ঝরাপাতা – ৪

সোনেলা রোদ্দুর ৬ নভেম্বর ২০১২, মঙ্গলবার, ১১:৩১:২০পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, বিবিধ ২০ মন্তব্য

অরিত্র,

গতকাল কাজ শেষে আমরা তিনজন বন্ধু চুটিয়ে আড্ডা দিয়েছি। আমাদের বিখ্যাত মামার হোটেলে জন প্রতি ২৫ টাকার লাঞ্চ শেষ করে গিয়েছিলাম এক সবুজের রাজ্যে। ওহ তুমি ভাবছ ২৫ টাকায় আমি কী খেলাম! আসলে মামার হোটেলে গিয়ে আমরা বলে দেই আমাদের ২৫ টাকার লাঞ্চ করাতে। তখন উনারা ইচ্ছে মতন আমাদের খাওয়ান। কালকের মেনুতে ছিল একটা মাছ ভর্তা,(আমি জানি যে কোন ভর্তাই তোমার খুব প্রিয়। ভর্তা ভাতে তোমাকে মিস করি খুব) মুগের ডাল, পালং শাক, সবজি আর মসুরের ডাল। লাঞ্চ শেষে সবুজের রাজ্যে যখন পৌঁছাই ঘড়িতে তখন দুপুর আড়াইটা। মেঘলা আকাশ, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি, ঠান্ডা দমকা বাতাস, সব মিলিয়ে কেমন একটা মন খারাপ করা প্রকৃতি। আমরা তিনজন একটা পুকুর পাড়ে বসেছিলাম ঘন্টাখানেক। পুকুরটা কচুরিপানা, পদ্ম আর শাপলা পাতায় কানায় কানায় ভরা ছিল। জানো অরিত্র আমার মাঝে মাঝে প্রকৃতির দিকে তাকালে মনে হয় ঈশ্বরের প্রিয় রং বুঝি সবুজ। প্রকৃতির সবুজের এত বিচিত্রতা আমাকে বিস্ময়ে হতবাক করে দেয়। একটা সবুজের সাথে আরেকটা সবুজের কত পার্থক্য অথচ সবগুলোই সবুজ। এখন আমি তোমাকে যেখানটায় বসে লিখছি সেখান থেকেও অনেক রকমের সবুজ দেখতে পাচ্ছি। তালপাতার সবুজ, কদম পাতার সবুজ, কলাপাতার সবুজ, আমপাতার সবুজ, দুর্বঘাসের সবুজ!!!

সবুজ নিয়ে লিখতে লিখতে জেমসের একটা গানের লাইন মনে পরে গেল :
"সবুজের কাছ থেকে সমাঝোতা ছিড়ে এসেছিল ঝড়, শাখা প্রশাখার সাথে ঝড়ে গেছে অবুঝ পাতা!"
নাহ, পরের লাইনগুলো আর মনে পরছেনা।
যা গিয়েছি ভুলে তা আর মনে করার কষ্ট নাইবা করি। তার চেয়ে এখন আমি একটু কাজে মন দেই।

0 Shares

২০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ