিহাস।

আজকে একটু সেজেগুজেই গেলাম, কাইল্যা শরীরের সাথে  কাইল্যা চোশমা, মাথায় চুল না থাকুক মাশাল্লাহ শরীরে বালের কমতি ছিলোনা। সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত টাইপের প্রানির মত লাগছিলো নিজেকে। কিছুটা শরমও পাচ্ছিলাম কারন আমি সচরাচর ছবি তুলিনা। কিন্তু চতুর্পাশের প্রানীদের আল্লাহ মনেহয় শরম লজ্জা কম দিছে।

দেখলাম মানুষ কতটা নির্লজ্জ হতে পারে মেয়েরাও নামছে আমাদের সাথে। এবং এমন শর্টকাট জামা পরছে ভাগ্যিস আমার মতো ওদের সারা শরীরে চুল নাই, থাকলে গোনা যেতো সহজেই। বডিওয়াক্স করা গরীব ফিরিঙ্গি মেয়েগুলো, কেউ টিকটিক বানাচ্ছে, কেউ বালির উপর শুয়ে বালি গরম করছে আরো কত কাহিনি তা বলে শেষ করা যাবেনা।

সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছি এই এই মহাসাগর পারের বালু কমিটির বিধিনিষেধের উপর যেমন, মেয়েরা যেভাবে খুশি একরকম কাপড় না পরেই গরীব মানুষের মতো নামতে পারবে পানিতে।  কিন্তু, ছেলেরা অবশ্যই থ্রি-কোয়াটার পরে নামতে হবে। আপনি ফুল পেন্ট পরে নামতে পারবেন না, জাইঙা পইরা নামতে পারবেন না, লুঙ্গী তো অবশ্যই না।

আমার কলিগ সাদেক ভাই, ভেড়ার চামড়ার মত পবিত্র ছেলে। জীবনে কোনোদিন বিড়িছোরটের পাঁছা চেটে দেখে নাই, কিন্তু আজ হঠাৎ দেখলাম বালির উপর পাঁছা ফেলে সিগারেট টানছে। আস্তে আস্তে ধারে গিয়ে ফলো করে দেখলাম লেডিস সিগারেট, বুঝতে পারলাম পাশে বসা ফিরিঙ্গি মেয়েটার কাছ থেকে ধার করে নেওয়া। বুঝার আর বাকি রইলনা আমরা যারা সাদেক ভাইদের ভেড়ার চামড়ার মত পবিত্র ভাবি, আসলেই তারা ততটা পবিত্র না।

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ