ভালোবাসি তোমায় (৩২তম খন্ড)

ইঞ্জা ২৩ অক্টোবর ২০১৬, রবিবার, ০৯:২৩:০২অপরাহ্ন গল্প ২৯ মন্তব্য

 

images-15

 

অভির মা আর প্রিয়ন্তী ড্রয়িং রুমে বসে গল্প করছিলো আর সে সময়ই ক্রিং ক্রিং শব্দ করে উঠলো ঘরের ল্যান্ড ফোন, শব্দ শুনে অভির মা উঠে গিয়ে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললেন, অপর প্রান্ত থেকে শব্দ ভেসে এলো এক অপরিচিতার, জি আমি এপোলো হসপিটাল থেকে বলছি।

জি বলুন, অভির মা জবাব দিলেন।

ম্যাম অভি সাহেব আপনার কি হোন?
আমার ছেলে, কেন কি হয়েছে, উৎকন্ঠা নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন।
জি উনি কার এক্সিডেন্ট করে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অভির মা টলে উঠে সোফায় বসে গেলেন আর তা দেখে প্রিয়ন্তী কি হয়েছে কি হয়ে বলে দৌড়ে গেল মার পাশে, তাড়াতাড়ি মার থেকে ফোনটা নিয়ে বললো, হ্যালো কে বলছেন।
জি ম্যাম আমি এপোলো হসপিটাল থেকে বলছি, অভি সাহেব কার এক্সিডেন্ট করে আমাদের হাসপাতালে আছেন, আপনারা চলে আসুন।
ভাইয়া কেমন আছে?
জি উনার অবস্থা তেমন ভালোনা, তাই আপনারা চলে আসুন বলেই মহিলা ফোন রেখে দিলেন।
প্রিয়ন্তী চিৎকার করে কেঁদে উঠলো মাকে জড়িয়ে ধরে, মা ভাইয়ার বড় এক্সিডেন্ট হয়েছে, আমাদের যেতে হবে।
প্রিয়ন্তী কাঁদতে কাঁদতে ড্রাইবারকে গাড়ী বের করতে বলে মাকে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে গেলো।
প্রিয় তুই জিএম সাহেবকে ফোন দিয়ে বল দ্রুত হাসপাতালে আসতে।
প্রিয়ন্তী নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে জিএমকে ফোন দিয়ে আবার হাউ মাউ করে কেঁদে দিলো আর জানালো অভি এই মুহুর্তে এপোলো হাসপাতালে আছে আপনি দ্রুত চলে আসুন, বলেই ফোন কেটে দিলো, এরপর মার সাথে সাথে সুরা আর দোয়া পড়তে লাগলো ভাইয়ের জন্য।

প্রিয়ন্তীরা যখন হাসপাতালে এসে পোঁছালো তখন হাসপাতালের সামনেই অনেক সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ে এলো গাড়ীর সামনে, অভির মা প্রিয়ন্তী গাড়ী থেকে নেমে দাঁড়ালে সবাই তাদের ঘিরে ধরে না প্রশ্ন করতে লাগলো আর সেই মুহুর্তে হাসপাতালের সিকিউরিটিরা এসে ওদের উদ্ধার করে ভিতরে নিয়ে গেলো, প্রিয়ন্তী রিসেপশন থেকে অভিকে কোথায় রাখা হয়েছে জেনে মা মেয়ে দুজনেই লিফটে চেপে ওটির ফ্লোরে এসে এটেন্ডেন্ট ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিজেদের পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করলো অভি কোথায় এখন?
এটেন্ডেন্ট ডাক্তার ওনাদের জানালো, অভির অবস্থা ভালোনা, খুব সিরিয়াস এক্সিডেন্ট করেছেন অভি সাহেব, উনাকে এই মুহুর্রতে রক্ত দেওয়া হচ্ছে ইনিশিয়াল প্রিকশন হিসাবে আর উনি এখন ওটির পাশে আইসিইউতে আছেন, উনার দ্রুত অপারেশনের দরকার আছে কারণ উনি মাথা আর পুরা শরীরের ইনজুরি নিয়ে এসেছেন, ভাগ্যক্রমে এক্সিডেন্টের সময় উনার গাড়ীর পিছনেই এপোলোর এম্বুলেন্স থাকায় উনাকে দ্রুত এইখানে নিয়ে আসা হয় আর উনারা পকেটে উনার বিজনেস কার্ড পাওয়া যাওয়াতে আপনাদের খবর দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তাহলে এখন ভাইয়া কেমন আছে?
কেমন আছে বলার সময় হয়নি এর আগে আপনারা বলুন উনার অপারেশন করবেন কিনা?
অবশ্যই করবো, কিন্তু আগে ভাইয়াকে আমরা দেখতে চাই।
আপনাদের এই অবস্থায় না দেখা ভালো হবে আর উনার জ্ঞানও নাই এই মুহুর্তে, আপনারা এই নো অবজেকশন ফরমে সাইন করে দিন আমরা অপারেশন শুরু করে দিই, ওনাকে ওটিতে নিয়ে যাওয়ার সময় আপনারা একটু দেখতে পাবেন।
প্রিয়ন্তী ফরমটা নিয়ে ওর মাকে বললো, মা তুমি তাড়াতাড়ি সাইন করে দাও।
অভির মা কাঁপা হাতে সাইন করতে লাগলেন আর ঠিক সেই সময় জিএম এসে প্রবেশ করলেন, এটেন্ডেন্ট ডাক্তার ফরমটা নিয়ে ওদের বাইরে অপেক্ষা করতে বলে দ্রুত বেড়িয়ে গেলো।

প্রিয়ন্তীরা বাইরে এসে কড়িডোরের সোফাই এসে বসে পড়লো, অভির মা এখনো কান্নাকাটি করছেন, প্রিয়ন্তীর চোখেও জল, প্রিয়ন্তী জিএমকে জিজ্ঞেস করলো, আপনার এতো দেরি কেন?
এসেছি আরো আগে ম্যাম কিন্তু বাইরে সাংবাদিকরা এমন করে ধরলো স্যারের কথা জানতে, তাদের বলে বুঝিয়ে আসতে সময় লাগলো।
সাথে টাকা পয়সা কিছু এনেছেন?
না আনিনি কিন্তু অসুবিধা হবেনা, আমি ব্যবস্থা করে নিতে পারবো।
প্রিয় তোর হক আনকেলকে খবর দে, অভির মা চোখ মুঁছতে মুঁছতে বললেন এরপর দুহাত তুলে আল্লাহর কাছ থেকে অভিকে সুস্থ করার জন্য ফরিয়াদ করতে লাগলেন।
প্রিয়ন্তী হক সাহেবের নাম্বার ওর কাছে না থাকায় মোনালিসার নাম্বারে কল দিলো, অপর প্রান্ত থেকে মোনালিসা বললো, প্রিয়ন্তী এতোদিন পর কল দিলে?
আপু ভাইয়া বড় ধরণের এক্সিডেন্ট করেছে, এখন এপোলো হাসপাতালে, কিছুক্ষণের মধ্যে ভাইয়ার অপারেশন হবে, আপু শুনছো?
অপরপ্রান্ত থেকে মোনালিসার কান্নার শব্দ এরপর মোনালিসা জিজ্ঞেস করলো, অভি কেমন আছে?
জানিনা আপু কিছুই জানিনা, ভাইয়াকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে, আমরাও দেখতে পারিনি, তুমি আনকেলকে জানাও।
আমরা আসছি, তোমাদের খেয়াল রেখো বলেই মোনালিসা ফোন কেটে দিলো।
কিছুক্ষণ পরেই অভি নিয়ে,আসা হলো স্ট্রেচারে করে, সারা মুখে ব্যান্ডেজ, সার্ট খুলে ফেলা হয়েছে, সারা গায়ে সাদা চাদর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে, মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগানো আর হাতে সেলাইন লাগানো। প্রিয়ন্তীরা সবাই দৌড়ে অভির দিকে গেলো, অভির এই অবস্থা দেখে অভির মা আর প্রিয়ন্তী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো, অভির মা বলতে লাগলো, অভি অভি মা এসেছি, তোর কিছু হবেনা বাবা, আমি আছি, আমাকে ফেলে যাসনা বাবা, আমাকে ফেলে যাসনা, তোকে ছাড়া আমি বাঁচবোনা বাবা, ওয়ার্ডবয়রা দ্রুত অভিকে বহন করা স্ট্রেচার ওটির ভিতরে নিয়ে গেলো।

অভির মা, প্রিয়ন্তী আর জিএম সাহেব, তিন জনই অভির স্ট্রেচারের পিছু পিছু ওটির দরজা পর্যন্ত গেলো, ডাক্তারদের একটা দল লিফট থেকে বেড়িয়ে দ্রুত পায়ে ওটির দিকে এগিয়ে এলো এবং পর পর সবাই ওটির ভিতরে প্রবেশ করলো আর তা দেখে অভির মা কানবা শুরু করে দিলেন, প্রিয়ন্তীও কাঁদছে এরপরেও মাকে ধরে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসালো, এ সময়েই একজন ওয়ার্ডবয় এসে খবর দিলো কেউ একজন যেন আসেন বিল সেটেলমেন্ট ডিপার্টমেন্টে, জিএম সাহেব নিজেই বললো,আমি যাচ্ছি, উনি চলে গেলেন ওয়ার্ডবয়ের পিছে পিছে,। প্রিয়ন্তী মাকে জড়িয়ে ধরে বসে রইল আর বলতে লাগলো, মা তুমি টেনশন করোনা, দেখো ভাইয়া ঠিকই ঠিক হয়ে যাবে, তুমি এইভাবে কান্না করোনা, বলতে বলতে সে নিজেও কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো আবার।
আধা ঘন্টা পর জিএম সাহেব এসে অভির মাকে বললেন, ম্যাডাম, এরা দশ লাখ টাকা ডিপোজিট চাইছে, তাও এখন, এই মুহুর্তে।
এই রাতে আপনি এতো টাকা কই পাবেন, অভির মা চোখ মুছে জিজ্ঞেস করলেন।
ম্যাডাম আমি উনাদের চেক দেবো বলেছি যা উনারা কাল ক্যাশ করে নেবেন কিন্তু চেকে আপনার সিগনেচার লাগবে।
চেক সাথে আছে?
জি আমি অফিস থেকে নিয়ে এসেছিলাম।
ঠিক আছে আপনি লিখুন, আমি সাইন করে দিচ্ছি।
জিএম পাশের সোফায় বসে দ্রুত চেক লিখে অভির মাকে দিলো সাইন করার জন্য, অভির মা সাইন করে দিলে জিএম দ্রুত লিফটে করে চলে গেলো।
রাত দশটার দিকে মোনালিসা আর হক সাহেব এসে পোঁছালেন হসপিটালে, এসেই অভির মা আর প্রিয়ন্তীর কাছে এসে জিজ্ঞেস করলেন, অভির খবর কি?
অভির মা উঠে দাঁড়াতে গেলে হক সাহেব বললেন, ভাবী আপনি বসুন।
প্রিয়ন্তী তো মোনালিসাকে জড়িয়ে ধরে কান্না আর কান্না।
জিএম সাহেব এগিয়ে এসে হক সাহেবকে খুলে বললেন, তখন হক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন, কি ভাবে এক্সিডেন্ট হলো?
স্যার আমরা কিছুই জানিনা, শুধু জানি অভি স্যার যেখানে এক্সিডেন্ট করেছেন সেইখানকার কাছাকাছি এপোলোর এম্বুলেন্স খালি এগিয়ে আসছিলো, ওরাই দ্রুত তুলে নিয়ে এইখানে আসলে আমাদের খবর দেওয়া হয়।
হুম, ঠিক আছে এখন অপেক্ষা ছাড়া আর উপায় নেই বলেই উনি সামনের সোফায় গিয়ে বসলেন।

রাত গড়াচ্ছে,ডাক্তার নার্সদের দৌড়াদৌড়ি করে কেউ ভিতরে যাচ্ছে কেউ বেড়িয়ে আসছে কিন্তু উনাদের কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলছেন আপনারা দোয়া করুন বলেই আবার দৌড় আর এইসব দেখে সবাই ভেঙ্গে পড়ছে, রাত দেড়টার পরে সিনিয়র ডাক্তার বেড়িয়ে এলেন, পিছে পিছে আরো কয়েকজন সাথে এলে প্রিয়ন্তী, অভির মা সহ সবাই দৌড়ে ডাক্তারদের দলের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন, অভির মাই প্রথম জিজ্ঞেস করলেন, ডাক্তার সাহেব আমার ছেলে কেমন আছে, চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় করে পানি পড়ছে।
উনার বেশ অনেক গুলো অপারেশন হয়েছে, হাতে, পায়ে, শরীরে আর মাথায় প্রচুর ইনজুরি ছিলো, আমরা যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করেছি আউটার ইনজুরি গুলোর কেয়ার নিতে, এখন উনাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে কারণ প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে, এখনো উনি অজ্ঞান অবস্থাতে আছেন আর জ্ঞান না ফেরা পর্যন্ত আমরা আর কিছুই বলতে পারবোনা, এখন উনার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, উনিই পারেন সব, বলেই উনারা চলে গেলেন, পনেরো মিনিট পর ওটির দরজা খুলে গেলে ওয়ার্ডবয়রা অভিকে নিয়ে বেড়িয়ে এলো, অভিকে অভি বলে মনে হচ্ছেনা, সারা মুখ, মাথা আর শরীরে ব্যান্ডেজ আর ব্যান্ডেজ, সবাই অভিকে দেখতে লাগলো আর অভির মা আর প্রিয়ন্তী কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো, মোনালিসা ওনাদের সরিয়ে নিয়ে গেলে, অভির স্ট্রেচার নিয়ে ওয়ার্ডবয়রা আইসিইউতে নিয়ে চলে গেলো।

হক সাহেব এগিয়ে এসে অভির মার সামনে দাঁড়ালেন আর বললেন, ভাবী আপনারা বাসায় যান কিছুক্ষণ রেস্ট করুন।
না ভাই আমি যাবোনা এইখান থেকে, আমি আমার ছেলেকে নিয়েই ঘরে যাবো।
ভাবী, আপনার শরীরের দিকেও তো তাকাতে হবে, প্রিয়ন্তী উঠো, মাকে নিয়ে বাড়ী যাও, আমরা আছি এইখানে।
না আনকেল আমরা এইভাবে কেমনে যায়, ভাইয়া আজ কিভাবে আছে আমরা জানিনা, না আনকেল আমরা যাবনা, বরঞ্চ আপনারা বাসায় যান রেস্ট করুন।
ঠিক আছে এখন মা হয় আমরা কেউ না যায়, জিএম সাহেব আপনি চলে যান, কাল তো অফিস আছেনা, সকালে বা দুপুরে একবার ঘুরে যাবেন, যান আপনি চলে যান।
জিএম সবাইকে সালাম দিয়ে বেড়িয়ে গেলো।
ভাবী আপনারা নিশ্চয় কিছু খাননি, আমি দেখি কিছু পাই নাকি, হক সাহেব বললেন।
ভাই আপনি কষ্ট করবেন না, আমার এখন কিছু খেতে ইচ্ছে করছেনা।
আনকেল আমারো খেতে ইচ্ছে করছেনা, প্রিয়ন্তী চোখ মুছতে মুছতে বললো।
মামনি, যত কিছুই হোক, কিছু না খেলে ক্ষতি হয়ে যাবে যে, তোমরা থাকো আমি আসছি, লিসা মা, তুই থাক আমি আসছি, বলেই উনি লিফটের দিকে পা বাড়ালেন, দশ মিনিট পর আবার ফিরে এসে বললেন ভাবী, প্রিয়ন্তী আপনারা চলুন, অভিকে যে আইসিইউতে রাখা হয়েছে তা পাঁচ তলায় আর ছয় তলায় রয়েছে এদের ভালো একটা ক্যান্টিন, চলুন আমরা সেখানে যায়, অযথা এইখানে বসে থেকে তো লাভ নেই, চলুন চলুন, লিসা তোর আন্টিকে ধর।
মোনালিসা এগিয়ে এসে অভির মাকে ধরলে অভির মা উঠে দাঁড়ালো আর প্রিয়ন্তীও পিছে পিছে এগুলো।

হক সাহেব লিফটে ফিফথ ফ্লোরে এসে ক্যান্টিনে প্রবেশ করলে অভির মা বললেন, ভাই আমি তো কিছু খাবোনা।
ভাবী আপনি হাল্কা হলেও খাবেন, খেতে হবে, বলেই হক সাহেব সবাইকে নিয়ে এগুলেন আর একটা টেবিলে সবাইকে বসিয়ে নিজে গেলেন খাবার অর্ডার দিতে, কাউন্টারে গিয়ে উনি চারটা চিকেন সুপ, চিকেন স্যান্ডুউইচ আর মিনারেল ওয়াটারের অর্ডার দিয়ে পেমেন্ট করে এসে টেবিলে বসলেন।
আধা ঘন্টার ভিতরে খাবার দিয়ে গেলো ক্যান্টিন ওয়েটার, অভির মাকে জোড় করে সুপ খাওয়ানো হলো কিন্তু উনি সেন্ডউইচ ধরেও দেখলেন না, প্রিয়ন্তী আর মোনালিসা হাল্কা খেলো, খাওয়া শেষ হলে চারজনই আধ খাওয়া পানির বোতল নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে পাঁচ তলায় এসে অভিকে রাখা আইসিইউর সামনে গেলে দেখতে পেলো, পুরা আইসিইউ দেখা যাচ্ছে কারণ গ্লাস দেওয়া আছে আর অভিকে রাখা হয়েছে আইসিইউর এক কোনার বেডে যা একদম গ্লাসের পাশেই যেন অভিকে ধরা যাবে, অভির শরীরে, হাতের আঙ্গুলে অনেক যন্ত্রপাতি লাগানো আর বেডের পাশেই আছে ইলেক্ট্রনিক লাইফ সাপোর্ট মেশিন, যেখানে দেখা যাচ্ছে অভির হার্ট বিট রেইট যা খুব ধীরে ব্লিপ করছে।

___________ চলবে।

ছবিঃ Google.

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ