লন্ডনে তারেক রহমান..

আলমগীর হোসাইন ৪ মার্চ ২০১৫, বুধবার, ১০:৪৫:২৮পূর্বাহ্ন বিবিধ, সমসাময়িক ২ মন্তব্য

লন্ডনে তারেক রহমান....

লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর উর্ধতন ব্যক্তিবর্গের আলোচনাক্রমে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত, আইএসআই অর্থ, ট্রেনিং ও অস্ত্রসহ সার্বিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটাবে। শেখ হাসিনার পতনের জন্যে তারেক রহমানকে দুটি কাজ করতে হবে।

এক. সকল প্রতিকূলতার মাঝে থেকেও তার দলকে আইএসআই-এর নির্দেশ অনুযায়ী কর্মসূচী দিতে হবে।

আর হাসিনা সরকারের পতনের পর যে সরকার হবে ওই সরকারকে অবশ্যই পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশন গঠন করতে বাধ্য করতে হবে। তারেক এই দুটিতেই সম্মতি দিয়েছে।

যে কারণে আইএসআই তারেক রহমানের মাধ্যমে লন্ডন থেকে একের পর এক কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে বিএনপির নামে। যে কর্মসূচী বিষয়ে বিএনপি নেতারাও কিছু জানেন না।

কর্মসূচীগুলো যে কোন রাজনৈতিক নয়, কেবল জঙ্গী তৎপরতা চালানোর সুবিধার জন্যে তা মনে হয় গত এক মাসের বেশি সময়ে দেশের মানুষের বুঝতে বাকি নেই। আইএসআই জঙ্গী তৎপরতার সপক্ষে কর্মসূচী দিচ্ছে তার কারণও এখন স্পষ্ট, তারা চায় এই তৎপরতার ভেতর দিয়ে যেন শেখ হাসিনার সরকারের পতন এমনভাবে ঘটে যাতে যখন হাসিনার সরকারের পতন ঘটবে তখন রাষ্ট্রের সকল নিয়ন্ত্রণ ধ্বংস হয়ে যাবে।
দেশটাকে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় জঙ্গীরা দখল করতে পারে।

এখন প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশে জঙ্গীরা জিততে পারবে কি না? সরকার এই অবস্থা থেকে দেশকে বের করে আনতে পারবে কি না? সরকার এখনও পর্যন্ত যে তৎপরতা দেখাচ্ছে তাতে মানুষ শতভাগ আশাবাদী নয়।

এর জন্যে সব থেকে বড় দায়ী সরকারের প্রচার বিভাগ।

সরকার দেশের মানুষের সামনে স্পষ্ট করে বলতে পারছে না যে, দেশ এই প্রথমবারের মতো জঙ্গী সন্ত্রাসের কবলিত হয়েছে। এখন সরকার জঙ্গী দমনের জন্যে পরিকল্পনা করে এগুচ্ছে। এসব কথা তাদের বলা উচিত ছিল। অন্যদিকে সরকার সব থেকে বেশি ব্যর্থ হচ্ছে তার দলকে সচল করতে এবং সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে।

তবে তারপরেও সরকারের সাফল্য আছে। এই সন্ত্রাসকে সরকার কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় আটকে দিতে পেরেছে। এখন সরকার ও সরকারী দলকে খুঁজে দেখতে হবে, ওই সব এলাকায় কারা এই সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। কারণ, সন্ত্রাসীরা হিট এ্যান্ড রান পদ্ধতিতে সন্ত্রাস করছে।

তাহলে এখন খুঁজে বের করা দরকার তারা যেখানে হিট করছে সেখান থেকে রান করে কোথায় গিয়ে কাদের আশ্রয়ে থাকছে?

 

প্রিয় ভার্চুয়াল বন্ধুরা, জামায়াত শহীদ মিনারে বিশ্বাস করে না, তারা শহীদ মিনারে ফুলও দেয় না। ঠিক তেমনিভাবে উর্দুভাষার প্রতি প্রীতি আর পাকিস্তানী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ও জামায়াতের পরামর্শের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শহীদ মিনারে গেলেন না |খালেদা জিয়া এখন শুধু বিএনপির নেত্রী নয়, জামায়াতের আমিরে পরিণত হয়েছে।

যারা বাংলাদেশ কে আফগান কিংবা পাকিস্তান বানতে চাচ্ছেন,আপনার আমার যার যার অবস্থান থেকে ... তাদের বিরুধে রুখে দাড়াতে হবে |

 

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ