সম্মতি

মৃত্তিকা কায়া ৬ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার, ১১:৪৮:১০অপরাহ্ন গল্প ২৭ মন্তব্য
এই গল্পের প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক, ইহার সহিত বাস্তবের কোন সম্পৃক্ততা নাই। যদি কাহারো সহিত এই গল্প মিলিয়া যায় তবে তাহা সম্পূর্ণ কাকতালীয় ব্যাপার। ইহার জন্যে লেখিকা কোনরূপ দায়বদ্ধ নয়।
অতঃপর তিনি কহিলেন, যদি আজ রাত্তিরে শয়নের পূর্বে তোমার শ্রী মুখখানি দেখিতে না পাই তবে এই আমার মাথার দিব্বি রই্ল এই নিদ্রাই হইবে আমার চির নিদ্রা।
বিনম্রভাবে কহিলাম, আপনি ডিরেক্টর, কতবড় মানুষ, এসব আপনাকে শোভা পায়? খানিকটা অভিমান মিশ্রিত কন্ঠে আমাকে কহিলেন, সে আমি যাই হই আমার অধীন:স্ত কর্মচারীদের জন্য। তোমার জন্যে আমি কেবলই তোমার প্রেমিক, তোমার পাণী প্রার্থী, তোমার পূজা অর্চনাকারী পুরোহিত। আমি জানি,আমার সহিত ঘর বাধিতে তোমার ভীষণ ভয়। তবুও জেনো, তারপরও আমি তোমার জন্যে প্রাণ দিতে প্রস্তুত আর ইহাই আমার ভালবাসা। একদিন বুঝিবে নিশ্চিত। আমি সলজ্জে কহিলাম প্রিয়, তরিৎ প্রবাহে ব্যঘাত ঘটার দরুন যদি দূরালাপনিটি ব্যবহার না করিতে পারি এবং তাহাতে যদি স্কাইপি পরিচালিত না হইতে পারে ইহা কি আমার দোষ? তাই যদি হয় তবে আপনি আমায় সাজা দিন। আপনি তো জানিবেন নিশ্চয়ই ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখিয়া ভয় পায়। আপনার সহিত ঘর বাধিতে আমার কোন দ্বিধা নাই আছে কেবল সেই ঘর ভাঙিবার ভয়।যদি আপন করিয়া লইবার পর আপনি পর হইয়া যান সেই ভয়। এই আমি প্রতিজ্ঞা করিলাম, আজ রাত্তিরে আমি ঘুমাইব না এবং যেই মুহূর্তে দূরালাপনিটি পরিচালনা করা যাইবে ঠিক সেই মুহূর্তে আপনারে আমার একখানি হাসিমাখা মুখের ছবি তুলিয়া পাঠাইয়া দিব। যাতে আপনি প্রত্তুষে ঘুম থেকে উঠিয়া সর্বপ্রথম আমায় দেখিতে পান এবং তারপর কার্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইতে পারেন।
ছোট্ট একটি হাসি দিয়া তিনি কহিলেন, তথাস্তু।
0 Shares

২৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ লেখা

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ