শেষ বিকেলের গোধূলি আলোয়...
হেমন্তের তারুণ্য খুঁজে ফিরি দূর আকাশের নীল চাঁদোয়ায়,
এ আমার পোড়ামাটির শহরে।
এখানে কোজাগরী চাঁদ মোহময় করেনা হেমন্তের রাত।
এখানে লক্ষ্মী এসে নামে না কৃষকের ধানের ক্ষেতে।
নতুন ধানের উৎসবে নবান্নের আনন্দে মাতে না কেউ।
সূর্যালোক হ'তে একবিন্দু কিরণ,
সবুজ দূর্বাঘাসে শিশিরে হাসেনা মুক্তো ছড়িয়ে।
দূর থেকে কোনো ফুলের সুবাস বিমোহিত করেনা মন,
পদ্মফুল নূপুর হয়ে ছন্দে নাচে অচিন গাঁয়ে।
এখানে জ্যোৎস্না সহিত নীল আকাশ বিরহে কাঁদে।
ধুলোমাখা পথ সবুজ ঘাসের আল্পনায় নিজেকে শোভিত করেনা কখনো।
শহুরে কাক ভুলেই গেছে...
কোনো এক হেমন্তের রাতে আমাদের লক্ষ্মী দেবী মুখের অন্ন দিতে চলে আসে ফসলের মাঠে,
এখানে নীল আকাশ জানালার ফাঁক দিয়ে লুকোচুরি খেলে চলে যায়...
আমার শহুরে জীবনে!
এখানে হেমন্তে আসেনা
কাশ ফুলের ডানায় ভর করে,
শিউলি ফোটা স্নিগ্ধ সকালে...
শিশির হয়ে ঘাসেদের ছুঁয়ে দিতে।
৩০টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভিন
নগরের যান্ত্রিক জীবনে হেমন্ত আসে না! এলেও হয়তো আন্দোলিত করে না হৃদয় । স্পর্শে শিহরিত করে না তনু মন।
সুন্দর প্রকাশ
শিরিন হক
ধন্যবাদ প্রিয়।
বন্যা লিপি
নাগরিক জীবনে হেমন্তের সুবাস লাপাত্তা। এ যেন হেমন্তের হাহাকার। শব্দের দোলায় মনে করা কখনো কেমন করে হেমন্ত উপভোগ করতাম। ভালো লিখেছো মিতা।
শিরিন হক
সুন্দর মন্তব্যে খুশি হলাম। সত্যি কোথায় হেমন্ত
ছাইরাছ হেলাল
চাপা পড়া নগর জীবনে হাঁসফাঁস হেমন্ত আপনার লেখায়
সুন্দর করেই উঠে এসেছে।
শিরিন হক
ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
শহুরে জীবনের সাথে জন্ম-মৃত্যু বাধা, তাই হেমন্ত-বসন্ত চিনেছি শহরের মত করেই। এখানে কাশফুল পেয়েছি, পেয়েছে কোজাগরী চাঁদ, হয়তো অনেকটা নয়, তবে দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হইনি। যতটুকু পাই তাতেই কৃতজ্ঞতা এই জীবনের কাছে। না পাওয়ার হতাশার চাইতে কিছু পাওয়া ঢের ভালো। 🙂
ভালো লাগলো হেমন্ত বন্দনা।
শুভ কামনা 🌹🌹
শিরিন হক
ভালোই বলেছেন। ধন্যবাদ
তৌহিদ
হেমন্ত নিয়ে মাতামাতি এখন আর নেই। যান্ত্রিক জীবনে সবাই ব্যস্ত, ভুলে গিয়েছে দেশে হেমন্ত বলেও কিছু আছে।
লেখা ভালো লেগেছে আপু। হেমন্ত বন্দনায় লেখা দেবার জন্য ধন্যবাদ।
শিরিন হক
ভালোলাগল যেনে ভালোলাগল। ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
নাগরিক জীবনে হেমন্তের আগমন বুঝা যায়না আপু, চমৎকার অনুভাবী হেমন্ত বন্ধনা।
শিরিন হক
চিরো কৃতজ্ঞতা জনাব।
ইঞ্জা
জনাব নয় আপু, ভাই আমি। 😊
আরজু মুক্তা
নাগরিক জীবনে বিষণ্ন কবি!
শিরিন হক
কবি বলে কেনো লজ্জায় ফেলছেন।দু’চার লাইন লিখে কবিতা লেখা যায় তবে কবি হওয়া যায়না।
প্রদীপ চক্রবর্তী
হেমন্ত আসুক আপনার আপন নীড়ে।
হেমন্ত আসুক সবার প্রাণে প্রাণে।
.
চমৎকার হেমন্ত বন্দনা দিদি।
শিরিন হক
আসবেনা ১০০ ভাগ গেরান্টি দিলাম।এখানে কখোনো হেমন্ত আসবেনা চারপাশের দেয়াল আষাঢ়ে বৃস্টির দেখাই দেয়না আবার হেমন্ত?
মোঃ মজিবর রহমান
এই শব্দময় ছন্দ হীন শহরে হেমন্তের ঘ্রান আসেনা, পোছাইনা মানুষের অন্তিরে হেমন্তের মায়াজাল। তাই চল গ্রামে নীলাকাশে নয় সাদা মেঘের ভেলায় পুর্নিমা রাতে চাদ আর জোস্নার খেলা দেখা যাবে।
মাঠের ধানের গন্ধ মন জুড়াবে। হৃদয়ে দেবে দোলা।
রেখে গেলাম ভাললাগা।
শিরিন হক
মাঝে মাঝে যাই গ্রামের সোদা গন্ধে মন ভরে তুলতে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
জিসান শা ইকরাম
আহারে! কেবল মাত্র শহরে থাকার জন্য লেখার বর্ণনায় হেমন্তের কত কিছু অদেখা থেকে যায়,
পোড়ামাটির শহরে না থাকলেই লেখাটি অন্য রকম হতো,
না দেখা হেমন্ত তখন হতো দৃশ্যমান।
লেখা ভালো হয়েছে খুব।
এমন লেখা নিয়ে এতদিন ডুব দিয়ে ছিলেন!
শুভ কামনা।
শিরিন হক
সত্যি হেমন্তের রুপ অতুলনীয়। দেখেছি আমি এখন কেবলি অতীত।
ধন্যবাদ সুন্দর করে উৎসাহ প্রদানের যন্য
মোঃ মজিবর রহমান
হেমন্ত দেখতে হলে উৎসব করতে হলে গ্রামেই যেতে হবে। ভাইয়া।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা মজিবর ভাই, গ্রামেই হেমন্তের আসল রুপ দেখা যায়।
মোঃ মজিবর রহমান
কেমন আছেন ভাইজান।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
তাহলে হেমন্তও কি পক্ষপাতিত্ব করে?
না না এ মেনে নেয়া যায় না!
হেমন্তকে হতে হবে সার্বজনীন। তাকে যেতে হবে সবখানে, যেখানে মানবকুল আছে।
লেখা ভালো ছিলো।
শিরিন হক
হম এইজন্য হরতাল ডাকুন। মিছিল মিটং করুন। রাস্তার মধ্যখানে একটা শিউলি চাড়া পুতে দিন। প্রতিটি ছাঁদে ধান ক্ষেতের চাষ করুন।বেলকুনিতে ঘাসেদের আমন্ত্রণ জানান।
পোড়া মাটির শহরে হেমন্তের আসতেই হবে।
রেহানা বীথি
সত্যিই শহরের যান্ত্রিকতায় আমরা হারিয়ে ফেলেছি সেই মিষ্টি মধুরতা। সুন্দর লিখলেন। হেমন্তের শুভেচ্ছা।
শিরিন হক
ধন্যবাদ আপু যা অনুভব করি তাই লিখি।
সাখিয়ারা আক্তার তন্নী
হেমন্ত কালে আমার শুধু ঘুম আসে,
আম্মা বলে তুই তো ঘুমাইতে, ঘুমাইতে ক্লান্ত হয়ে যাবি।
আপু এমন ভাবে হেমন্ত কে লিখার মধ্য সাজিয়ে তুলবেন না।
আমার ঘুম পায়।
আপনার জন্য শুভ কামনা
শিরিন হক
ভোরহোল দোর খোলো খুকু মনি ওঠোরে।