রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে অনেক আগে থেকেই সব বিবেকবান মানুষের মত আমিও প্রতিবাদ করেছিলাম। কিন্তু সেদিন কাঠমোল্লাদের সাথে নিয়ে কিছু মানুষজন আমার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ইসলামের দোহাই দিয়ে মসজিদে মসজিদে চাঁদা তুলে, ট্রাকে ট্রাকে খাবার দিয়ে সাহায্য করেছিলো। আজ তারা কোথায়? তাদের বাড়িতে যেদিন রোহিঙ্গারা হামলা চালাবে সেদিন বুঝবে আপনি আমি আমরাই সঠিক ছিলাম।

সাহায্য অবশ্যই করবো কিন্তু নিজ দেশের ক্ষতি করে নয়। আজ আমরা তাদের আশ্রয় দিয়ে নিজেরাই হুমকীর সম্মুখীন। অথচ কিছু মানুষ শুধু টাকার লোভে, আর কেউ কেউ হয়তো বিদেশী সাহায্যের লোভে তাদের আশ্রয় দেয়ার যুদ্ধে নেমেছে।

কই কোন মুসলিম রাষ্ট্র কি আজ পর্যন্ত মিয়ানমারকে কড়া ভাষায় বাংলাদেশের পক্ষে কিছু বলেছে? অথচ সবাই বাংলাদেশে থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে বলছে- মিয়ানমারকেই তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে মহানুভবতার এক আদর্শ নিদর্শন দেখিয়েছে। এটা বিরল দৃষ্টান্ত। আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো। এরপর তারা দেশে ফিরে গিয়ে গা বাচানোর জন্যে মিলিয়ন ডলার ত্রান পাঠিয়ে দিচ্ছে আমাদের হতভাগা! রোহিঙ্গাদের জন্য। আর তাই পেয়ে কিছু সুবিধাভোগী লোভী মানুষ, হাতি নেতা পাতি নেতা সহ সবাই হাততালি দিচ্ছে।

আরিব্বাস! কি মজা, কি নেশা ডলারের, কত্ত মাদকতা! বাহ! তাহলে এদের ফেরত পাঠানোর কি দরকার? এরা আমাদের দেশে যতদিন থাকবে ততদিন পকেট ভারী থাকবে।

মিয়ানমার তাদের পরিকল্পনা মাফিক আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে, নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাদের দেশ ত্যাগ করালো আর আমরা সে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে চারহাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তাদের আশ্রয়ন করে দিচ্ছি। কেন? আমাদের নেতা গোতারা বলছেন আরে তা না হলে যে মুসলমান! রোহিঙ্গারা আশ্রয়হীন হয়ে যাবে।

আসল বিষয় হলো তারা না থাকলে রোহিঙ্গা সম্পর্কিত বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে যাবে আর এটা বোঝার মত বুদ্ধি বাঙালীর আছে।

এরকম যদি হয়, কোনোদিন রোহিঙ্গারা আমাদেরকেই বিপদে ফেলে অস্ত্র তাক করে; তাহলে এই শান্তি ধরে রাখতে যদি আবার আমাদের আরেকটি যুদ্ধ করতে হয় তবে তাই সই।

কথা দিলাম, দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য ব্যাকুল প্রান কাঁদে এরকম প্রত্যেকটি বাঙালী সেদিন আবার এক কাতারে দাঁড়িয়ে রোহিঙ্গা প্রতিরোধে নামবে।

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ