সওদা

গোধূলি ২৯ জুন ২০১৫, সোমবার, ১১:৩৯:৪৬অপরাহ্ন গল্প ৫০ মন্তব্য

704924_575954869094187_721674895_o

“Mirror Mirror on the wall,
Who is the fairest of them all?”
শুনতে পেল আরশী। পাশের বাসার পিচ্চি মেয়েটা টিভিরুমে এসেছে। বসে “Snow White” দেখছে সে। আরশী খাতা দেখছে। স্কুলে জয়েন করেছে দু’তিন বছর। শিশুদের সংসর্গই ভালো লাগে ওর। টার্ম ড্রয়িং পরীক্ষার বিষয় ছিল “সুন্দর দিন”। এক এক জন এক একরকম ছবি একেছে। একজন এঁকেছে খোলামাঠে ঘুড়ি উড়াচ্ছে একটি ছেলে। আরেকজন এঁকেছে চকোলেটের ডিব্বা, চকলেটের নামও লিখেছে ‘Dairy Milk’, ‘Park’, ‘Sneakers’। দেখে হাসি পেল আরশীর। কিছুক্ষণবাদে সেই পিচ্চি মেয়েটা এল। ওর নাম ক্যান্ডি। ক্যান্ডির বয়স তিন। ক্যান্ডি এসে বসল আরশীর পাশে। আরশী ক্যান্ডির গাল টিপে দিল। ক্যান্ডি বলল, “আন্টি, তুমি Snow White দেখেছো?”
“হুম দেখেছি”
“Snow White আসলেই সবচেয়ে সুন্দরী?”
“হুম”
“আন্টি, কে বেশি সুন্দর Snow White না Repunzel?”
“উম, দুজনেই সুন্দর”
“কে বেশি সুন্দর?”
“ক্যান্ডি সবচেয়ে সুন্দর”বলে ক্যান্ডির গাল টিপে দিল।
ক্যান্ডি খিলখিল করে হাসল। বলল, “কিন্তু আমি তো বরফের মত সাদা না, আমি তো কালো”
“তাতে কি হয়েছে? You’re the fairest of them all”
ক্যান্ডি আবারো খিলখিল করে হাসল। বলল, “আন্টি, তুমিও খুব সুন্দর”
“তাই?”
“হুম”
আরশী ব্যাগ থেকে কিছু ক্যান্ডি বের করে ক্যান্ডিকে দিয়ে বলল, “ক্যান্ডিস ফর ক্যান্ডি ফ্রম ‘ক্যান্ডিআন্টি’”। ক্যান্ডি আরশীর গালে জিহ্বা দিয়ে চাঁটা দিল। ক্যান্ডিকে যখনই বলা হয় “আন্টিকে চুমু দাও” বা “ওকে চুমু দাও”, সে চাঁটা দেয়।
আরশীর ফোন বেজে উঠলো। লাবণী ওপাশ থেকে বলল, “হ্যালো, আরশী, কেমন আছিস?”
“ভালো”
“এতদিন পর আমাকে মনে পড়ল। শেষ কবে ফোন দিয়েছিস মনে আছে?”

 

গল্পের বাকী অংশ পড়তে চলে আসুন বইমেলায়, সংগ্রহ করুন “অনুভূতি গেছে অভিসারে”।

10365540_767969023226103_2021878564615353342_o

0 Shares

৫০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ