ভাল বাসা

চাটিগাঁ থেকে বাহার ২৭ অক্টোবর ২০১৯, রবিবার, ১১:৩২:০৮পূর্বাহ্ন গল্প ২৪ মন্তব্য

(ভাংতি গল্প)
:
রইসুল আবিদ তাকে ছাড়ার পর থেকে মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করছে সে কতো ভালো ছিল । মানুষ হারিয়ে বুঝে, রইসুলও এখন বুঝতে পারছে সে ছিলো শান্তির ঠিকানা। সারাদিনের কর্মক্লান্ত, পরিশ্রান্ত দেহমন নিয়ে রইসুল যখন সন্ধ্যায় তার কাছে ফিরে যেত, তখন সে পেত নির্মল শান্তির বার্তা। তার সান্বিধ্য পেয়ে নিজের অজান্তেই মুদে আসত আঁখিজোড়া। তার মধ্যে আগুন, পানি, আলো- কোন কিছুর কমতি ছিলোনা, মেঝেতেও ছিল নক্সী করা হাফসা। দক্ষিণা জানালায় ছিল শান্তির সমিরণ যেন ষোড়ষীর মায়াময় চাহনী, যেন বাসরে নববধুর ঘোমটার ভিতর কালো চোখের কাজলরেখা । বেলকনিতে আধফালি চাঁদের বিচ্ছুরিত আলো ঢেউ খেলতো। শ্রমজীবী, কর্মজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী সবার জন্য এটা মনের মতো হওয়াটা যে খুবই জরুরী।
এখন সে বুঝতে পারছে তাকে ছেড়ে দেয়া ঠিক হয়নি। তারমত জিনিস একটি ছেড়ে আরেকটি বদল করা যে কত কষ্টের তা ভূক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝতে পারবেনা ।

পচা নালার ভিতর হারিয়ে যাওয়া সুঁই খুজে পাওয়া হয়তো সহজ কিন্তু ভাল বাসা খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন ।

এমন কোন বন্ধু, সুহৃদ কি রইসুল আবিদের নেই যে তাকে একটি ভাল সুন্দর মনোরম পরিবেশে বাসা ঠিক করে দিতে পারবে !
তার যে বড়ই দরকার একটি ভাল ফ্যামেলী বাসা।

এখন তো রইসুল আবিদের গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে, ‘আমায় একটি ভাল বাসা দাও......’

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ