আমরা শুরু করেছিলাম অন্ন দিয়ে আর এর পরবর্তীততে বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষা নিয়ে আলাপ করেছিলাম আর আজ মৌলিক অধিকারের শেষ বিশেষ অধিকার চিকিৎসা নিয়ে আলাপ করবো, আসুন তাহলে শুরু করা যাক।
চিকিৎসাঃ
অবাক করা বিষয় হলো আমাদের আশে পাশেই প্রচুর চিকিৎসক আছে, কেমন জানতে চাইছেন?
তাহলে বলি, আপনি হাছি দিচ্ছেন, কাশি দিচ্ছেন, সর্দী, জ্বর, ব্যাথা সব গুলোতেই উপদেশ অবশ্যই পাবেন, কেউ বলবে এইটা খাও, আরেকজন বলবে ঐটা খাও কিন্তু কেউ চিন্তা করেনা তারা যা বলছে তা রুগীরর জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে, এমন কি মৃত্যুও হতে পারে, তাই সবার উচিৎ এই ধরণের উপদেশ থেকে বিরত থাকা।
এখন আসি আসল কথাতে, চিকিৎসা এমন একটি অধিকার যা সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকার হিসাবে গন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। ভালো চিকিৎসক আর চিকিৎসা সব শহর কেন্দ্রিক আরো বেশী ঢাকা কেন্দ্রিক, ডাক্তারি পাশ করেই শহরে চাকরি করার জন্য যুদ্ধ করে কিন্তু বড় শহর ছাড়া যেন দেশে আরো মানুষ গ্রামে গঞ্জে বাস করে তা তারা যেন জানেই না। সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা খরচা করে গ্রামে গঞ্জে হাসপাতাল নির্মানে আর ডাক্তাররা প্রতিযোগিতা করে শহরে থাকতে, তাদের এই প্রতিযোগিতার কারণে গ্রামাঞ্চলের হাসপাতাল গুলোর জন্য আনা দামি চিকিৎসা সরঞ্জাম গুলো ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে, গরীব জনসাধারণ চিকিৎসা না পেয়ে বেশীরভাগ মরে না হয় শহরে আসে মরার জন্য, হয়ত আপনাদের মনে প্রশ্ন আসছে শহরে এসে কেন মরবে? গ্রামের মানুষ যখন শহরে আসে তখন গ্রামের চাইতে শহরের ডাক্তার তাদের সেলামি নেয় দশ গুণ বেশি, গ্রামে ডাক্তারের ভিজিট ২০০ টাকা আর শহরে হয় ১০০০ নয়তো ২০০০, সাথে জ্বর হলেও কমিশন বাণিজ্যের কারণে বিভিন্ন টেস্ট দেবে তাও ডাক্তারের নির্দিষ্ট ল্যাবে টেস্ট গুলো করতে হবে না হলে ডাক্তার বাবু কমিশন পাবে কই? আবার ঔষধেও হিসাব আছে ডাক্তার বাবুদের, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানি গুলো ডাক্তারদের কমিশন দেয় আর ডাক্তার কমিশনের লোভে শুধু মাত্র সেইসব ঔষধ লিখবে যে সবে কমিশন পাওয়া যায়।
আসুন ঔষধ সম্পর্কে কিছু জানি। দেশে যেমন অনেক বড় বড় ঔষধ কোম্পানি আছে তেমনি ছোট ছোট ঔষধ কোম্পানিও আছে আর এই শিল্পের বাজারে ঠিকে থাকতে তারা আশ্রয় নেই ধোঁকাবাজির, মনে করুন স্কয়ারের এন্টাসিড ঔষধের দাম যদি ৩৫ টাকা হয় তবে অন্য কোম্পানির একি ঔষধের দাম ৫৫ টাকা কিন্তু কাজটা একি আর ডাক্তার যখন ঔষধ লিখবে তখন দাম বেশিটারই নাম লিখবে, কম দামিটার নয় কারণ ঐ কমিশন।
আবার বিভিন্ন কোম্পানি ভেজাল ঔষধো বাজারে প্রচলিত আছে যা কাজে তো আসেনা উল্টা ক্ষতি করে বেশি, সুতরাং ঔষধ কেনার আগে ঔষধ কোনটি কেমন, একি সিরিজের ঔষধ কোনটার কি দাম তা বুঝে শুনে কেনা উচিত আর এই সাথে আপনাদের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ ঔষধ কেনার আগে এর উৎপাদনের তারিখ আর গুণাগুণ শেষ হওয়ার তারিখ দেখে ঔষধ কিনুন, কারণ এক্সপায়ারড বা সময় শেষ হয়ে যাওয়া ঔষধ খেলে আপনার যে কোন ক্ষতি সাধিত হতে পারে আর মৃত্যু, তা তো অবশ্যই হতেও পারে।
এখন আসুন চিকিৎসা আর চিকিৎসক নিয়ে আলাপ করি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার অবস্থা বড়ই করুণ যদিও প্রতিবছর হাজারো চিকিৎসক মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করে বের হলেও সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসা কিন্তু সোনার হরিণের মতো, এমনকি দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী, এমপি হতে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশের শরণাপন্ন হতে হয়, প্রশ্ন থাকতে পারে দেশে এতো এতো চিকিৎসক থাকতে কেন বিদেশে যেতে হয় চিকিৎসার জন্য? যেতে হয় ভাই যেতে হয় কারণ আমাদের চিকিৎসকরা (বেশির ভাগ) মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করার পর আর পড়াশুনা করেননা, তারা নিত্যনতুন রোগিদের চিকিৎসা করে করে হাত পাকান কিন্তু চিকিৎসা শাস্ত্র যে দিন দিন উন্নত হচ্ছে তা কিন্তু তারা জানেননা অথবা জানলেও মানেননা কিন্তু অন্যান্য দেশের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসা বিষয়ক সেমিনার, কনফারেন্স, ট্রেনিং নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সব সময় আর আমাদের দেশের চিকিৎসকরা তখন ব্যস্ত থাকেন টালা গুনতে, রোগি বাঁচল কি মরলো তাতে তাদের কিছুই যায় আসেনা আর এতে আমাদের মৌলিক অধিকার যে খর্ব হচ্ছে তাতে তাদের আর আমাদের সরকারের কিবা আসে যায়, মানুষ মরলেই যেন দেশের উন্নতি হবে কিন্তু সরকারের বুঝা উচিত এই দেশ উনারা চালান ঠিকই কিন্তু এই জনগণ ছাড়া উনাদের শাসন অচল।
আমার মতামত হলো, সরকারের উচিত চিকিৎসা শাস্ত্র আর চিকিৎসকদের জন্য কঠিন আইন করা যাতে
১) এইসব চিকিৎসক প্রতিবছর উন্নত চিকিৎসা বিষয়ক ট্রেনিং, সেমিনার সহ বিভিন্ন ভাবে নিজেদের জ্ঞান বাড়াবেন আর তাতে আমাদের দেশের চিকিৎসা শাস্ত্রের উন্নয় সম্ভব হবে।
২) চিকিৎসকরা যেন বাধ্যতামূলক নিত্যনতুন মেডিকেল জার্নাল পড়েন তার ব্যবস্থা করা, এতে উন্নত বিশ্বে নতুন ধরণের কি চিকিৎসা ব্যবস্থা আসছে তা জানতে ও বুঝতে পারেন, শিখতে পারেন।
৩) সকল চিকিৎসককে বাধ্যতামূলক প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের হাসপাতাল বা চিকিৎসা কেন্দ্র গুলিতে নিজে উপস্থিত থেকে চিকিৎসা করতে হবে এবিং নির্ধারিত ওইসব দিনে রোটেশনের চিকিৎসকরা যেন শহরে থাকতে না পারেন তার ব্যবস্থা করা।
৪) চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় কোনো রোগী মারা গিয়েছে বলে প্রতিয়মান হলে উনার বিরুদ্ধে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনা।
৫) দেশে যত হাতুড়ে ডাক্তার, অবৈধ ডাক্তার আছে তাদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা।
৬) ডাক্তারদের জন্য নির্ধারিত ফিসের কঠিন আইন করা।
৭) একি সিরিজের সকল কোম্পানির ঔষধের মূল্য একি নির্ধারণ করা।
৮) দূরারোগ্য ব্যধির ঔষধ প্রস্তুতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া যাতে দেশে এর মূল্য সল্প হয় তার ব্যবস্থা নেওয়া।
৯) দেশেই বিভিন্ন ঔষধ প্রস্তুত পূর্ব গবেষণার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, এছাড়া বিভিন্ন ঔষধের প্রস্তুত মালিকানা কিনে নেওয়া যাইতে পারে আর এতে দেশীয় ঔষধ শীল্প আরো উন্নত হবে বলে আশা রাখি।
১০) বিভিন্ন ঔষধের কোম্পানি গুলো, প্যাথলজিকাল ব্যবসায়ীরা যেন কোন ডাক্তারদের কোনো ধরণের কমিশন দিতে না পারে তার জন্য আইনি ব্যবস্থা সরকার নিতে পারে।
এছাড়াও সরকারি উদ্দোগে সকল হাসপাতাল গুলিতে যে সব চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনা হয় তার মূল্য সরাসরি প্রস্তুতকারক হইতে জানা যাতে সঠিক দামে তা কেনা যায়। সরকারের উচিত তার নাগরিকেরা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে কিনা তা জানা আর নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষনে যাবতীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া।
আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
সমাপ্ত।
২৭টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
ডাক্তার মহান, ইশ্বরের পরে মানুষ ডাক্তারকেই সবচেয়ে বেশি সম্মান করে। সম্মানী পেশাটাকে সম্মানের সাথেই করা উচিৎ।
ইঞ্জা
ডাক্তারি পেশা এমন এক পেশা যেটাতে সব সময় পড়াশুনা করতে হয় আর আমাদের ডাক্তাররা তা করেননা।
লীলাবতী
দেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিয়ে কিছু না বলাই ভাল। আপনি একজন ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কথা প্রমাণ সহ লিখবেন, আপনাকে গালাগালি শুনতে হবে ডাক্তারদের কাছ থেকে। কিছুদিন পূর্বে বন্দনা কবীরকে এমন গালাগালি শুনতে হয়েছে। ডাক্তারদের ভুল চিকিৎসায় উনি মৃত্যুর খুব কাছাকাছি চলে এসেছেন, এই কথা প্রকাশ করাই হল ওনার অপরাধ। ডাক্তারদের গ্রুপে ওনাকে যেভাবে গালাগালি করা হল তাতে প্রমান হয় যে, ডাক্তাররা চিকিৎসার পরিবর্তে গালাগালিতে অভিজ্ঞ বেশি। তাই এ বিষয়ে কিছু বলা উচিৎ হবেনা।
ইঞ্জা
আর এতেই প্রমান হয় যে উনারা আজ আর মানুষ নয় কসাইতে রুপান্তরীত হয়েছেন, বন্ধনা আপু আমাদের সকলের প্রিয় একজন, উনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আর আপু, মা কেমন আছেন জানাবেন।
ভালো থাকবেন আপু।
মিষ্টি জিন
লীলাবতী বন্দনা আপু স্টাটাসে আমিও কমেন্ট করেছিলাম .. আমাকে এমন ভাবে বাজে কথা বলেছে যে বাধ্যহয়ে কমেন্টা মুছে দিয়েছিলাম। পড়াশুনা জানা মানুঁষ যে এত নোংরা হঁয় ,জানতাম না।
ইঞ্জা
এরা নোংরাই হয় পার্টনার।
মোঃ মজিবর রহমান
আমাদের ডাক্তার অনেক ভাল আছেন কিন্তু তাঁরা অরথের জন্য ডাকাতারী সেবা যৎসামান্য করে ট্রীট্মেন্ট করেন। তাঁরা ঐষধ আর চেকাপকে প্রাধান্য বেশি দেয় কলাকঈশলে কম যায় যা আমাদের রোগ নিরাময়ে সময় অর্থ বা ক্ষতিসাধন বেশি। হয়।
ইঞ্জা
সহমত
মোঃ মজিবর রহমান
(y) -{@
অপার্থিব
দেশের উন্নয়নের সুফল তৃণমুলে না পোঁছে শুধু নগরে পৌঁছেছে । নগরায়ন বাড়ছে দ্রুতগতিতে। ডাক্তাররাও এই সমাজের অংশ, তারাও এই নগরায়নের স্রোতে শামিল হতে চাইবে সেটাই স্বাভাবিক। আর শুধু ডাক্তারদের জন্য ফিস নির্ধারণ করে দিলে অন্য অনেক ব্যক্তিগত সেবার যেমনঃ রিকশা চালক, সেলুন ইত্যাদীর ফিস নির্ধারণ করে দেওয়ার ব্যাপার চলে আসবে। সবার সার্ভিস এক রকম হবে না তাই মুল্যের পার্থক্য তৈরী হওয়া স্বাভাবিক। ডাক্তারদের মধ্যে অনেক অসৎ আছে তবে সবাইকে এক পাল্লায় মাপা অন্যায়।
ইঞ্জা
ভাই ডাক্তারদের বিষয়ে যখন লিখি তখন ব্রেকেটে আমি একটা কথা লিখেছি আর তা হলো (বেশির ভাগ ডাক্তার), যারা ভালো উনারা সংখ্যায় কিন্তু বেশিনা।
ডাক্তারদের ফিসের সাথে রিক্সা চালক, সেলুন এদের বিষয় আসে কি ভাবে? আপনি যদি দেশের নামকরা হাসপাতাল গুলোতে যান দেখবেন ওখানকার ডাক্তাররা বেশির ভাগ ১০০০ বা আরো বেশি ফিস নেন আর রোগি দেখেন নূন্যতম ২০, এর উপরেও দেখেন আর এতে তাদের আয় ৫/৬ লাখ মাসে হয়, তাহলে ওদের আয়ের সাথে রিক্সা, সেলুন এইসবের মিল কোথায়?
অপার্থিব
ডাক্তারদের ফিসের সাথে রিক্সা চালক, সেলুন ওয়ালাদের প্রসঙ্গ আসবে কারণ দুটোই ব্যক্তিগত সেবামুলক খাত। অনেক ডাক্তার যেমন মাসে ৫/৬ লাখ ইনকাম করে তেমনি অনেক গুলশান বনানীর অনেক সেলুনওয়ালা বা হেয়ার ড্রেসাররাও মাসে ৫/৬ লক্ষ টাকা ইনকাম করে। আবার অনেক ডাক্তারের মাসিক আয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা যেমনটা আছে পাড়ার অনেক রিকশাওয়ালা বা নাপিতেরও। বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি চলছে পুঁজিবাদী কাঠামোয়। পুঁজিবাদী রাষ্ট্র কাঠামোয় আয় বৈষম্য থাকবেই। কোন একটি নির্দিষ্ট পেশার মানুষদের আয় নির্ধারণ করে দেওয়া পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থা সমর্থন করে না। এটা সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় সম্ভব, পুজিবাদে নয়। সমাজতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় শুধু ডাক্তার নয় আমার মত প্রকৌশলী সহ সব পেশার মানুষদের আয়ের সর্বোচ্চ সীমা থাকবে। সব কলকারখানা সরকারের অধীনে থাকবে। কেউই বাড়তি মুনাফা অর্জন করতে পারবে না, জনগণের মধ্যে প্রকৃত অর্থেই সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে শুধু গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের নুন্যতম আয় সরকার থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে , লক্ষ্য করুন নুন্যতম আয়, সর্বোচ্চ নয়। এটাও করা হয়েছে দেশে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমিকদের দুরবস্থা ও কারখানার কর্ম পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক ভাবমূর্তি থেকে উদ্ধারের প্রয়াসে। কাজেই শুধু ডাক্তার কেন সেবা খাতের অন্য যে কোন পেশার মজুরী নির্ধারণ পুঁজিবাদী শাসন ব্যবস্থায় কোনদিনও সম্ভব নয় ।
ইঞ্জা
এর অর্থ হলো এই ডাক্তার কসাইদের কাছ থেকে আমাদের নিস্তার নেই।
মিষ্টি জিন
পাটনার আমি ভীষন চুপচাপ মানুষ। কেউ মারিয়ে গেলেও কিঁছু বলিনা । কিন্তু সরি টু সে .. আমাদের দেশের ডাক্তারদের উপর আমি ভিষন ভিষন বিরক্ত। বন্দনা আপু ভূল চিকিৎসার শিকার হঁয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছেন ঠীক তেমনি আমি ও দুই দুইবার ভূল চিকিৎসার শিকার। অত্যান্ত স্ট্রং ইমিউনিটির এবং হায়াত ছিল বলে হয়তো বেঁচে গেছি এবং দুই সন্তানের মা হতে পেরেছি। তবে ডান হাত আমার এখনও ডাক্তারদের ভূলের বোঝা হঁয়ে বেডাচছে।
তবে ভাল খারাপ নিয়েই পৃথীবি।ভাল লিখেছেন।
ইঞ্জা
পার্টনার একি অবস্থা আমাদের সবার, বন্ধনা আপুর বিষয়টা আমিও জানি আরো জানি এইসব ইবলিশ শয়তানদের কারণে আমি আমার প্রিয় খালাম্মা আর আরেক খালার মেয়েকে হারিয়েছি, কিছুই বলার নেই, কিছুই বলার নেই।
ছাইরাছ হেলাল
খুব স্বল্প অভিজ্ঞতায় ফেরেশতা ও ইবলিসের দেখা পেয়েছি,
বেশি কিছু বলার নেই।
ইঞ্জা
বাংলার প্রতিটি মানুষই এই ফেরেশতা আর ইবলিশের দেখা পেয়েছে ভাই।
মৌনতা রিতু
আমার জন্ম থেকে বেড়ে ওঠা এবং বিয়ের আগ পর্যন্ত ঐ হাসপাতাল কোয়ার্টারে থাকা। তাই এই বিষয়ে বললে, পুরো গালি নিজের উপরেই আসবেই। সরকারী হাসপাতালে প্রতিটক পদে পদে ভোগান্তি। একজন ঝাড়ুদার তারও ঝাড়ি শুনতে হয়, শিক্ষিত রোগির লোকদের ও রোগীকে। প্যাথলজি বিভাগের রিআরেন্জ অর্থাৎ, টেষ্টুর যাবতীয় জিনিস বাইরে তাদের ব্যক্তিগত ক্লিনিকে চলে যায়, ওষুধ চলে যায়। ওয়ার্ডে রোগীর খাবারের কথা নাই বক বললাম। পানীর কথা, বাথরুমের কথা সবাই জানে। আমি বুঝিনা এই নার্সগুলোকে কেন সেকেন্ডক্লাস করল ! এদের মুখের যে ভাষা ! আমি সব থেকে বড় স্বচোখে দেখা প্রমাণ। ফ্যামিলি প্লানিং অর্থা F.W.V. এদের কাজ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাশের কার্যক্রমগুলো করা। কাউনসিলিং করা, সন্তান অধিক জন্ম না দেওয়ার ব্যবস্থা করা। কিন্তু এরা ভুল করেও যায় না। প্রতিটক হাসপাতালে অপারেশন এর ব্যবস্থা আছে কিন্তু, হয় না টোটালে।
আমখ প্রথম সন্তান হারানোর পরে পুরোটাই এ্যবনরমাল হয়ে গেছিলাম। যে সিলিন্ডার দিয়ে আমার খলিজা সোনাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছিল ওটাই বাস্ট হয়ে মামনি আমার চলে যায়। ওকে এতোটুকু ছুঁয়ে দেখতে পারিনি। আমি ওকে বুকে নিতে পারিনি, কি যে এক ফুঝফুটে মেয়ে আমার। আর লিখতে পারছি না পরে আসছি।
ইঞ্জা
মনটা ভেঙ্গে গেল আপু আমার ভাগনির কথা শুনে, সান্তনার কোন ভাষা নেই, শুধু দোয়া আর দোয়া আমাদের মা টার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাদের দেশে অনেক সৎ এবং ভালো ডাক্তার আছেন। আবার এমন ডাক্তারও আছেন যাদের চিকিৎসায় সাধারণ রোগ এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছে যে শেষ পর্যন্ত কিছুই করার থাকেনা। এমন ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। তবে আপনি যে আপনার মতামত দিয়েছেন, তাতে আমি সহমত পোষণ করছি।
আমি কানাডায় আছি, এখানকার চিকিৎসা ব্যবস্থা কিন্তু তেমন সুবিধার নয় ইয়্যুরোপ কিংবা আমেরিকার চেয়ে। এসব জেনেছি আমি যখন নার্সিং পেশায় আসি। তবে এখানে ভালো ডাক্তার বলতেই ভারতীয় ডাক্তার একটা খুব ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ডাক্তারও বেশ ভালো। কারণ কি এ প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। আসলে শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের এশীয়রা অনেক বেশী এগিয়ে, জ্ঞানেও পিছিয়ে নেই। তাছাড়া এখানে প্রতিটি ডাক্তার রোগীদের ফাইল ভালোভাবে স্টাডি করে, পাশাপাশি মেডিক্যাল জার্নাল তো আছেই।
এবারে বলি এক্সিডেন্টের পর কিভাবে যে আমার চিকিৎসা হলো, ঔষধ পেলাম, বিভিন্ন ইক্যুইপমেন্টস পেলাম আমি নিজেই জানিনা। অথচ দেশে হলে অর্থের চিন্তা করতে করতে পাগল হয়ে যেতে হতো। যেমন আমার বাবার ক্ষেত্রে হয়েছে। এক্সিডেন্টে হিপ জয়েন্ট ভেঙ্গেছিলো, কোন ডাক্তার ভালো, কোথায় ভালো চিকিৎসা, এসব নিয়ে কি যে দৌঁড়াতে হয়েছে দেশে গিয়ে। ডাক্তারকে জিজ্ঞাসা করলাম ফিজিও প্রেসক্রাইবড করবেন না? ডাক্তার বললেন লাগবে না। অথচ এখানে হাড় ভাঙ্গা মানেই ফিজিও অবশ্যই।
এমন অনেক কিছু ঘটনা আছে। মন্তব্য বড়ো হয়ে গেলো। কষ্ট করে পড়ে নেবেন। ভালো লিখেছেন পোষ্টটি।
ইঞ্জা
আপনার মতই এই ডাক্তারদের বিষয়ে আমারো অভিজ্ঞতা কিছু আছে, যেমন এই ভুল চিকিৎসারর কারণে আমি আমার প্রিয় খালা আর খালাতো বোন হারিয়েছি, তেমনি বাইরের ডাক্তারের চিকিসার কারণে আমার চাচার ছেলে এবং বড় বোনের হাসবেন্ড, খালাতো ভাই ও ভাতিজাকে ফিরে পেয়েছি, আমাদের দেশের আইন এতই নড়বড়ে যার কারণে আমাদের ডাক্তাররা ভালো হয়ে খারাপ হয়ে যান, কিছুই বলার নেই এদের বিরুদ্ধে, বললেই বিপদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
ঠিক বলেছেন ইঞ্জা ভাই।
ইঞ্জা
-{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমার মাও এই ভুল চিকিৎসায় মারা গেছেন।তার হয়েছিল ক্যান্সার তার চিকিৎসা হয়েছে বাত ব্যাথার যখন সময় শেষ তখন ধরা পড়ল সত্য কি ছিল।কসাই ডক্তারদের বিবেকে সাড়া দিলে এসব কিচ্ছা শেষ হবে না। -{@
ইঞ্জা
এই দেশের চিকিৎসকরা কবে আবার মানুষ হবে?
শুন্য শুন্যালয়
ইঞ্জা ভাইয়া আপনার চতুর্থ মৌলিক অধিকার শিক্ষাকে আমি সবার উপরে রেখেছিলাম, এখনো রাখি। একটা কথা না বলেই পারছিনা ডাক্তাররা কসাই এই মনোবৃত্তি যতদিন আপনাদের সবার মধ্যে থাকবে, যতদিন আপনারা সম্মান নিয়ে আরেকটি পেশাকে দেখতে পারবেন ততদিন কেউ কারো সাহায্য করতে পারবেনা, দিন দিন আরো খারাপই হবে সবকিছু। আপনার মতামতগুলো বেশ ভালো, আপনাদের কাছ থেকে এই পরিস্থিতির কিভাবে পরিত্রান সম্ভব এধরনের মূল্যবান আশাই ব্যক্ত করি। কিন্তু বাকি যা বলেছেন এবং যেরকম একটি ছবি পোস্টে দিয়েছেন তাতে সত্যিই বিস্মিত হয়েছি। একজন মাইক্রোতে করে এক বাবা-মায়ের তিনজন ছেলেই যখন মারা যায়, ওটাকে লোকে এক্সিডেন্ট বলে আমি বলি খুন। আর এই খুনী হচ্ছে সরকার, প্রশাসন। আমার মাও কিছুদিন আগে ভুল ট্রিটমেন্টের স্বীকার হয়েছেন, এর আগেও তার পায়ের আঙ্গুল কেটে ফেলার জন্য তারিখ দেয়া হয়েছিল, যা ছিলো ভুল। আবার এও জানি, মাঝরাত্রিতে বোনের ছেলে মেয়ে যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে, কেউ তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের এই মানসিকতা পরিহার করুন। কোন পেশাই যখন দূর্নিতিমুক্ত হয়, তখন গোড়া খুঁজুন, মতামত দিন।
আপনি যখন বলছেন এই দেশের চিকিতকরা কবে আবার মানুষ হবে, তখন বুঝতে হবে এই দেশে আসলে কোন মানুষই নেই।
ইঞ্জা
আপু সত্যিকারের কথা বলতে আমি নিজেই এই ডাক্তারদের কাছে ভুক্তভোগী যাতে আমি ভীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছি কারণ দেশে বড় বড় ডাক্তারদের কাছে গেলে সুষ্ট ট্রিটমেন্ট তো পাইনা উল্টো তাদের ব্যবহার কসাইয়ের চাইতেও খারাপ হয়।
আমার লেখা হয়ত এপ্রোপ্রিয়েট নাও হতে পারে কিন্তু খারাপও নয়, আমার লেখার একমাত্র কারণ উনারা যেন কানে শুনেন, বুঝেন আর উপলব্ধি করেন আর সুচিকিৎসা দেওয়ার বাসনা পোষণ করেন, এরপরেও আপু আপনার মতামত আমার শিরোধার্য ও সম্মানের।