ছেঁড়া কাপড় পরা ,পেরেক বের হয়ে থাকা পিঁড়িতে বসা খুকখুক করে কাসি দেওয়া রুগ্ন মা আমার!
তুই আমাকে ভুলতেই পারিস না?
প্ল্যাটফর্মে কলার ছালের পাশে শুয়ে শুকনো পাউরুটি চোখের জলের সংগে ভিজিয়ে মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে খাইয়ে দিতিস !
আলুসিদ্ধ ডাল দিয়ে ভাত খাওয়াতে খাওয়াতে রাজপুত্তুরের গল্প শোনাতিস!
লোকের বাড়িতে কাজ সারাদিন করে সন্ধ্যাবেলা বাড়ি ফিরে কোলে নিয়ে খেলা করতিস
তোর ভিখারী দাঁত ফোকলা হাসির উদারতা বড়লোক মায়েরা কি বুঝবে?
পাশ কাটিয়ে মুখ ঢাকিয়ে চলা ধনী রমনীরা?
রোগের ভয়ে দূর দিয়ে হাঁটছে ?
ছোটলোক বলে কালো স্ট্যাম্প সেঁটে পায়ের উপর লাথি মেরে চোখ রাঙায় ?
মহিলা কামরার বগিতে ভিড়ের সময় ছোটলোক ,বড়লোক মায়েদের কাপড়, জামা, অন্তর্বাস ছেঁড়া ছেঁড়ির দৃশ্যে পটুতার প্রবৃত্তিতে
মার্কেট বিখ্যাত হলিউডি সিন হতে পারে?
মা তোকে আমার খুব মনে পড়ে!
কোন এক চাষীর বৌ হয়ে আমাকে পেটে ধরতিস!
দিনে ওরাতে তিনবার ভাত রান্না করে বাপের লাথি ,মারধর খেয়ে রাগ করে মা মেয়েতে ধানের মাচাতে ঘুমিয়ে পড়তাম!
জানিস মা ধানের সেঁদো গন্ধে আর তোর কাটা জায়গায় মলম লাগাতে লাগাতে ঠিক ঘুমিয়ে পড়তাম?
স্বপ্নেতে সারা কষ্ট দূর করে দিতাম ?
তুই কেন আমাকে জাগিয়ে দিলি?
ধর মা তুই কোন মাতালের বৌ!
দিন রাত মার খেয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতিস?
দুইহাতে জড়িয়ে তোকে আদর করতাম!
তবু তুই আমার কাছে থাকতিস?
পঙ্গু হয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতিস!
আমি তোর সব কাজ করে দিতাম মা!
মুখের হাসি দেখেই !
তুই নাকি মা?
জ্বরের সময় কেন ওষুধ খাওয়াতে আসিস না?
বিনাদোষে সবাই মারে বকে গালি দে কেন মা ?
আমার হয়ে কেন বলতে এলি না?
তোর পেটে জন্ম হওয়াটাই কি দোষের মা
বল মা ?
তোর কত টাকার দরকার ছিল !
চুড়ি ,ম্যাক আপ বক্স, শাড়ি‘ ‘বন্ধু ,গহনা সব কিনে দিতাম আমি মা!
আমার দুটো কিডনি বিক্রি করে!
ছেড়ে চলে গেলি কেন?
রক্ত দিয়ে গড়েছিলি ই যখন গলায় কলশী বেঁধে সাগরে ফেলে দিয়ে যেতে পারতিস?
কষ্ট কম হত আমার!
পরের জন্মে কোন
ভিখারী মায়ের আদরের মেয়ে হতাম!?
১৫টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
বহু কস্টের সম্পর্ক দিদি।
মাকে মনে পড়তেই হবে হক না সুখে বা দুখে।
অরুণিমা
ধণ্যবাদ
নূরু
কু-সন্তান যদিও হয়
কু-মাতা কখনো নয়।
সুতরাং মাকে মনে
করতেই হবে। মায়ের
পদতলে যে বেহেস্ত!!
অরুণিমা
ধণ্যবাদ।কুমাতা ও হ ্য় দাদা।
শুভ মালাকার
“ছেড়ে চলে গেলি কেন?”
না, “মা” এখনো আছেন-পাশেই আছেন, ছেড়ে চলে যাননি! আর যদি চলেই যেতেন-ই তাহলে আপনি, আপনার “মাকে” এত গভির ভাবে অন্তরের-অন্তস্থল থেকে স্মরন করতে পারতেন না। আপনি কি জানেন হাজার-হাজার সন্তানকে তাদের “মায়ের” কথা স্মরন করিয়ে দিয়েছেন?
শুধুমাত্র সেই দিন-ই জানবেন একজন “মা” এক “সন্তানকে” ছেড়ে চলে গেছেন। যেই দিন ঐ সন্তানের, তার মায়ের কথা মনে পড়বেনা ঠিক, তখনই তার “মা” তাকে ছেড়ে চলে যাবেন।
এরকম উপস্থাপনায়, “মাকে” অবশ্যই মনে পড়তে হবে আর সেটাও হৃদয়ের অন্তস্থল থেকেই।
শুভ কামনা রইল। ভাল থাকবেন -{@
অরুণিমা
ধণ্যবাদ দাদা
আবু খায়ের আনিছ
দিদি আপনার বলা প্রতিটি কথা, ঘটনা নিজের চোখে দেখেছি, উপলব্দি করেছি, বুঝেছি কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি কিছু বলতে পারিনি। নির্বাক চোখে চেয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করতে পারিনি।
অরুণিমা
ধণ্যবাদ দাদা
অনিকেত নন্দিনী
মায়েরা সবই করতে পারে, তাইনা দিদি?
মা তো মাই।
শুভকামনা রইলো দিদি। -{@
অরুণিমা
তোমাকেও দি।
জিসান শা ইকরাম
মা, জগতের সেরা সম্মোধন
মা এর প্রতি রাগ রাখা ঠিক না
শুধু জন্ম দিয়েছেন, এ কারণেই মাতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হবে না।
ভালো লিখেছেন
শুভ কামনা।
অরুণিমা
ধণ্যবাদ দাদা
তানজির খান
মাকে খুব মনে পড়ে এই কনক্রিটের নগরে………
অরুণিমা
খুব মিস করি।হম ্ভালো লাগল। ্
নীলাঞ্জনা নীলা
‘মা’।
দিদি এমন একজনকে নিয়ে লিখেছেন, বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠে। বাতাসে মায়ের আঁচলের ঘ্রাণ পাচ্ছি যেনো।