সোনাদিয়া দ্বীপ ভ্রমণ -৩

কামাল উদ্দিন ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার, ০৮:৩৮:২০অপরাহ্ন ভ্রমণ ২৮ মন্তব্য

“সোনাদিয়া” কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৭ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামেও পরিচিতি এবং এ দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য অন্যতম পর্যটন স্থান। তবে সরকার ইদানিং সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্র বন্দর সহ বড় বড় প্রকল্পের পরিকল্পনা করছে, যা এখানকার জীব বৈচিত্রের জন্য হুমকী স্বরূপ।

সোনাদিয়া দ্বীপে পর্যটকদের থাকার জন্য কোনো আবাসিক হোটেল নেই। খাওয়ারও তেমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় লোকজনকে টাকা দিলে তারা খাওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে। আর সোনাদিয়া দ্বীপে রাত্রি যাপনের ক্ষেত্রেও ভরসা সেই স্থানীয় বাসিন্দারাই। তবে তাবু করেও ওখানে থাকা যায়, সেক্ষেত্রে স্থানীয়দের পাহাড়ার ব্যবস্থাটা অবশ্যই বাঞ্চনীয়।

সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত। পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া। দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন। পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। কিছু মানুষ ইঞ্জিন চালিত নৌকা ও কাঠের সাধারন নৌকা এবং উহা চালানোর সহকারী হিসাবে কাজ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিস পত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়।

এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে।


(২) জঙ্গলের ভেতর থেকে শিশুরা মাথায় করে জ্বালানী নিয়া আসছে।


(৩) একটা ঘুঘু পাখি বসে আছে যেন ক্যামেরায় পোজ দেওয়ার জন্যই।


(৪/৫) ছোট ছোট জাল নিয়ে অল্প পানিতে চিংড়ি পোনা আহরণ করছে শিশুরা।


(৬/৭) কিছু ঘরের সামনের ডিজাইন এমনই রাজপ্রাসাদ ষ্টাইল।


(৮) একটা সুইচোরা পাখি।


(৯) নাম না জানা এই পাখিটা জলাভুমিতে খাবার খুঁজছিল।


(১০) তবে পরিকল্পিত পরিবারের সংখ্যা ওখানে নেই বললেই চলে।


(১১/১২) ঝাউ বনের ভেতরের এই মিষ্টি পানির আধারগুলো দেখতে কিন্তু বেশ!


(১৩) একমাত্র সাইক্লোন সেন্টারটি পূর্ব পাড়ায় অবস্থিত, পশ্চিম পাড়া হইতে যার দূরত্ব প্রায় তিন কিলোমিটার।


(১৪) সোনাদিয়া সুন্দরী........


(১৫) সোনাদিয়ার শিশু।


(১৬) কাকড়াটা পালাতে না পেরে রাগে দাঁত কিরমির করে ক্যামেরায় পোজ দিল।


(১৭) সাগরলতায় বেষ্টিত এই বালিয়ারির ঢিবিগুলো দেখতে খুবই অসাধারণ ছিল।


(১৮) বিদ্যুৎ না থাকায় জেনারেটরই ভরসা।


(১৯) দ্বিতীয় রাতের ভোজটা ভালো হবে মনে হচ্ছে।


(২০) ভাবছেন গ্লাসের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তুলছি? মোটেও না, এটাই সেই সোনাদিয়া বীচ।

0 Shares

২৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ