প্রিয় একটি গান "অন্ধকার ঘরে কাগজের টুকরো ছিড়ে কেটে যায় আমার সময়"
গানটা প্রিয় হবার কারন, এর কথা গুলো আমাদের জীবনে কিছু গল্পের সাথে ক্ষাপ খাইয়ে নিয়েছে।
গানটাও একটা গল্প,কিছু পরিত্যাক্ত অনুভুতি মিশে আছে গানটির প্রত্যেকটি কাথায়।
যখনই শুনি, নির্বাগ স্রোতা হয়ে যাই। আলো আর অন্ধকারের মধ্যে পার্থক্যটা হারিয়ে ফেলি।
অন্ধকার ঘরে কোনঠাসা নাগরীক আমি স্মৃতীর মোহে হাতড়ে ফিরি তার বিবর্ন হওয়া অবয়ব।
প্রত্যেকটি মানুষ বেঁচে থাকে যতদিন না মৃত্যু এসে তার দরজায় কড়া নাড়ে।
কিছু মানুষের গল্প একটু অন্যরকম। মৃত্যুর আগেই তাদের মৃত্যু হয়ে যায়। স্মৃতী আঙীনায় কারো পদধুলি মিশে থাকে শেষ সময়ব্দি।
আমি জানি,কিংবা সেও জানে স্মৃতী কতটা যন্ত্রনাদায়ক। এর চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয় নয় কি?
গানটাতে এই লাইনটায় অনেক বেশি আবেগের সাথে করুন একটা সুর মিশে আছে।
"আমার এ জগৎ বড় আগলে রাখে আমায়, তবু মাঝে মাঝে মনে হয় মৃত্যুই কি শ্রেয় নয়?"
চারপাশটা সত্যিই খুব যত্ন করে আমাদের আগলে রাখছে, মা বাবার ভালবাসা নিয়েই আমরা পথ চলতে শিখেছি।
বাইরের জগতে বন্ধু সম্পর্কটা অনেক নিবিড়।
একজন বন্ধুই পারে বিষন্নতা ভুলিয়ে সারাটাদিন হাসি আনন্দে মাতিয়ে রাখতে।
কিন্তু তারপরেও, অন্ধকার রাতটা তো বারবার ফিরে আসে। সারাদিনের হাসি, ঠাট্টা, আনন্দ সব ভিজে ভেজা কাক হয়ে যায়। অন্ধকার চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলাটা রীতিমত অভ্যাস হয়ে যায়। শহুরে ব্যাস্ততার অবসান হয়ে যায়, ব্যাস্ত মানুষ গুলোও ঘুমিয়ে পড়ে।
কিন্তু সেই অন্ধকার ঘরের মানুষটা জানালা দিয়ে রাস্তার ল্যাম্পোস্ট গুলোর দিকে বিষন্ন চোখে তাকিয়ে থাকে, চোখে ঘুমের বদলে থাকে একহ্রাস শুন্যতা। সে ঘুমোতে পারেনা।
অদ্ভুত মানুষ!!
সে অন্ধকারে থেকে অন্ধকারেই হারাতে চায়। বৃষ্টির ঝাপটা এসে ভিজিয়ে দেয়, তবু জানালার পাশ ঘেষে বসে থাকা আর সেই চোখের অবয়ব মনে করার শেষ চেষ্টা অন্য আবেশে নিয়ে যায়।
_প্রত্যেকটা মানুষের গল্পে কিছু খালি পাতা রয়ে যায়।সেই পাতাগুলোতেই একসময় তারা ভুলের অঙ্ক কষতে থাকে,কোন অবশেষ খুজে পায় না। তখনই মানুষ আফসোস করে " আমি এই ভুলগুলো কেন করেছি!" নিজের কাছেই এমন একটা প্রশ্ন ছুড়ে দেয়, কিন্তু কোন উত্তর থাকে না। ততদিনেই হয়ত অপর পাশের মানুষটি অন্ধকারে হারিয়ে যায়।
রবীন্ত্রনাথ ঠাগুর বলেছিলেন-"যে স্মৃতী স্মারকে আজ তুমি কাদায়েছো মোরে,সে স্মারকেই কাদিবে তুমি হারাবো যবে আধারে"
"অন্ধকার ঘরে" গানটার শেষ লাইনটা বড়ই মিথ্যেময়। সন্ধ্যায় আকাশে মেঘ ছিলো,মাঝ রাতে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দেবে বুঝতেই পারিনি।
রাস্তায় ল্যাম্পোস্টের আলোও নিভে গেছে।
এমন সময়ই গানটার শেষ লাইন শুনছি!
"একবার শুধু চোখ মেলো,দেখ আজ পথে জ্বালি আলো,তুমি আবার আসবে ফিরে,বিশ্বাসটুকু দু হাতে আকড়ে ধরে।"
১১টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বানান এতো ভুল!
মোস্তাফিজ আর রহমান
জি/ জী আপু/আপূ 🙁
আবু খায়ের আনিছ
বিভাগ শুধু একান্ত অনুভুতি ছাড়া কিছু হতে পারে বলে মনে হচ্ছে না।
আর একান্ত অনুভুতিগুলোতে লেখককে নিয়েই মন্তব্য করা হয়। আপনার পুর্বের পোষ্টে বিয়ে, সুখ সব দেখলাম এখন আবার বিরহ, দুঃখ। জটলা পাকিয়ে যাচ্ছে সব কিছু।
এত বাবান ভুল পড়া খুব কঠিন। দয়া করে এই বিষয়টা একটু খেয়াল করুন।
মোস্তাফিজ আর রহমান
আমার বানান ভুল দেখাতে গিয়ে নিজেই বানান ভুল করেছেন। বানান কে বাবান লিখেছেন!!
আবু খায়ের আনিছ
দুঃখিত, ওটা টাইপিং এরর ছিলো। আর মন্তব্য এডিটি করা যায় না এটা নিশ্চয় জানেন।
মোস্তাফিজ আর রহমান
ঠিক এমনটায়, আমারও টাইপিং
হয়। যতটুকু সময় নিয়ে লিখি তাতে আর সময় পাইনা এডিটিং এর জন্য।
মোস্তাফিজ আর রহমান
আপনি সম্ভবত ভুলে গেছেন, মানুষের জীবনটায় সুখ-দুঃখের সংমিশ্রন, সবই জটলা।
সুতরাং লিখার মধ্যে জটলা থাকতেই পারে।
আর কে কি মনে করলো এসব ভেবে আমি লিখিনা ভাই।
“ধন্যবাদ”
আবু খায়ের আনিছ
বাহ! সুন্দর।
আমি কিছু ভুলি নাই, দুঃখ, বিরহ কেন বলেছি সেটা আপনিই ভালো বুঝবেন।
ধন্যবাদ আপনাকেও, দুঃখিত যে আমি আপনার লেখা নিয়ে কিছু ভেবেছিলাম, আপনি নিজেই যদি ভাবতে না দেন তবে আমার দূরে থাকায় শ্রেয়।
জীবনে সুখ-দুঃখ দুটোই থাকবে। তবে সাময়ীক সুখের কথা চিন্তা করে চিরজীবনের জন্য দুঃখ ডেকে আনার অর্থ কি সেটা আমি বুঝতে পারি না।
শুভ কামনা, লিখুন সোনেলায় অনেক পাঠক আছে আপনার লেখা পড়ার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
মোস্তাফিজ আর রহমান
আনিছ ভাই মনে কিছু নিয়েননা, প্রত্যেকটি লিখায় আলোচনা, সমালোচনা থাকবে এটায় সাভাবিক। তাই বলে নিজেদের মধ্যে মনমালিন্য এটা বোধ হয় একটু অস্বাভাবিক।
মৌনতা রিতু
হুম, প্রতিটা মানুষের জীবনে খালি কিছু পাতা থাকে।
মৃত্যু আসার আগেও বার বার সে মরে জীবনের বাস্তবতায়।
বানানে খেয়াল রাখুন। ধন্যবাদ।
মোস্তাফিজ আর রহমান
হুমম ওটায়,, খেয়াল রাখি তাও হয়ে যায়।
ধন্যবাদ।