অস্থির সময়ের পাজর ছুঁয়ে
নেমে এসেছে নিঃস্তব্ধ নিকষ কালো বিত্রস্ত অন্ধকার।
মশান গ্রাস করেছে সুশোভিত চন্দ্রকে।
অতল আঁধারের স্নেহাশিসে সুযোগ সন্ধানীরা জন্ম দিচ্ছে যত পাপাচার।
ক্রমাগত দিয়েই চলেছে এক একেকটি পাপের জন্ম।
নতুন মোড়কে নতুন নামে।
যেন এটাই চিরন্তন এবং কাঙ্ক্ষিত।
হায় বিধাতা!
আর কত পাপ হলে পাপের কলস হবে পূর্ণ।
না হোক পূর্ণ পাপের ঘড়া,
আর নয় নিয়তির উপর দায়ভার চাপাবার খেলা।
অনেক তো হলো
আর অন্যায় সইবার সময় বা সুযোগ কোথায়?
এবার তবে হোক প্রতিবাদ।
হে দলিত,
তোমায় আজ অনুরোধ নয় আদেশ করছি।
হও প্রতিবাদী,
হও রণরঙ্গিনী দূর্বার।
হও দুরন্ত,উত্তাল ।
অন্যায় গোপন করার অভ্যাস করো পরিত্যাগ।
আর নয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি।
আর নয় মায়ামমতা প্রদর্শন পূর্বক দয়া ভিক্ষা।
পচনশীল সমাজে রন্ধ্রে রন্ধ্রে হতে
তীব্র উচ্চারণে উচ্চারিত হোক তোমাদের সুতীব্র প্রতিবাদ।
প্রতিধ্বনিত হোক সেই আওয়াজ
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া অবধি গগনবিদারী ধ্বনিতে।
অসাম্প্রদায়িক ঐক্যের পতাকাতলে।
এখন গ্রহণকাল।
ঠুনকো অজুহাতে তোমায় ছোবল মারতে পারে
নিষ্ঠুর হায়েনার দল।
ছলে বলে নানা কূট কৌশলে।
তাই বলে ভয় পেলে চলবেনা কিছুতেই।
জেনে রেখো,
যদি লক্ষ্য থাকে অটুট তবে দেখা হবে বিজয়ে।
দুষ্টের দুর্জনের ছলনার অভাব হয় না।
তারা বহুরূপী।
মনে রেখো,
তারা রৌদ্রজ্জ্বল পবিত্র আলোকিকত দিনেও
অস্থির রকমের নির্লজ্জ বেহায়া অসংযত ।
অপরিনামদর্শী।
তারা ধর্মান্ধ, তারা কুসংস্কারচ্ছন্ন।
তারা ক্ষমতার দম্ভে দাম্ভিক ,
তারা কু রিপুর তাড়নায় বিকারগ্রস্ত।
তারা নিষ্ঠুরতার, নির্মমতার একনিষ্ঠ পূজারী।
তারা একেকজন সাক্ষাৎ রাবনের প্রেতাত্মা।
মানুষরূপী এইসব অবাঞ্ছিত কীটের তান্ডব নৃত্য,
আজ চতুর্পাশে।
পথ ঘাট মাঠ প্রান্তর লোকালয় স্কুল, পার্ক খেলার মাঠ।
কোথায় নেই তাদের অশুভ বিচরণ?
সমাজে প্রতিটি কোন আজ বিষাক্ত নর্দমার কীটে পরিপূর্ণ।
তারা লালায়িত, তারা লোভাতুর, তারা কামার্ত
তারা নৃশংস এবং তারা নির্মম।
তাদের বিষ নিঃশ্বাসে আজ আকাশ বাতাস সর্বত্র পরিপূর্ণ।
এই সমাজ আজ অসহায় নিশ্চল ।
দায়িত্বের অবহেলা জনিত কারণে
আজ সর্বত্র নানা বেশে নানা রূপে বহুমুখী অসুরের উত্থান।
ওই অসুরদের।
ওই নরকের কীটদের।
ওই নরপিশাচদের।
কোন মা নেই _
কোন বোন নেই_
তাই বুঝি
নারী মাত্র তাদের দৃষ্টিতে শুধু দমন পীড়নের সামগ্রী।
কাম লালসার পান পাত্র।
ওরা জন্মায়নি কোন মায়ের জঠরে।
ওরা যে ইবলিশের হাতে গড়া জারজ আত্মা।
আর কত বার দেয়ালে ঠেকলে পিঠ
ঘুম ভাঙবে?
জাগো জাগো মাগো
জাগো বোনেরা।
এসো সামিল হও প্রতিবাদ মিছিলে।
তৈরি হও বিবেকবোধ,মূল্যবোধহীন সমাজের
সমস্ত অব্যবস্হাপনা গুলোকে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়ার যুদ্ধের জন্য।
এসো পুরানো নিয়ম জাল ছিড়ে, নতুনের প্রয়োজনে।
এই সব ইবলিশের প্রেতাত্মা নিধনে।
© রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
ফুটনোট - বিত্রস্ত -অতিশয় ভীত।
মশান-অপরাধীদের বধ্যভূমি।
১২টি মন্তব্য
সুপায়ন বড়ুয়া
অনেক দিন পড়ে এলেন প্রতিবাদি কবিতা নিয়ে।
সমাজের পচন তুলে ধরে।
“তারা ধর্মান্ধ, তারা কুসংস্কারচ্ছন্ন।
তারা ক্ষমতার দম্ভে দাম্ভিক ,
তারা কু রিপুর তাড়নায় বিকারগ্রস্ত।
তারা নিষ্ঠুরতার, নির্মমতার একনিষ্ঠ পূজারী।
তারা একেকজন সাক্ষাৎ রাবনের প্রেতাত্মা।
মানুষরূপী এইসব অবাঞ্ছিত কীটের তান্ডব নৃত্য,
আজ চতুর্পাশে।”
বিবেক হোক জাগ্রত। দেখব ওদের ধ্বংষ।
ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।
ইসিয়াক
চমৎকার মন্তব্যে ভালো লাগা জানবেন প্রিয় দাদা।
নিরন্তর শুভকামনা রইলো।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
অনেক অনেক ভালো লাগলো। অনেক দিন পর আপনার এমন বলিষ্ঠ , প্রতিবাদী লেখা পড়ে শিহরিত হলাম ভাইয়া। এখন আর সময় নেই চুপ করে থাকার, ক্ষমা করার। এসব নোংরা হাত এখনই ভেঙে ফেলতে হবে, উপড়ে ফেলতে হবে এসব হায়েনাদের সমূলে । ভালো থাকবেন সবসময় শুভ কামনা অহর্নিশি
ইসিয়াক
আপনার মন্তব্য মানেই অনুপ্রেরণা। হ্যাঁ অনেকদিন বাদেই এলাম। আসলে ভীষণ ব্যস্ততা যাচ্ছে।শুভকামনা রইলো।
ফয়জুল মহী
হে দলিত,
তোমায় আজ অনুরোধ নয় আদেশ করছি।
হও প্রতিবাদী,
হও রণরঙ্গিনী দূর্বার।
হও দুরন্ত,উত্তাল ।
অন্যায় গোপন করার অভ্যাস করো পরিত্যাগ।
আর নয় ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি।
আর নয় মায়ামমতা প্রদর্শন পূর্বক দয়া ভিক্ষা।
ইসিয়াক
পাশে থাকার জন্য কৃতজ্ঞতা রইলো মহী ভাই।
আরজু মুক্তা
সবাইকে এক কাতারে আসতে হবে। লাইন আস্তে আস্তে দীর্ঘ হবে। হাত ছাড়া যাবে না।
হোক তবে প্রতিবাদ।
ইসিয়াক
হোক তবে প্রতিবাদ।
হালিম নজরুল
আর অন্যায় সইবার সময় বা সুযোগ কোথায়?
এবার তবে হোক প্রতিবাদ।
ইসিয়াক
হ্যাঁ ভাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সত্যের জয় হবেই। শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
হোক প্রতিবাদ ।আমরাও দাঁড়িয়ে পড়ি সারিবদ্ধভাবে সে মিছিলে।
শুভ কামনা।
ইসিয়াক
ধন্যবাদ আপু শুভকামনা রইলো।