যখন আমি তার শীর্ণ পায়ে
হাত দিয়ে করলাম চুম্বন
এবং জানালাম আমার উপস্থিতি
দেখলাম মা তার ঘোলাটে চোখ মেলে
আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন
এই সেই দৃষ্টির নরম ছোয়া
আমাকে দিয়েছে অভয় জন্মের পর থেকেই
“আর কতদিন পরে থাকবি এভাবে,” বললেন মা
“যখন তোর ভাইয়েরা কেউই আমার পাশে নেই
আর স্বজনেরা গেছে দূর-বহুদূর,
আমার অসুখ তো ভাল হবার নয়।
ছেড়ে দিয়ে যা আমায় ভাগ্যের হাতে”।
ভীষম কিছু রোগে জরাজীর্ণ
আমার মায়ের হাতটা টেনে নিয়ে
ছোয়ালাম আমার গালে
আর আমি যেন স্পর্শ পেলাম সেই মমতার
যে মমতা পৃথিবীর আলো-বাতাসের সাথে
আমায় পরিচয় করে দিয়েছে।
আমার স্মৃতিতে ভাস্মর মায়ের সেই সবুজ শাড়ির আচল
যা শৈশবে ক্রন্দনরত আমার চোখের জল মুছিয়ে দিয়েছে।
বললাম, “তোমায় ছেড়ে কোথাও যাছিনা মা”।
এই কথা বলে আমি মাথায় তুলে নিলাম
মায়ের দেয়া মোটা কাপড়।
ভ্রাতৃঘাতী সংঘাতে লিপ্ত তার সন্তানেরা
মায়ের দিকে নজর দেয়ার ফুরসত নেই তাদের।
যদিও তাদের অনেকেই আজ মা থেকে বহুদূরে,
আমি কোথাও যাচ্ছিনা মাকে ছেড়ে।
হুমকী বা প্রলোভন অর্থহীন আমার কাছে
মায়ের সন্তান হিসেবেই বেচে আছি
তার কোলেই মাথা রেখে মৃত্যুকে করবো আলিঙ্গন।
হে আমার প্রিয় স্বদেশ, প্রিয় জম্নভূমি।
তোমাকে ছেড়ে আর কোথায়ই বা আমি যেতে পারি?
৫টি মন্তব্য
আবু খায়ের আনিছ
গদ্য পদ্য। মা, মাতৃভুমি নিয়ে লিখা ভালো লাগল।
শেহজাদ আমান
ধন্যবাদ, আমার কবিতার রকমটা ধরতে পারার জন্য।
আবু খায়ের আনিছ
শুভেচ্ছা আপনাকে।
খসড়া
সুন্দর কবিতা।
শেহজাদ আমান
ধন্যবাদ বস, সময় নিয়ে আমার কবিতাটা পড়ার জন্য।