কি ঘটেছিল নুহ আ. এর আগমণের পূর্বে তা জানতে ধৈর্য সহকারে পড়তে থাকুন।
মহান নবী হযরত নুহ আলাইহিসসালাম ও তার পূর্বপুরুষগণের পরিক্রমা জানাটা জরুরী কেননা আদম আ. ও নুহ আ. এর মধ্যবর্তী সময়েই রোপিত হয়েছিল শিরকের ভয়াবহ বীজ।
নুহ ইবন মালাক ইবন মুতাওশশালিখ ইবন খানুম। আর খানুম হলেন ইদরিস ইবন য়ায়দ ইবন মাহলাইন ইবন কীনন ইবন আনূশ ইবন শীচ ইবন আবুল বাশার আদম আলাইহিসসালাম। আদম আলা. এর ওফাতের একশত ছাব্বিশ বছর পর তার জন্ম। আহলে কিতাবদের প্রাচীন ইতিহাস মতে, নুহ আ. এর জন্ম ও আদম আ. এর ওফাতের একশ ছেচল্লিশ বছরের ব্যবধান ছিল। দুজনের মধ্যে ছিল দশ করন (যুগ) এর ব্যবধান। রাসুল স. কে এক ব্যক্তি জানতে চান, হযরত আদম আ. নবী ছিলেন কিনা? জবাবে রাসুল স. বলেন- হ্যা, আল্লাহ তার সাথে কথা বলেছেন। লোকটি আবার জানতে চাইল- তার ও নুহ আ. এর মাঝে ব্যবধান ছিল কত কালের? রাসুল স. উত্তরে বললেন- দশ যুগের।
সাধারণ্যে প্রচলিত- এক করণ বা এক যুগ বলা হয়-একশ বছর সময়কে। সেই হিসাবে উভয় নবির মধ্যে ব্যবধান ছিল এক হাজার বছরের। দুজনের মধ্যবর্তী সময়ে এমন কিছু যুগ অতিবাহিত হয়েছে যখন লোকজন ইসলামের অনুসারি ছিল না।
পক্ষান্তরে, যদি করন দ্বারা প্রজন্ম বুঝানো হয়ে থাকে- আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“নুহের পর আমি কত প্রজন্মকে ধ্বংস করেছি।”- (17:17)
“তারপর তাদের পরে আমি বহু প্রজন্ম সৃষ্টি করেছি।”- (23:42)
“ তাদের অন্তবর্তী কালের বহু প্রজন্মকেও।” – (25:38)
“ তাদের পূর্বে কত প্রজন্মকে আমি বিনাশ করেছি।” (19:74)
নুহ আ. এর পূর্বে বহু প্রজন্ম দীর্ঘকাল বসবাস করেছিল। এ হিসাবে আদম আ. ও নুহ আ. এর মধ্যে ব্যবধান দাঁড়ায় কয়েক হাজার বছরের। আল্লাহই সবজ্ঞ।
যখন মুর্তি ও দেব-দেবীর পূজা শুরু হয় এবং মানুষ বিভ্রান্তি ও কুফরিতে নিমজ্জিত হতে শুরু করে, তখন মানুষের জন্য রহমত স্বরুপ আল্লাহতায়ালা নুহ আ.-কে প্রেরণ করেন। [এই কয়েকটি তথ্য আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া (ইসলামের ইহিতাস : আদি-অন্ত) 1ম খন্ড 230 পৃষ্ঠায় নুহ আ. এর কাহিনী থেকে নেয়া হয়েছে ] (চলবে)
৬টি মন্তব্য
মাছুম হাবিবী
অনেক অজানা তথ্য জানলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। বেশ ভালো লিখেছেন, চালিয়ে জান।
মোঃ খুরশীদ আলম
শুভ কামনা রইল আপা। আমার ব্লগে আপনি এই প্রথম মনে হয়।
দুয়া করবেন যেন হক্ব কথা বলে যেতে পারি আমৃত্যু।
মোঃ মজিবর রহমান
খুরশীদ ভাই, আপনার নিকট আবেদন রইল ইসলামের ইতিহাস সাহ কুরয়ানের আয়াতসহ প্রমাণ আনবেন। আপনার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। আমীন।
মোঃ খুরশীদ আলম
আমার আলোচ্য নিবন্ধের কোথাও আমি আমার কোন নিজস্ব বাক্য জুড়ে দিইনি। সচরাচার আমরা যেভাবে লিখি এই লেখাটা তার ব্যত্ক্রিম। মূলত এই লেখায় বিভিন্ন কিতাবের রেফারেন্স দেয়া হয়েছেমাত্র। এই লেখা থেকে চলমান ইস্যু নিয়ে আপনাদের হৃদয়ের গভীরে উদীয়মান যে কোন প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
প্রমাণ আর কি আনবো বলেন? আমিতো প্রত্যেকটা বাক্যের পিছনে প্রমাণ স্বরুপ কথাগুলো কোথা থেকে নিয়ে আসছি সেটা উল্লেখ করেছি। এখন আপনারা কিতাবের পৃষ্ঠা দেখে দেখে সেগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
এতো তথ্য জানা ছিলো না
মোঃ খুরশীদ আলম
পাশে থাকুন আপা। আশা করি আপনার জ্ঞানের দ্বার উন্মুক্ত হবে। জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পেতে থাকবে।