নামেই একটা কিছু, যেন শাঁখেরকরাত, যেতেও কাটে, আসতেও কাটে, আজকাল ঢাকা শহরে কোথাও সিএনজিতে যেতে হবে শুনলেই আৎকে উঠতে হয়, যেন যম দেখেছি।
এই ভাই যাবেন?
কই যাইবেন?
উত্তরা।
৫০০ ট্যাহা।
মাথা ঘুরে উঠলো, যেন পৃথিবী ঘুরছে, ধাতস্থ হয়ে বললাম, ভাই মিটারে তো ১৮০/২০০ টাকা হয়, ৫০০ চান কেন?
ওই ব্যাটার মুখে রা নেই, ম্যাচের কাঠি দিয়ে শুধুই দাঁত খোঁচায়, ইচ্ছে করে ঠাটিয়ে চড় মারি।
বেশিরভাগ সময় তো গন্তব্য স্থানের নাম শুনেই বলে দেয় যাবেনা, কেন যাবেনা, তার কোন উত্তর নেই,মরণাপন্ন রুগী হলেও নেবেনা, কারণ সেই যেন রাস্তার রাজা।
এহেন সিএনজির বয়স শেষ হতে চলেছে, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পনের বছর বয়স হলে সিএনজির টাইম শেষ, এই গাড়ী আর মেট্রোপলিটন এলাকায় চালানো যাবেনা, কারণ এই সিএনজির বয়স যত বাড়ে, ততই পলিউশন করে, জন স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর।
এরোই সরকার ভাই, এই গাড়ীর মালিক আর ড্রাইভার তো আরো ডেঞ্জারাস, এরা মানুষকে হার্ট এটাক দেয়, কারেন্টের শক দেয় বিনা বিদ্যুতে, বুক ধড়ফড় করায়, মাথা ব্যাথা বাড়িয়ে দেয়, এরা প্রতি বছর সরকার ও জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন করে, এরা জঙ্গিদের চাইতে কম ডেঞ্জারাস না।
জঙ্গিদের তো আপনারা বিচারের আওতায় আনতে পারবেন, ক্রসফায়ার করতে পারবেন কিন্তু সিএনজি ওয়ালাদের, উঁহু সম্ভব না।
সুতরাং দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই সংঘবদ্ধ চক্রকে রুখে দেওয়ার এখনই সময়, এদের সময় না বাড়িয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের গাড়ী বাজেয়াপ্ত করে ফেলুন, দরকার হলে উবার, গ্রেবকার, পাঠাও, এইসব সফটওয়্যার ব্যবহৃত গাড়ীর ব্যাপক প্রচলন শুরু করুন, এতে শুধু জনগণ নয়, সরকারও উপকৃত হবে।।
২২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
” সরকারের নিয়ম অনুযায়ী পনের বছর বয়স হলে সিএনজির টাইম শেষ, এই গাড়ী আর মেট্রোপলিটন এলাকায় চালানো যাবেনা। ”
হা হা হা , হাসালেন ভাই। কে দেখবে কোন সিএনজির বয়স কত? তারা যদি ঠিক মত দেখতোই তবে সিএনজি মিটার ছাড়া চলতে পারে? নিয়মে আছে, আপনি খালি সিএনজি দেখে হাত তুলবেন, সিএনজি ড্রাইভার প্রশ্ন করবেনা আপনি কই যাবেন। আপনি সিটে বসে বলবেন গন্তব্যের কথা। সিএনজি বা ট্যাক্সি ক্যাব যেতে বাধ্য। পালন করা হয় না কেন এই নিয়ম? এরাই তো দেখবে সিএনজির বয়স।
অসহ্য লাগে সিএনজির অত্যাচার।
বর্তমানে আমি উবারে চলি, এটিতেও কিছু সমস্যা লক্ষ করছি ইদানিং।
ইঞ্জা
ভাইজান এই অতিষ্ঠ হওয়ার কারণে সিএনজি থেকে নিস্তার চাই।
উবার ড্রাইভার কিছু সমস্যা করেই, বুঝেননা এরাই তো একসময় সিএনজির ড্রাইভারই ছিলো।
নীলাঞ্জনা নীলা
সিএনজি চড়তে আমি খুব ভয় পাই। দেশে গিয়ে দুইবার সিএনজি চড়েছি, তাও বাধ্য হয়ে।
বাংলাদেশে আইন প্রণয়ন হয়, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়না।
তাই ভাইয়া নিশ্চিন্তে থাকুন সিএনজি যথানিয়মে চলতেই থাকবে। বরং তাদের দৌরাত্ম্য আরোও বৃদ্ধি পাবে।
আমাদের পুলিশ মামুরা আছেনা? সিএনজি না থাকলে তাদের পকেট ভরবে কীভাবে? 😀
ইঞ্জা
আপু উদাহরণও আছে, সরকারই পুরানো বেবি ট্যাক্সি মেট্রোপলিটন থেকে উঠিয়ে দিয়েছিলো, সরকারের উচিত ভালো একটা পলিসি করা।
নীলাঞ্জনা নীলা
দেখা যাক কী হয়!
ইঞ্জা
জি আপু, এখন অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
মোঃ মজিবর রহমান
কি কইতাম কউনের ভাষা নাই। এদের দেখার কেউ নায় এরাই রাস্তার রাজা ঠিক কইছেন।
জিসান ভাইয়ার সাথে একমত। কে দেখবে????????
ইঞ্জা
সরকারেরই উদাহরণ আছে পুরানো বেবিট্যাক্সি উঠিয়ে দেওয়ার, এখন উচিত ভালো একটা পলিসি।
মোঃ মজিবর রহমান
কোন একমন্ত্রি একদা করেছে তাই বারবার হবে এই দেশে ভাবা কস্টকর। তবে আশায় বুক বেধে রই।
ইঞ্জা
জি ভাই, আশাই বুক বেধেছি
রেজওয়ান
আসলেই এরা রাস্তার রাজা মনে করে নিজেদের :@
ইঞ্জা
এদের উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আসলেই সি এন জি ওলাদের নিয়ে আমরা বেশ ভোগান্তিতে পড়ি আবার মেজাজ তখনি খারাপ হয় ওমক জায়গায় যাবো ওমক জায়গায় যাবো না।তখন মনে হয় দেই একটা বেটারে। -{@
ইঞ্জা
এখন সরকার চাইলেই এদের শিক্ষা দিতে পারে।
মৌনতা রিতু
সুন্দর একটি পোষ্ট। সি এন জি তাও তো একটু সহনশীল ভাইজু। কিন্তুু ভটভটি তো আরো ভয়ঙ্কর। ঢাকাতে সি এন জিগুলোর ড্রাইভাররা তো মাস্তান। একবার মেমন সোনা ছোটো, বাচ্চাটা আমার অসুস্থ একটা সি এন জি দাঁড় করালাম কিন্তুু সে যাবে না। অনুরোধ করলাম বচ্চাটা অসুস্থ। তাও শুনছিলো না। উনি তখন ধানমন্ডিতে ছিলেন। আর যাবে কোথায়! ও বলল, চল তুই কোথায় যাবি সেখানে যাবো। আমাকে ফোন করে অফিসের গাড়িতে পেডিহোপ ক্লিনিকে পাঠিয়ে দিলো। সি এন জি আলা তখনও বোঝেনি, উল্টা বলছে, চল তোকে সি এনজি স্টানে নিয়ে মজা দেখাবো। পরে ঐ সি এন জি সহ ড্রাইভার থানাতে। সত্যিই এরা রোডের মাস্তান। আবার ভালোও আছে। তবে সংখ্যায় তা কম।
ইঞ্জা
আপু, এদের মাস্তানি চরম সীমা অতিক্রম করেছে, এদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার, আপনার মতো বিচার কয়জনে পায় বলুন, এখন সরকারের উচিত এদের বন্ধ করে দেওয়া।
নিতাই বাবু
দাদা আপনার সিএনজি বিষয়ক লেখনী খুবই গুরুত্ববহন করে। আমাদের দেশে সময় অসময় আইন সংশোধন করা হত ঠিক, কিন্তু বাস্তবায়নের বেলায় জিরে পয়েন্ট।
এদের রুখবে যে? এদের এহেন আচরণ ও একগুঁয়েমিতেও কেউ প্রতিবাদ করে না। বরং সবাই তাকিয়ে দেখে। এ বিষয়ে সড়কমন্ত্রীর একটু নজর দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।
ধন্যবাদ দাদা, লেখাটা ভালো লেগেছে।এমন আরও লিখুন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ দাদা, আসলে দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষই এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে, এদের থেকে নিষ্কৃতি কবে পাবো জানিনা।
শুন্য শুন্যালয়
এরা এতোবেশি ডেঞ্জারাজ, কারন মানুষ তাদের হাতে জিম্মি। ঢাকা শহরের এই এতো নিরুপায় মানুষদের অলটারনেটিভ পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি না করা পর্যন্ত এদের এই হিংস্রতা বন্ধ হবেনা। এ কাজে জনগন নয় বরং সবার আগে সরকারকে দৃষ্টি দিতে হবে।
বাসের সংখ্যা কমিয়ে যদি প্রত্যেক পনেরো মিনিট অন্তর বাস ছাড়বার ব্যবস্থা করতো, এই যানজট সমস্যা ও সিএনজির উপর নির্ভরশীলতা কমতো। ভালো পোস্ট ভাইয়া।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ প্রিয় আপু।
শাওন এরিক
ঢাকার বাইরে গেলে হয়ত নিরুপায় হয়ে সি. এন. জি তে উঠি (রাস্তা অচেনা হলে) । কিন্তু ঢাকায় ৫০০ হাতে দূরে! অবশ্য তারা নিজে থেকেও আমার থেকে ৫০০ হাত দূরে থাকে, দাম হাঁকাহাঁকির ধরণ দেখে! :p
ইঞ্জা
এরা প্রচন্ড ফাজিল আর ডাকাত ধরণের, দিনেদুপুরেই এরা ডাকাতি করে।