মামাকে দেখতে যাওয়া (পর্ব-২২)

শামীম চৌধুরী ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার, ০২:০৫:৫৮অপরাহ্ন ভ্রমণ ২২ মন্তব্য

আগের পর্বের লিঙ্ক- মামাকে দেখতে যাওয়া (পর্ব-২১)

পর্ব-২২

কেওলাদেও পার্কে আজ আমাদের শেষ দিন। বিকাল ৪টায় “সালিম আলী” মিউজিয়াম থেকে বের হলাম। সূর্য অস্ত যেতে আরো আড়াই ঘন্টা বাকি। তাই আমাদের হাতে এই আড়াই ঘন্টাই সময় ছিলো। সকলের সঙ্গে আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিলাম যে, যতটুকুন সম্ভব ৪,৫, ও ৬ নাম্বার জোনে ঝটিকা সফর দিবো। নতুন কিছু সংগ্রহের লোভে।

আমরা যার যার রিক্সায় উঠে রওনা হলাম। আমি ও কিসমত খোন্দকার ভাই সকলের আগের রিস্কায়। আমাদের পরে বাকি দুই রিক্সা। ৪ নাম্বার জোনে যাবার পথে জীতেন বললো-“সাহাবজি, আপকো ক্য়ায়া লাগা হামারা এ্যা ন্যাশনাল পার্ক? জো জো বার্ড প্যায়্যা আপলোগ খুশ হ্যায়? আমি জীতেনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বললাম-“হামলোগ খুশ, দিল ভরগিয়্যা”

৪ নাম্বার জোনের ভিতরে প্রবেশের আগে সবার উদ্দেশ্যে ব্রিফ করলাম। বললাম যেহেতু সময় কম তাই প্রতিটি জোনে আমরা ৩০ মিনিটের বেশী সময় নষ্ট করবো না। জোনের ভিতরের পথে এক নজর দেখা ছাড়া কোন বিকল্প নাই। তাই সকলে যেন একসঙ্গে দলবদ্ধ হয়ে থাকি। কারন নুতন কিছু পাওয়া গেলে যেন অন্যদের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট করতে না হয়। সকলে সম্মতি দিলো।

এই জোনে হাঁস জাতীয় পাখির উপর আমার কোন আগ্রহ ছিলো না। জলাশয়ের ভিতরে ও রাস্তার ধারে ছোট ছোট ঝোপ-ঝাড় ও গাছের প্রতি নজর রাখলাম। কারন, যদি কোন ছোট পাখি পাওয়া যায় সেই লোভে। আমি আশাবাদী ছিলাম যে, এই বনে যত প্রজাতির ছোট পাখি পাবো তা সবই হবে আমার নতুন সংগ্রহ। কারন এরা ভারতীয় আবাসিক পাখি। ভৌগলিক রেখা অতিক্রম করে কোন দেশেরই আবাসিক পাখি পরিযায়ী হয় না। নিজ দেশে এদের আহার ও প্রজননের কোন ঘাটতি হয় না।

রাস্তার দুই ধারে শুধু হাঁস আর হাঁস পাখি। তখন এদের দিনের শেষ বেলার খাবারের সময়। বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এরা খাবারের সন্ধানে থাকে। ১ ঘন্টা কোন গাছের ডালে বা জলের ধারে রোস্টিং করে। সূর্য অস্ত যাবার সঙ্গে সঙ্গে গোধূলী-লগনে যার যার নীড়ে ফিরে যায়। আর এমন ভাবেই সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির এই জীব-বৈচিত্রকে চলাফেরার ও জীবন ধারনে অভ্যস্ত করেছেন।

আমরা বেশ কিছু ছোট প্রজাতি পাখির দেখা পেলাম। তার মধ্যে Tree Sparrow বা গেছো চঁড়ুই, Laughing Dove বা পেঙ্গা ঘুঘু, Indian Robbin বা ভারতীয় রবিন, Green Magpie বা সবুজ হাঁড়িচাচা বা সবুজ তাউরা, Monarch বা নীলরাজা, Scally breasted Munia.বা তিলা মুনিয়অ ও Ruddy breasted Crack বা রঙ্গিলা গুরগুরি উল্লেখ যোগ্য। আমার পাঠক বন্ধুদের কাছে ছবিগুলি দেখার অনুরোধ রইলো।
বেশ কয়েক প্রজাতি ছোট পাখির ছবি তুলে আমরা ৪ নাম্বার জোন থেকে বের হলাম। পরবর্তী গন্তব্য ৫ নাম্বার অভিমুখে।

Tree Sparrow বা গেছো চঁড়ুই

Laughing Dove বা পেঙ্গা ঘুঘু

Indian Robbin বা ভারতীয় রবিন, 

Green Magpie বা সবুজ হাঁড়িচাচা বা সবুজ তাউরা।

 Monarch বা নীলরাজা।

 Scally breasted Munia.বা তিলা মুনিয়া

Ruddy breasted Crack বা রঙ্গিলা গুরগুরি

(চলবে)

 

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ