মেট্রোপলিটন হাসপাতালে পোঁছেই গাড়ি থেকে নেমে রুদ্র জামালকে নিয়ে রিসেপশনে গিয়েই পেলো রুদ্রর মাকে, রুদ্র বললো, মম জানতে পেরেছো কোথায় আছেন উনি?
হাঁ, সুলতান ভাইকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে, চল উপরে যায়।
রুদ্ররা কুমু আন্টিদের ফলো করে লিফটে চেপে চার তলায় উঠে এলো, লিফটের দরজা খুলে গেলে রুদ্র দেখলো অনিলা বসে আছে, ওর আসেপাশে আরও কিছু মানুষ ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে, রুদ্র পাশে গিয়ে ঝুকে বললো, তুমি ঠিক আছো অনিলা?
অনিলা মাথা তুলে তাকালো রুদ্রের দিকে, এরপর হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিলো, ঘিরে থাকা মানুষরা একটু সরে গেলে রুদ্রর মা অনিলার পাশে বসে জড়িয়ে ধরে বললেন, এইভাবে কাঁদলে হবে মা, তোমার বাবা অসুস্থ হতেই পারেন, সুস্থও হয়ে উঠবেন।
স্যার কোথায়, রুদ্র জিজ্ঞেস করলো।
অনিলা রুদ্রর মাকে বললো, আন্টি চলুন বাবাকে দেখবেন, রুদ্র আসো বলেই অনিলা উঠে গিয়ে পাশের দরজার সামনে গিয়ে পায়ের সেন্ডেল খুলে রাখলো, দেখাদেখি রুদ্র আর তার মা জুতা সেন্ডেল রেখে দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো ভিতরে।
পরিস্কার পরিচ্ছন্ন সিসিইউ রুমটির প্রথম বেডেই রাখা হয়েছে অনিলার বাবাকে, মুখে অক্সিজেনের টিউব, হাতে অক্সিমিটার, স্যালাইন লাগানো।
রুদ্র পাশে গিয়ে দাঁড়ালে উনি চোখ খুলে রুদ্রকে দেখে একটা হাত বাড়িয়ে দিলেন, রুদ্র হাতটি নিজের হাতে নিয়ে হালকা চাপ দিলো, যেন অভয় দিলো।
সুলতান সাহেব কিছু বলতে চাইলে রুদ্র মাথা নিচু করে শুনার চেষ্টা করলো।
সুলতান সাহেব খুব ধীরেধীরে বললেন, আমার মেয়েটিকে দেখে রেখো, ও খুব অভাগী।
রুদ্র হাতে ধীরে আরেকটা চাপ দিয়ে বললো, স্যার আপনি টেনশন নিয়েন না, আপনি রেস্ট করুন, আমি আছি আপনার পাশে৷
রুদ্র সরে দাঁড়ালে রুদ্রর মা পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন, রুদ্রর মাকে দেখে অনিলার বাবার দুচোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো।
মম তুমি থাকো আমি আসছি, বলেই রুদ্র অনিলাকে ইশারা করে একটু সামনে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো, অনিলাও পিছ পিছ এলে রুদ্র জিজ্ঞেস করলো, এইখানকার ডিউটি ডাক্তার কোথায় বসে?
এই সামনেই, আসো।
রুদ্র অনিলাকে ফলো করে ডিউটি ডাক্তারের রুমের সামনে গেলে দুজনেই ভিতরে প্রবেশ করলো।
সালামালেকুম ডক্টর।
ওয়া আলাইকুম আসসালাম, আরেহ রুদ্র ভাইয়া আপনি এখানে?
আরেহ নয়ন, তুমি ডাক্তারি পড়ছো জানতাম কিন্তু চট্টগ্রামে কেন?
নয়ন রুদ্রদের পাড়ার ছোটো ভাই, নয়নের বড় ভাই আবার রুদ্রর বন্ধু।
ভাইয়া ভালো চাকরি পেয়েই জয়েন করেছি গতবছর।
তাই খুব ভালো।
বসেন ভাইয়া।
রুদ্র অনিলাকে নিয়ে বসলো।
ভাইয়া ঢাকা থেকে কবে এলেন?
আজ দুপুরেই এসেছি, তা তোমাকে পেয়ে ভালো হলো।
বলুন ভাইয়া কি হেল্প করতে পারি?
এক নাম্বার বেডের সুলতান সাহেবের ব্যাপারে কথা বলতে চাইছিলাম, উনার সমস্যাটা জানতে চাইছিলাম।
ভাইয়া উনার ম্যাসিভ কার্ডিয়াক এরেস্ট হয়েছে আনার আগেই, আমরা মেডিকেট করেছি, উনার অক্সিজেন লেভেল কম ছিলো।
এখন কি অবস্থা?
এই মুহূর্তে তা বলা সম্ভব নয় ভাইয়া, উনার কিছু টেস্ট করতে দিয়েছি, টেস্ট গুলোর রিপোর্ট আসুক, এছাড়া উনাকে বাহাত্তর ঘন্টা অবজারভেশনে না রাখলে কিছুই বলা সম্ভব না।
তা উনাকে কোন সিনিয়র ডাক্তার দেখছেন?
হাঁ উনাকে সিনিয়র কার্ডিওলজিস্ট ডা. আক্তার জামান স্যার দেখছেন।
রুদ্র নিজের বিজনেস কার্ড বাড়িয়ে দিয়ে বললো, সুবিধা অসুবিধা জানিও আমাকে, উঠি এখন।
জ্বি ভাইয়া, সালামালেকুম।
রুদ্র অনিলা আর মাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো সিসিইউ থেকে, অনিলার পরিচিতরা বেশিরভাগ বিদায় নিয়ে চলে গেছে, দুই তিনজন চেয়ারে বসে আছে আর কুমু আন্টিরা বসে আছেন।
রুদ্র আর তার মা অনিলাকে এক সাইডে গিয়ে দাঁড়ালো, রুদ্র জিজ্ঞেস করলো, স্যারের কি আগে থেকেই সমস্যা ছিলো?
অশ্রুসজল চোখে অনিলা বললো, না।
তাহলে হটাৎ এমন হলো কেন?
আসলে আব্বু আমার বিয়ের সব দেখভালে ব্যস্ত ছিলেন, একটা ফোন এলে উনি রিসিভ করে কথা বলছিলেন, হটাৎ উনি আমাকে ডাক দিলে আমি উনার পাশে যায়, উনি বললেন যে, অপু মানে যার সাথে আমার বিয়ের কথা ছিলো, সে নাকি আমেরিকাতে আরেকটা বিয়ে করেছে।
কি বলছো, রুদ্র আশ্চর্য হলো।
এরপর আব্বু অপুর বাবাকে ফোন দিলে, অপুর বাবা মুখের উপর বললেন, এমন বিয়ে নাকি আমেরিকাতে থাকতে গেলে করতে হয়, তখন আব্বু খুব রেগে গিয়ে বললেন অমন ছেলের কাছে মেয়ে বিয়ে দেবেন না, বলতে বলতেই আব্বু বুক ধরে বসে পড়েন, এরপর আমরা উনাকে এখানেই নিয়ে এসেছি।
আহ, দুঃখিত, রুদ্র উদ্বীগ্ন হলো।
অনিলা কিছু সময় পর ভিতরে চলে গেলে জামাল এসে সালাম দিলো রুদ্রর মাকে, এরপর রুদ্রকে বললো, দোস্তো আমি এখন আসি।
ঠিক আছে বন্ধু যা।
জামাল চলে গেলে রুদ্র ওর মাকে বললো, মম তুমি কি হোটেলে যাবে নাকি আন্টির ওখানে থাকবে।
ওসব নিয়ে চিন্তা করিসনা বাবা, আমি তোর আন্টির ওখানে থেকে যাবো আজকে।
এখনো তো নিশ্চয় খাওনি, তোমরা চলে যাও, কাল দেখা হবে।
তা যাবো, তুই কি থাকবি আরও কিছুক্ষণ?
দেখি অনিলার সাথে কথা বলে, অনিলা আসলে বিদায় নিয়ে চলে যাও, ঐ যে অনিলা আসছে।
অনিলা কাছে আসলে রুদ্র বললো, মম চলে যাক, তোমার কিছু লাগবে?
না না কিছু লাগবেনা, আন্টি যান রেস্ট করুন।
রদ্রর মা অনিলার মাথায় হাত ভুলিয়ে বললো, তোমার কিছু লাগলে জানিও মা, আজ আসি।
রুদ্রর মা চলে গেলে অনিলা বললো, তুমিও যাও রেস্ট করো।
কিছু তো খাওনি নিশ্চয়, আমি কিছু নিয়ে আসছি।
না না আমার কিছুই খেতে ইচ্ছে করছেনা।
তাই, ঠিক আছে আমি আসছি বলেই রুদ্র লিফটের দিকে এগুলো।
আধা ঘন্টার মধ্যেই রুদ্র ফিরে এসে দেখলো অনিলা বাইরে নেই, রুদ্র জুতা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে উঁকি দিলে সামনেই দেখলো অনিলাকে, রুদ্র ইশারা করে বাইরে ফিরে এলে অনিলাও পিছ পিছ ফিরে এলো।
কি ব্যাপার তুমি ফিরে এলে?
রুদ্র অনিলার হাত ধরে চেয়ারে নিয়ে গিয়ে বসালো, এই নাও এগুলো খাও।
এগুলো কি?
খুলেই দেখোনা।
অনিলা প্যাকেট খুলেই দেখলো ভিতরে ফ্রাইড রাইস আর চিকেন মাঞ্চুরিয়ান, এইসব দেখে অনিলা বললো, বললাম না খিদে নেই।
তোমার চেহেরা তা বলেনা, জানি এতক্ষণে খিদে লেগেছে তোমার, খাও।
অনিলার চোখ ভরে জল এসে গড়িয়ে পড়লো আর তা দেখে রুদ্র বললো, আমি জানি তোমার আজ সবচেয়ে দুঃখের দিন, এই দুঃখের ভাগ কেউ নেবেনা কিন্তু বন্ধু হিসাবে তোমার পাশে তো থাকতে পারি।
অনিলা রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে কাঁদতে শুরু করলো।
কেঁদে যদি মনকে হাল্কা করতে চাও তবে কেঁদে বুক ভাসাও, আর যদি নিজেকে ঠিক রাখতে চাও, এই কষ্টকে শক্তিতে রূপান্তর করো, তোমার জয় নিশ্চিত।
আব্বু ঠিক হয়ে যাবে তো, অনিলা ছলছল চোখে তাকালো রুদ্রর দিকে।
শতভাগ ঠিক হয়ে যাবে, তুমি নিশ্চিত থাকো স্যারের কিছুই হবেনা।
আল্লাহ যেন তাই করেন।
আচ্ছা এখন কথা না বলে তুমি খেয়ে নাও।
তুমি খেয়েছো?
না খাইনি, পরে খাবো।
এখানে তো অনেক আছে, তুমিও খাও।
না আমি হোটেলে ফিরেই খাবো, এইতো পাশেই পেনিন্সুলায় উঠেছি, তুমি খাও।
অনিলা মাথা নেড়ে খেতে শুরু করলো।
জানো আমি ভাবতেই পারছিনা অপু এমন ভাবে চিট করবে, ফোনে কতো সুন্দর সুন্দর কথা, আমি ওকে পেলেই খুন করবো।
আচ্ছা কোরো, এখন খাএ, পুরাটা শেষ করবে বলেই পেকেট থেকে পানির বোতল বের করে ঢাকনা খুলে দিলো।
খাওয়া শেষে প্যাকেটটা ডাস্টবিনে ফেকে দুজনেই ভিতরে গেলো, অনিলার বাবা পাশ ফিরে ঘুমাচ্ছেন।
আব্বুকে ওরা ঘুমানোর জন্য মেডিসিন দিয়েছে, ফিসফিস করে অনিলা বললো।
দুজনেই বেরিয়ে এলে রুদ্র বললো, তুমি কি সারা রাত থাকবে এখানে?
অনিলা মাথা নেড়ে সায় দিলে রুদ্র বললো, আচ্ছা থাকো আমি সকাল সকাল চলে আসবো।
ওকে, রুদ্র ধন্যবাদ তোমাকে।
আসি।
এসো।
......... চলবে।
ছবিঃ কালেক্টেড
৩৩টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
সালামালেকুম বুজলাম না ।
ইঞ্জা
অনেকেই সালাম এভাবেই দেয় শর্টকাট করে।
ছাইরাছ হেলাল
পাল্টা পাল্টি হাত চাপাচাপি করতে দেখেই বুঝতে পারছি!!
চলুক গাড়ি ধীর গতিতে, লেখা কিন্তু ফাইন হচ্ছে, ভাই।
ইঞ্জা
আপনি গল্পের গতি সবসময় ধরত
ইঞ্জা
আপনি সবসময় গল্পের গতি ধরতে পারেন ভাইজান আর এজন্যই আপনার মন্তব্য আমাকে আনন্দিত করে।
ধন্যবাদ অশেষ।
আলমগীর সরকার লিটন
কত সুন্দর গল্প লেখছেন দাদা কিন্তু আমি চেস্টা করেও পারছি না কারণ গল্প লেখার ভাবটাই আছে না
ইঞ্জা
গল্প লেখা সহজ ভাই, শুধু মাথায় আনতে হবে প্লট, তারপর লিখে ফেলুন।
নিতাই বাবু
আপনার মতো করে সাজিয়ে-গুজিয়ে গল্প লিখতে পারবো না, দাদা। আপনি খুব সুন্দর করে মিলিয়ে লিখতে পারেন। চলুক গল্প, সাথে আছি, দাদা।
ইঞ্জা
কি বলেন ওস্তাদ, আপনি যা লিখছেন তা কি, গল্প না?
হাসলাম। 😆
নিতাই বাবু
না দাদা, গল্প না! এটা আমার নিজের জীবনকাহিনী, দাদা।
ইঞ্জা
দাদা, জীবনটাই যে এক গল্প। 😉
সুপর্ণা ফাল্গুনী
সুলতান সাহেব মনে মনে রুদ্র কে পছন্দ করে ফেলেছে অনিলার জন্য। দেখা যাক আগামী পর্বে সেটা কতটা এগোয়! পোলা গুলো বেশীরভাগ এমন ই করে বিদেশে টিকে থাকার জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা অবিরাম
ইঞ্জা
সুলতান সাহেব বাঁচলেনা রুদ্রকে ঠিক করে ফেলবে, এছাড়া বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়া মেয়েকে কি রুদ্রর মা মেনে নেবে?
গল্পের প্রশ্ন গুলোকেই সাজান এখন। 😊
ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যার বাবা এতো উপকার করলো তার এমন সুযোগ্য কন্যাকে মেনে না নেয়ার মতো রুদ্রের মায়ের মানসিকতা আছে বলে মনে হচ্ছে না। তারপর ও আপনার হাতেই সবকিছু। কলমের খোঁচায় অনেক কিছু তো করা যায়।
ইঞ্জা
দেখা যাক আপু, গল্প যদিও সেদিকেই ধাবিত, ভাবছি চেইঞ্জ করবো কিনা। 😉
মোঃ মজিবর রহমান
সুন্দর একটি গল্প লিখেছেন ভাই।
অপুউরব
ইঞ্জা
ভালোবাসা জানবেন ভাই।
তৌহিদ
সুলতান সাহেবের জন্য দুঃখ হচ্ছে, অনিলার কথা ভেবেই তিনি অসুস্থ হয়েছেন আসলে। মেয়ের জন্য বাবার এমন চিন্তা থাকবেই। তবু ভালো ভন্ড ছেলেটার কুকীর্তি আগেই প্রকাশ পেয়েছে। অনিলা আর রুদ্র কাছাকাছি হতে যাচ্ছে মনে হচ্ছে।
শুভকামনা সবার জন্য। ভালো থাকুন ভাই।
ইঞ্জা
কে কার কাছাকাছি যাবে তা আগামীতেই জানা যাবে ভাই, আপনারা সবাই যদি গল্পের মোর ধরে ফেলেন তাহলে তো বিপদ, ভাবছি গল্পের মোরই ঘুরিয়ে দেবো। 😉
ধন্যবাদ ভাই, ভালোবাসা জানবেন। 😍
তৌহিদ
না এমনি বললাম আর কি! তাহলেই বুঝুন আমি কত মনোযোগী পাঠক ☺
ইঞ্জা
অবশ্যই ভাই, আপনি মনোযোগী বলেই পরে কি হবে তার ধারণা মাথায় চলে আসে। 😊
মোঃ মজিবর রহমান
এটাই আপনার স্বার্থকতা ভাইওজান।
গল্পের মোর ঘুরিয়ে আবার নতুনত্ব আননয়ন প্রকৃত লেখকের কলমেই ধরে।
ইঞ্জা
দোয়া রাখবেন মজিবর ভাই
সুপায়ন বড়ুয়া
অনীলার জন্য এই মানষিক আঘাত বাবা সহ পুরো পরিবার কেটে উঠা বড়ই কষ্টের আপাতত অনীলা বাবার সুস্থতা কামনা করি পরে নাহয়। হাত টিপাটিপির ব্যাপার টা জানা হবে।
ততক্ষন পর্যন্ত শুভ কামনা।
ইঞ্জা
হাত টিপাটিপির বিষয়টা তো সাধারণ, আমরাও কারো দুঃখে সহমর্মিতা দেখাতে হাত ধরলে হাল্কা চাপ দিয়ে বুঝায়, সব ঠিক হয়ে যাবে।
বাকিটা নাহয় গল্পের জনক্সই তোলা থাক।
ভালোবাসা সহ ধন্যবাদ দাদা।
খাদিজাতুল কুবরা
সাবলীলভাবে এগুচ্ছে গল্প। জমে উঠেছে দেখা যাক কি হয়।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।
দেশি পাত্র ও সুযোগ্য হতে পারে সেটাই দেখানো হবে মনে হয়।
ইঞ্জা
দেখা যাক আগামীতে কি হয়, কিন্তু শুধু বলে রাখি জীবনটা বড়ই কঠিন।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
আগেও বলেছি আপনার লেখা অনেক আধুনিক।
মন্তব্য করার সাহস কম হয়।
পরের পর্ব ঝটপট পড়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে।
ইঞ্জা
হাঁ আমার লেখা আমার মতোই আধুনিক কিন্তু এতে মন্তব্য দিতে ভয় কিসের, আলোচনা করতে দোষ নেই, এছাড়া আমি পজিটিভ মানুষ, আলোচনা, সমালোচনা দুইটাই নিতে পারি যদি সেইসব পজিটিভ ভাবে হয়।
ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
আরজু মুক্তা
জীবন জটিল। গল্প কি এখন মোড় নিবে?
দেখা যাক
ইঞ্জা
জ্বি গল্প জীবনের মতোই বলেই বারবার মোর নেয়।
ধন্যবাদ আপু। 😊
সাবিনা ইয়াসমিন
কান্না আটকে না রেখে তাকে শক্তিতে পরিনত হয়।
রুদ্রর মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কষ্টের ভাগীদার সবাই হয় না/ হতে পারে না।
গল্প চলুক আপন গতিতে।
ভালো থাকুন ভাইজান, শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
এ আমার জীবনেও হয়েছে আপু, কান্না, কষ্টকে আমি শক্তিতে রূপান্তর করেছি এক সময়।।
মন্তব্য পেয়ে খুব আনন্দিত হলাম, ধন্যবাদ।