সিটি বাস

মোস্তাফিজ আর রহমান ২০ মে ২০১৬, শুক্রবার, ০৩:৩০:৫১অপরাহ্ন এদেশ ৩৫ মন্তব্য

যান্ত্রীক জীবনটা আর ভাল্লাগেনা,
প্রতিদিনের সাধারন রুটিনটায় হয়ে গেছে যন্ত্রনাদায়ক।

আম্মুর ডাকাডাকিতেই ঘুম ভাংগে, প্রথম
ক্লাস ৮টায়, তাই যেভাবে হোক ৭টার ভিতর উঠে
ফ্রেশহয়ে রেডি হতে হয়।
আম্মু ঘুম থেকে না ডাকলে সেদিন আমার উঠা হয় ১২ টায়।
সেখানে ৭ টায় উঠা মানে আমার জন্য যে কি
তা শুধু আমিই যানি।

ইদানীং তো অভ্যাস হয়ে গেছে ওয়াসরুমে
দাড়িয়ে দাড়িয়ে ১৫ মিনিট ঘুমিয়ে নিই।
অনেকটা ঘোড়ার মতন, ঘোড়া কিন্তু দাড়িয়ে ঘুমায়। আমারো সেই অভ্যাসটা হয়ে গেছে।
হয়তোবা একেই ঘোড়া রোগ বলে।

ঘুম থেকে উঠে চোখ বুজেই ওয়াশরুমে
যাওয়ার সময় দুবার অন্তত পক্ষে দেওয়ালের
সাথে ধাক্কা খাই,,
ধাক্কা খেতে খেতে বাথরুমে গিয়ে আবার ঘুম।
এরপর দেরির কারনে আম্মার বকাবকি তো আছেই,,
তারপর বাথরুম থেকে বের হয়ে তাড়াতাড়ি
রেডি হয়ে দৌড় মারি ভার্সিটির দিকে।

শহরের সিটি সার্ভিস গুলোর অবস্থাতো সবাই যানেনই,
যখন কোন বাসের ভিতর ঢুকি, মনে হয় এটা
বাস না, জাস্ট একটা ইট ভাংগা মেশিন মানুষ ভাংগার
কাজে লাগানো হচ্ছে।
এদিক দিয়ে চিন্তা করলে, মেয়েরা ভালোই সুখে আছে।
রাস্তায় মেয়েদের যতটা সম্মান দেওয়া হয় ছেলেরা
তার নুন্যতম টুকুও পাইনা।
সিটি সার্ভিস গুলোতে মেয়েদের জন্য
আলাদা সিট রয়েছে, ছেলারা চাইলেই
সেখানে বসতে পারেনা।

একবার ক্লাস শেষে বাসায় আসছিলাম,
একটা বি,আর,টি,সি এর বাসে উঠে
কোনভাবে একটা সিট নিয়ে বসছিলাম।
আমি আসলে খেয়াল করিনাই উপরে মহিলা
সিট লিখা ছিলো।

ইসলামিয়া ইউনিভার্সিটির একটা মেয়ে বাসে
উঠার পর কন্টাক্টর আমাকে বল্লেন। "ভাই উঠেন
এটা মহিলা সিট"
কথাটা শুনে মাথাটা এত গরম হয়েছিলো
বোঝাতে পারবোনা।
মনে মনে ভাবছিলাম মেয়েরা যখন ছেলেদের সিটে বসে তখন তাদেরতো এভাবে উঠিয়ে দেওয়া হয়না। বরং তাদের খুব যত্ন সহকারে বসিয়ে রাখা হয়।
এটা মেয়েদের জন্য একটা এক্সট্রা সম্মান নয় কি??

যাইহোক, মেয়েদের সম্মান নিয়ে আমার
কোন অভিযোগ নাই, কারন ওরা এটা ডিজার্ভ করে।

শুধু বলবো, পুরুষের কাছে এতটা সম্মানিতো
হয়ে যদি পারেন একটু কৃতগ্যতা প্রকাশ
করবেন। এতে আপনাদের সম্মান আরো বাড়বে, বিন্দু পরিমানও কমবে না।

মনে হচ্ছে লিখার লাইনটা একটু ঘুরে গেছে।
আসলে টপিক খুজে পাচ্ছিনা।

হইসে কি! আজকে ভার্সিটি থেকে আসার সময়
বাসে উঠে সিট না পেয়ে দাড়িয়েছিলাম।
আমার একটু সামনেই একটা মেয়ে দাড়িয়ে
ছিলো, ওরে মনে হয় কেউ সম্মান (সিট)
দেয়নি।

তো বাস চলতে চলতে হঠাৎ হার্ড ব্রেক করাতে মুহুর্তেই মেয়েটার পায়ের হীল আমার পায়ের উপর অবস্থান নিলো।
ঐ মুহুর্তটাই তার দিকে অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকা
ছাড়া আমারআর কোন উপায় ছিলোনা।

মেয়েটা কয়েকবার সরি বলেছিলো, তবে
সরিতে তো আর হীলের গুতার ব্যাথা কমেনা।
আমি ইট্স ওকে বলে একটু নীরাপদ দুরত্ব
বজায় রেখে দাড়িয়ে রইলাম।

কি যানি! ড্রাইভার সাহেব এবার হয়তো
আরো জোরে ব্রেক মারতে পারে !!

# ধন্য হে নারী, তুমি সত্যিই ধন্য!

0 Shares

৩৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ