আপনি প্রথমে ছোট একটি টং দোকান হতে গ্যাসলাইট সহ সিগারেট আর হাকিমপুরী জর্দ্দা দিয়ে একটা পান নিবেন। মনে রাখবেন পান নেয়ার সময় জর্দ্দাটা যেন হাকিমপুরী হয়। তবে সিগারেটের সাথে বেশ জমবে! তারপর, আপনার পছন্দের সিগারেট আর পানটা হাতে নিয়ে পায়ে হেঁটে খোলা মাঠ বিস্তীর্ণ আকাশের নিচে যাবেন! গাছের গোঁড়া কিংবা কুটির কোণে হেলান দিয়ে পা দুটি সোজা করে তামিল নায়েকের মত বসবেন। তারপর আপনার নরম তুলতুলে হাত দিয়ে পকেট থেকে সিগারেটটা বের করে ডান হাতে নিবেন। খুব সুন্দর করে তর্জনী আর মিডল ফিঙ্গারের ফাঁকা জায়গায় সিগারেটটা ঢুকাবেন। তারপর আস্তে করে মুখের সামনে নিয়ে সোজা করে মৃদু ঠোঁটের মধ্যখানে সিগারেটের পিছন দিকটা গুঁজে দিবেন!
তারপর গ্যাসলাইটটা হাতে নিয়ে চট করে আগুন ধরিয়ে ধীরে ধীরে সুখ টান সহিত সিগারেটের মাথায় আগুন লাগাবেন! আস্তে আস্তে পিছন দিকটা টেনে টেনে আগুন কুন্ডলিটাকে উপর দিকে তুলবেন। এমন ভাবে টান দিবেন যাতে করে এক টানেই প্রথম অবস্থায় অনেকখানি সিগারেট ক্ষয় হয়। তারপর মুখভরতি ধোঁয়াগুলো মাথা উপর করে চকচকা অাকাশের দিকে উড়িয়ে দিবেন। আকাশে গিয়ে ধোঁয়াগুলো লুটুপুটি খেয়ে উড়ে যাবে।।
প্রথম টানে ধোঁয়াগুলো মুখ দিয়ে বের করবেন। দ্বিতীয় টানে নাক দিয়ে। তারপর অল্প একটু ধোঁয়া মুখের ভেতর রেখে পরমূহুর্তে গিলে নিবেন! এতে করে পায়খানা ক্লিয়ার হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সিগারেট খাবেন। এতে করে আপনার মাথা বফর হয়ে যাবে। রাগ, তেজ সব নিভে আসবে। তারপর যা করবেন, পুরো সিগারেটটা মজা করে খাবেন! বারীক সিদ্দিকের ছ্যাখ্যা খাওরা গানটা চালু করে হালকা ভলিয়ম কমিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে পুরো গানটা শোনবেন। এভাবে সিগারেট খেলে আপনি পুরোপুরি সিগারেটের স্বাদটা গ্রহণ করতে পারবেন। তারপর ভালো করে পানটা চিবাতে চিবাতে রাস্তার পাশে আরাম করে বসে মুতে দিয়ে চলে আসবেন!
এই রকম হাজারো নিয়ম জানতে আমাকে ফলো করুন। পড়া শেষ হলে হাহাহা দিয়ে সিগারেট খাওয়ার অনুভূতিগুলো কমেন্ট বক্সে জমা করুন।
বিঃদ্রঃএটা একটি ফান পোষ্ট। মূলত ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান মৃত্যু ঘটায়!
১০টি মন্তব্য
তৌহিদ
মাছুম, পারলে মহেশখালীর পান নিয়ে কখনো লিখতো ভাই। ধুমপান এড়িয়ে যাওয়াই উত্তম। সিগ্রেট ছাড়ার জন্য এখন পর্যন্ত একশত একবার ট্রাই করেছি। আবারো করবো।☺
শিরিন হক
সিগারেট খাওয়ার কৌতুহলে রান্নাঘরের পেছনে বসে পাঠকাঠিতে আগুন জালিয়ে টান দিয়ে দেখা । রান্না ঘরের চালে সেই আগুন ধরিয়ে দেয়া। বাকিটা ইতিহাস।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে এ লাইনে দারুণ ওস্তাদ মনে হচ্চে, স্টেপ গুলো ঠিকঠাক মেলাতে পেরেছেন।
কে বলে ধুম পান ক্ষতিকর!! তাহলে পৃথিবী ব্যাপি প্রচার প্রসার হচ্ছে কী করে!!
যাক, আপনি টিপস চালিয়ে যান।
শিরিন হক
জি জনাব আগুন ধরানোটা শিখে গেছি। সংসার জিবনে এর সঠিক ব্যাবহার করতে পারছি।
শিরিন হক
সেই অভিজ্ঞাতর আলোকে আমার ঘর এখন ধুমপান মুক্ত ঘর।কিছু ওস্তাদি জীনের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।
মনির হোসেন মমি
হা হা হা
নতুন ধুমপায়ীদের সম্পর্কে কিছুই বললেন না
বললেন কেবল খোরদের কথা।
চালিয়ে যান আপনার গবেষনা।
মোঃ মজিবর রহমান
না, এবার মনে হই সিগারেট খাওয়া ধরা যায়। কি বলেন মাছুম ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আপনাকেই খুঁজছে দেশ,
ফলো তো করতেই হবে 🙂
সাবিনা ইয়াসমিন
এই পোস্ট দেখে যদি কেউ ধুমপানে আগ্রহী হয়ে উঠে তখন কি করবেন? এখানে শিরোনাম ১ লিখে রাখুন। কারন পরেরবার সিগারেট কিভাবে ছাড়তে হবে এই ব্যাপারে আপনাকেই বিস্তারিত লিখতে হবে।
দুনিয়ায় এতকিছু থাকতে এটা নিয়েই লিখলেন!!
সুরাইয়া পারভিন
হা হা হা
বড্ড অসহ্যের হলেও মজা পেয়েছি কিন্তু। সিগারেট সুখ টানেই উৎসাহিত না করে এর ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জানালে ভালো হতো না!