মহিলা কবি ও নারীবাদী

অরুণিমা মন্ডল দাস ২৪ মার্চ ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ১০:২৯:৫৫অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৮ মন্তব্য

tintinrocks_1304954999_2-tumblr_la520sVLi31qe4srwo1_500
সাহিত্য----
সাহিত্য সৃস্টি একটি বড় ব্যাপার। পিতা মাতার ঔরষে সন্তান জন্ম নেয় তেমনি একজন লেখকের গর্ভ থেকে জন্ম নেয় অমৃত সাহিত্য। সাহিত্য মানে ঠিক কি?
দশটা বই গেঁটে নকল করে ঘোল তৈরী করা?
গুরু গম্ভীর শব্দ দিয়ে ভয় দেখানো
ছন্দ মাত্রা তাল কবিতার ক্ষেত্রে জানা খুব প্রয়োজন। যে কবিতা সত্যি মনকে নাড়া দেয় সে কবিতার ছন্দ তাল ঠিক হয়ে যায়। কথায় আছে না কান টানলে মাথা মুখ চোখ সবই চলে আসে।
আমি সহজ সরল সাবলীল ভাষায় সাহিত্য সৃষ্টিতে বিশ্বাসী।
যে সাহিত্য নির্মল নিষ্পাপ । নদীর প্রবহনতার মত সততায় পরিপূর্ণ। আকাশের মত উদার । পূর্ণিমার চাঁদের মত স্বচ্ছ ও ভবিষ্যত দিক নির্দেশক।
মহিলাকবি-

---একজন কবি মানুষের অতি প্রিয় ও কাছের জন। তাঁদের দৈনন্দিন জীবনের স্বচ্ছ দর্পন। এক মোলায়েম মিষ্টি বাঁশির সুরের একরাশ সুখমালা। কবি মহিলা হোক আর পুরুষ হোক তাঁর মধ্যে এক কাল্পনিক শক্তি থাকে। সব কিছু র মধ্যে কল্পনার জগতে ভেসে যেতে ভালোবাসেন।
কবি মহিলা হলে তাঁর দায়িত্ব অনেকখানি বেড়ে যায়। মহিলাদের মধ্যে দয়া মায়া করুণা ব্যাপারগুলো বেশী থাকে। তবে আজকাল মেয়েরাই মেয়েদের বেশী শত্রু বলে প্রমাণিত।
গুণ
একজন মহিলাকবি আমাদের সাহিত্যসমাজের মাতৃস্বরূপা হওয়া উচিত। উনার প্রতিবিম্ব ঠিক সারদাদেবীর মত হওয়া উচিত। উনি শেখাবেন । উনি মারবেন । হাসাবেন আবার কঁাদাবেন ও।
মহিলাকবি ও নারীবাদী------

নারীবাদী কথাটি কেমন রুক্ষ শুকনো রাগী বলে মনে হয়। পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলাটাই যেন খুব বীরত্বের ব্যাপার। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে পুরুষের মুখের উপর কথা বলাটা কি খুব অপরাধ?
আমি মনে করি একজন নারীবাদী ই একজন পুরুষের যথার্থ সহধর্মিনী?তঁার থেকে একজন পুরুষকে কেউ বেশী চিনতে পারবে না ?অতি ঘৃণা না করলে অতি ভালোবাসাও যায় না? মোমের তলায় আগুন জ্বালালে মোম গলতে সুরু করে মানুষের মন তো কোন ছার?ধৃতরাষ্ট্র পুত্রস্নেহে সব অণ্যায় মেনে নিয়েছিলেন? রাজকূলবধূ দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ মাঝসভায় ?কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ?কৃষ্ণের ছলচাতুরী?
তাই ওই নারীবাদী বলে একশ্রেণীর নির্যাতিতা অসহায় মেয়েদের অপমান করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না?
একজন পুরুষের চোখ দিয়ে জল বেরোলে যতটা কষ্ট হয় ঠিক একজন মহিলার পুরুষের বিরুদ্ধে কথা বলতে ঠিক ততটাই কষ্ট হয়?
মহিলা থেকে নারীবাদী সে সখ করে হয় না। ঠিক কতটা আঘাত পেলে হওয়া যায় সেটা সেই জানে । একাকীত্ত্বে ডুবে আপনার বুকটা যখন ফেটে যায় তখন বুঝতে পারবেন ঠিক কতটা পরিমান যন্ত্রণা ? আগুনে হাত ঝলসে দেখতে পারেন কখনো হাত কাটলে তাতে লবণ ছিটিয়ে দেখতে পারেন আর মন ভাঙলে যে যন্ত্রণা সেটা বারবার চাবুক মারে?

সেইজণ্যই বলছি নারীবাদী মহিলাও মানুষ । তাঁদের সম্মান করুন। খিল্লি করে কাটা ঘায়ের দাগে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেবেন না ?

ভাবুন তো আপনার বাড়ির মেয়ের সংগে এরকম ঘটনা ঘটলে সে কি করত। মানুষের আওড়ানো রাগের কথা আর বাইরের ঘোমটাওয়ালা ছবি দেখে মানুষ বিচার করবেন না । মনের ভিতরকার প্রকৃত কষ্টটা অনুধাবন করুন। দেখবেন এবং বুঝতেও পারবেন । তখন রাস্তার কাজের মহিলাদের উদারতাও আপনাকে ভাবাবে আর প্রতিটি নারীবাদী মহিলাকে নিবেদিতা ও ইন্দিরা গান্ধী মনে হবে?

কলকাতা
২২ মার্চ ২০১৬

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ