রাতের অন্ধকারে আমি আর আমার আবেগ পাশাপাশি হাটছিলাম। বেশ ভালোই লাগতেছিলো। অন্য কোথাও হয়তো চলে গেছিলাম। যেখানে কোন বাস্তবতা নেই,সব কল্পনা নির্ভর। সবকিছু কল্পনায় আবদ্ধ। সবাই সেখানে কল্পনাকে ভালোবাসে। হঠাৎ এমন সময় কেউ একজন পিছন থেকে,( আচ্ছা আমাকে একটু সাহায্য করতে পারবেন?) আমি পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখি এক অতী সুন্দর দেখতে যুবতী, যার চোখগুলো খুব টানছিলো আমাকে। জ্বি, বলুন। আমাকে একটু বলবেন, মীরগঞ্জ নদী ঘাট এখান থেকে কতদূর? আমি বললাম চলেন আমি এদিকেই যাচ্ছি, আমার বাসা এদিকে।
--
মেয়েটি আমার সাথে সাথে চলছিলো। কিছু বলছিলো না। অনেক সাহস করে বললাম আপনার নাম কি? মেয়েটি বললো, রুপন্তী। আমি আবার চুপ করে থাকলাম। মেয়েটি কিছু বলছেনা। আমার কেন জানি কথা বলতে ইচ্ছে করছে। কিন্তু সে তো আমার অচেনা। তাহলে আমি কেন যাচে কথা বলবো। আমি কেন তার সাথে কথা বলতে যাবো। কিন্তু মন কেন জানি চাচ্ছে।
--
মেয়েটার নামটা কত সুন্দর। তার গম্ভীরতা কত সুন্দর। তার চোখের মায়া বার বার আমাকে টেনে নিচ্ছে। যদি ডুবে যাওয়া যেতো! কত না ভালো হইতো! কিন্তু এতো রাতে একটা একলা মেয়ে নদীর ঘাটে কি করবে? সে কেন বা এতো রাতে নদীর ঘাটে যাবে? আর সে একলা কেন? সে কি বিপদে পরে এসেছে? কিন্তু সে তো কোন কথা বলছে না।
--
কেন জানি জানতে ইচ্ছে করছে খুব। নিজের কাছে রাখে দাওয়ার ইচ্ছে করছে তাকে। কিছুতেই যেতে দাওয়ার ইচ্ছে করছে না আমার। কেন এমন হচ্ছে আমার সাথে। আমি তো উনার নামটা ছাড়া আর কিছুই জানিনা। তাহলে আমার কেন এমন মনে হচ্ছে? আমি কেন এমন ভাবছি?
--
আচ্ছা আর কতদূর নদীর ঘাট? আমি বললাম,এইতো সামনে। সে আবার চুপ করে আছে। আচ্ছা আমি যদি তার হাতটা ধরি সে কি রাগ করবে? আচ্ছা আমি যদি তাকে বিয়ে করবো বলি সে কি আমাকে গ্রহণ করবে? নাকি ফিরিয়ে দিবে? আচ্ছা আমি কি তাকে ভালোবাসি বলবো? নাকি হাত ধরে বিয়ের কথা বলবো?
--
পানির শব্দ শুনা যাচ্ছে। নদীর ঘাট চলে আসছি। সময়টা কিভাবে গেলো বুজতে পারলাম না। কেন জানি একটু অন্যরকম লাগছে। আচ্ছা আমি কি মেয়েটাকে যেতে দিবো? নাকি আমার এতোক্ষনে যা যা ভাবলাম তা বলে দিবো? কিন্তু সেতো মানবে না। তাহলে কি করবো?
--
আচ্ছা ঠিক আছে আপনি যান এখন। আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ। আমি এখান থেকে যেতে পারবো। আমি কি জানি বলতে চাচ্ছিলাম তাকে। কিন্তু কিছুতেই মুখে আসছিলো না।
--
যাওয়ার সময় একটা কাগজ হাতে দিয়ে বললো, এটা আপনার জন্য। বলে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো রুপন্তী। আমি খুজলামো না তাকে। আগে কাগজটা খুলে পড়া শুরু করে দিলাম।
সেখানে লিখা ছিলো,
আবেগ ভাবছে অনেক কিছু
বিবেক সেগুলোকে তাড়িয়ে দিচ্ছে
আবেগ আবার পারি জমাচ্ছে
এভাবেই জীবন এগোচ্ছে।
কল্পনা যদি সত্যি হতো
আচ্ছা কি করতে তুমি
হ্যাঁ আজ যা করলে তাই করতে
তাই তো কল্পনা, কল্পনাতেই মানায়!
--
কেন জানি নিজেকে হারিয়ে ফেললাম আমি। এটা কি আমার কল্পনা ছিলো? নাকি বাস্তবে ঘটে যাওয়া স্মরণীয় কিছু?
--
আচ্ছা আজ বাসা যাই। কাল সকালে মতিন মিয়ার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলা যাবে। দেখি উনি যদি কোন সমাধান দিতে পারেন।
৮টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
হা হা হা শেষ ভরসা তাহলে মতিন মিয়া।সিরিয়াল লেখা শুরু করতে পারেন।আসলেই তাই ভাইয়া কিছু কিছু মুহুর্ত আসে শুধু চমক দিয়ে যায়।কল্পনা আর বাস্তবতার সুন্দর পার্থক্য তুলে ধরলেন।বেশ ভাল লাগল।
মনির হোসেন মমি
অপেক্ষায় পরের পর্বের।
রাফি আরাফাত
অসংখ্য ধন্যবাদ
মোঃ মজিবর রহমান
সমস্যা মনের মানুষ মতিন মিয়াই দিবে তাই ভরসা।
রাফি আরাফাত
হুম ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
কালকে পর্যন্ত অপেক্ষ করে দেখতে চাই মতিন মিয়া কী বলেন।
রাফি আরাফাত
আচ্ছা ভাই?
জিসান শা ইকরাম
পরবর্তি পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।