ভালোবাসি তোমায় (২৮তম খন্ড)

ইঞ্জা ১ অক্টোবর ২০১৬, শনিবার, ০৪:৪২:৫৮অপরাহ্ন গল্প ১৮ মন্তব্য

 

FB_IMG_1468558202923
টুট টুট টুট টুট শব্দে কয়েকটা রিং হতেই অপর প্রান্ত থেকে ফাল্গুনীর কন্ঠ ভেসে এলো, হ্যালো আপু তুই ফ্রি হয়েছিস?
হাঁরে ফ্রি হয়েছি, তা তোরা সবাই কেমন আছিস, আব্বু, আম্মু শ্রাবণ কেমন আছে, জিজ্ঞেস করলো অবণী।
সবাই ভালো আছে আপু।
তোদের পড়া লেখা ঠিক মতো হচ্ছে তো নাকি ফ্রি হয়ে টো টো করে ঘুরছিস?
না আপু, খুব করে পড়ছি, আব্বু আম্মুর কড়া অর্ডার ভালো পড়াশুনা করে তোর মতো হতে হবে।
আমার মতো নয়, আমার চাইতেও বেশি কিছু হতে হবে এইটা মনে রাখবি নইলে দুজনকেই তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেবো মনে রাখিস, তা শ্রাবণ কই?
আছে, পাশেই আছে।
ওকে ফোন দে।
আপু তোমার সাথে আমার কথা ছিলো।
তোর সাথে পরে বলছি আগে ওকে দে।
আচ্ছা কথা বল, বলেই ফোনটা,শ্রাবণীকে ফোন দিলো।
হ্যালো আপু কেমন আছো, শ্রাবণী উচ্ছাস নিয়ে জিজ্ঞেস করলো।
হাঁরে ভালো আছি, তুই ভালো আছিস তো?
হাঁ ভালো আছি শুধু তোকে খুব মিস করি আপু।
আমিও মিস করিরে, আমিও খুব মিস করি, তা পড়াশুনা ঠিক মতো করিস তো?
হাঁ আপু করছি।
ঠিক মতো পড়াশুনা করিস আর তোদের কিছু লাগলে আমাকে বলিস।
না আপু কিছু লাগবেনা, তুমি কবে আসবে?
মাত্রই তো এলাম, আসলেও কয়েক বছর লাগবে, আচ্ছা তুই ভালো থাক আর ফাল্গুনীকে দে।
নাও আপু কথা বলবে, ফাল্গুনীর দিকে সেল ফোনটা এগিয়ে দিলো।

ফাল্গুনী ফোন ধরেই বললো, হ্যালো আপু।
হ্যাঁ বল তোর ইম্পরট্যান্ট কি কথা আছে শুনি।
আপু আমি না ইউনিভারসিটি থেকে চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম স্টাডি ট্যুরে।
ভালো কথা।
চট্টগ্রামে আমি হোটেল পেনিন্সুলাতে উঠেছিলাম।
কিরে, তোদের কি টাকা পয়সা বেশি হয়ে গিয়েছে যে এতো দামি হোটেলে উঠেছিলি, রাগিত সুরে অবণী বলল।
না না আপু, আব্বুই জোড় করে ওই হোটেলে উঠালো।
ওহ আব্বুই এই কাজ করেছে।
হেঁ আপু আব্বু নিজেই ফোন দিয়ে ঠিক করে দিলো হোটেলটি।
হুম তা এই ইম্পরট্যান্ট কথা বলার জন্য জরুরী ফোন করতে বলেছিস, অযথা সব প্যানপ্যানানি, ফোন রাখলাম আমি, বলেই ফোন কানের কাছ থেকে সরিয়ে কাটতে গেল কিন্তু অবণীর কানে লাগলো ফাল্গুনী বলছে আপু অভি ভাইয়ার সাথে দেখা হয়েছে।
অবণী ফোনটা আবার কানে লাগিয়ে বললো, কি বলছিলি?
অভি ভাইয়ার সাথে ওই হোটেলে দেখা হয়েছে এর আগে ভাটিয়ারীতেও দেখা হয়েছিল কিন্তু আমি এভয়ড করে গিয়েছিলাম।
অবণী যেন শক্ত হয়ে গেল, পুরা শরীর ভেঙ্গে যাচ্ছে।
আপু, আপু শুনছিস।
অবণী ছোট করে বললো, হু।
আপু অভি ভাইয়া বলছিলো, উনার কোনো গার্লফ্রেন্ড নেই।
তুই এইসব ফালতু কথা বলার জন্য ফোন দিয়েছিস, ওর গার্লফ্রেন্ড আছে কি নেই তাতে আমার কি আসে যায়?
শুননা আপু।
না আমার শুনার কিছু নেই বলেই ফোন কেটে দিলো অবণী এরপর কান্নাই ভেঙ্গে পড়লো, নিজেকে নিজে প্রশ্ন করলো, কেনো ও মিথ্যে বলছে যেখানে আমি নিজে দেখেছি ওর গালে মেয়েটির চুমুর দাগ, মেয়েটি অফিসেও এসেছিলো, আমি নিজেই দেখেছি মেয়েটির সখ্যতা ওর সাথে, তবুও মিথ্যে বলার কি আছে?

অবণীর ঘুম ভাঙল সকাল সাড়ে সাতটাই, অবণী কিছুক্ষণ শুয়ে রইল বিছানায়, কাল রাতে ফাল্গুনীর কথা গুলো মনে পড়লে বড় করে এক দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো অবণীর মন থেকে, দরজায় নক শুনে উঠে দরজা খুলে দিলো অবণী, অবণীর চাচী ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বললো, তোর ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম নাকি মা।
না না ছোট মা, এই কিছুক্ষণ আগেই ঘুম ভেঙ্গেছে।
আচ্ছা শুন তুই ফ্রেস হয়ে নিচে আয়, আজ এক সাথে ব্রেকফাস্ট করেই তারপর আমরা বেরুবো।
ঠিক আছে ছোট মা, আমি পনেরো মিনিটের মধ্যেই আসছি, তুমি রেডি করো গিয়ে।
কিরে তোর মন খারাপ নাকি, রাতে কি ঘুমাসনি?
কেন ঘুমিয়েছি তো, তোমার এমন কেন মনে হলো?
তোর চোখ যেন কেমন হয়ে আছে, অসুস্থ ফিল করছিস, জ্বর আছে বলেই কপালে হাত দিয়ে দেখলেন ছোট চাচী, নাহ জ্বর তো নেই?
ছোট মা, তুমি এতো অস্থির হচ্ছো কেন, আমি ঠিক আছি, তুমি যাও আমি আসছি।
ঠিক আছে তাড়াতাড়ি আয় আমরা অপেক্ষা করছি।
ঠিক আছে, আসছি।
ছোট চাচী বেড়িয়ে গেলে, অবণী ওয়াসরুমে গেলো ফ্রেস হওয়ার জন্য, ফ্রেস হয়ে এসে স্লিপিং ড্রেস ছেড়ে স্কার্ট আর টপ্স পড়ে নিলো, ওই সময়েই ওর সেলফোনটা ক্রিক ক্রিক করে সাউন্ড করে উঠলে অবণী এগিয়ে গেলো বেড টেবিল থেকে ফোনটা নেওয়ার জন্য, ফোন তুলে নিয়ে ডায়ালে রবিন লেখা দেখে ফোন রিসিভ করে হ্যালো বললো।
অবণী কেমন আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ্‌ ভালো আছি।
আমি ভাবছিলাম আপনার যদি সময় থাকে তাহলে আজ আমার হোটেলের মেহমান বানাবো আপনাকে।
রিনঝিন শব্দে হেসে উঠলো অবণী তারপর বললো, না আজকে থাক, আজ আমি বাসায় থাকতে চাইছি, কাল থেকে তো অফিস শুরু হচ্ছে, আজ না হয় দাদীকেই সময় দিলাম।
ও হো গ্রেন্ডমাস ডল, ওকে দ্যান উইল সি ইউ টুমরো, আপনাকে প্রথম দিনের অফিসে আমিই পোঁছিয়ে দেবো, ঠিক আছে?
ওকে, তাহলে কাল দেখা হবে, বাই।

অবণী দ্রুত নিচে নেমে এলো ব্রেকফাস্ট করার জন্য, ডাইনিং টেবিলে দাদী আর ছোট চাচী বসে আছে দেখে অবণী জিজ্ঞেস করলো, ছোট বাবা কই, ছোট মা?
তোর ছোট বাবা বাইরের দরজায় তুষার জমে যাওয়াতে তা পরিষ্কার করতে গিয়েছিল, ওইতো এসে গেছে, দরজা খুলে ছোট চাচা ঘরে প্রবেশ করে ওভারকোট খুলে রেখে এগিয়ে এলো।
মারে তুই এসেছিস, বোস বোস ব্রেকফাস্ট সেরে নিই, তোর শুরু কর আমি হাতটা ধুয়ে নিই।
ছোট বাবা তুমি হাত ধুয়ে এসো এক সাথেই খাবো।
ছোট চাচা হাত ধুয়ে এসে চেয়ার টেনে বসলে ছোট চাচী ঢেকে রাখা খাবার গুলো ঢাকনা খুলে সবার প্লেটে প্লেটে পরোটা তুলে দিলেন সাথে অবণী সবার প্লেটে ভাজি তুলে দিতে লাগলো, সবাইকে ভাজি তুলে দিয়ে ঢেকে রাখা আরেক বাটির ঢাকনা তুলে দেখলো কলিজি গিলার লটপটি, অবণী ছোট চাচীর দিকে তাকালে চাচীকে দেখলো মিটি মিটি হাসতে, ও উঠে গিয়ে চাচীকে জড়িয়ে ধরে গালে চকাম করে একটা চুমু খেলো আর বললো, তুমি ভুলো নাই না ছোট মা?
কিভাবে ভুলি তুই যে আমারই মেয়ে বলেই মাথার চুলে হাত দিয়ে এলো মেলো করে দিলেন।
তোমাদের আদর বাসনা শেষ হলে আসো খাওয়া শুরু করি, ছোট চাচা হাসতে হাসতে বললেন।
অবণী নিজ চেয়ারে এসে লটপটির বাটিটা টেনে নিয়ে নিজের প্লেটে নিতে লাগলে দাদী বললো, আমাকেও একটু দিস।
অবণী কপট রাগ দেখিয়ে বললো, তুমি বুড়ো হয়ে গেছো, এখনো লটপটি খাবে?
তুই বুড়ী হয়ে গেছিস, তুই খাইসনে, দে দে বলে প্লেট এগিয়ে দিলেন আর অবণী প্লেটে লটপটি তুলে দিলো।
তোর অফিস তো কাল থেকে শুরু হচ্ছে, চাচা জিজ্ঞেস করলেন।
হাঁ ছোট বাবা।
গাড়ী আসবে তোকে নিতে?
না কাল আসবেনা কিন্তু রবিন ফোন দিয়েছিলো, সে আসবে আমাকে অফিসে পোঁছে দেবে।
ভালো ভালো, তা ছেলেটিকে একদম দাওয়াত দিস এইখানে।
ঠিক আছে দেবো।

ছোট চাচা আর চাচী কাজের উদ্দেশ্যে বেরুলে অবণী পুরা ঘর পরিস্কারের কাজে লেগে পড়লো, ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে প্রতিটি রুম ক্লিন করলো এরপর ধোয়ার কাপড় গুলো নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো পাশের লন্ড্রিতে যাওয়ার জন্য, লন্ড্রিতে কাপড় ওয়াস করিয়ে নিজেই ওখানে প্রেস করে আবার ঘরে ফিরে কাপড় গুলো যার যার রুমে রেখে এসে দাদীর পাশে গিয়ে বসলো।
আজ সব কাজ তুই করলি কেন, দাদী জিজ্ঞেস করলেন।
ঘরটা অপরিষ্কার হয়ে ছিলো আর অনেক কাপড়ও ধোয়ার ছিল, ঘরে বসে ছিলাম তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্যই করে নিলাম দাদী।
ঠিক আছে তুই গিয়ে গোসল করে নে তারপর দুজনে মিলে লাঞ্চ করে নেবো।
ঠিক আছে দাদী, আমি শাওয়ারটা নিয়ে আসি তাহলে।
যা যা দেরী করিসনা, আমার আবার তাড়াতাড়ি খেতে হয়, ঔষধ খেতে হয়তো।
ঔষধের নাম দাও কেন বুড়ী তোমার পেঠ বড় হয়ে গিয়েছে বলো, হাসতে হাসতে অবণী দাদীর গাল দুটো ধরে টেনে দিয়ে দৌড় দিলো উপরে।
দাদীও হাসতে হাসতে বললো "পাগল"।
অবণী নিজ রুমে এসে ড্রেস চেইঞ্জ করে বাথরুমে প্রবেশ করলো শাওয়ার নিতে, আধা ঘন্টা ধরে গরম পানির শাওয়ার নিলো এরপর টাওয়াল জড়িয়ে বেড়িয়ে এলো বাথরুম থেকে, আরেকটা টাওয়াল মাথায় জড়ানো ছিলো, সেইটা খুলে মাথাটা ঝাড়লো কিছুক্ষণ এরপর দ্রেস চেইঞ্জ করে চুল আছড়িয়ে নিলো।
নিচে নেনে এসে দাদীকে ডাইনিংয়ে আসতে বলে খাবার গরম করতে গেল।

বাবা এসেছিস, আয় আয় বলে অভির মা অভিকে গাড়ীবারান্দা থেকে এগিয়ে নিয়ে এলেন, কাজের লোক এগিয়ে গিয়ে গাড়ী থেকে অভির ট্রাভেল ব্যাগ নিয়ে অভির রুমে দিয়ে আসতে গেল।
তা তোর শীপের উদ্বোধন কেমন হলো?
হাঁ মা তোমার দোয়ায় বেশ ভালো হয়েছে, লাস্ট শীপটাও আজ ভয়েজে গেলো।
আলহামদুলিল্লাহ্‌, দোয়া করছি তোর যেন আরো উন্নতি হয়।
প্রিয়ন্তী কই মা?
ও ওর রুমে পড়ছে, জানেনা যে তুই এসেছিস, কাজের লোককে ডেকে প্রিয়ন্তূকে ডেকে আনতে বললেন।
তোর হক চাচাও বেশ খুশি, তুই উনার বাসায় খেয়েছিস, মোনালিসা নিজ হাতে নাকি রান্না করেছে বললেন।
হাঁ মা, তা আলিশান সব খাওয়া দাওয়া রান্না করেছিলো ও।
মেয়েটাও বেশ লক্ষি, বললেন অভির মা।
হুম ঠিক আছে আমি একটু ফ্রেস হয়েনি মা বলেই উঠে পড়লো অভি।
ঠিক আছে যা আমিও রান্নাঘরটা একটু ঘুরে আসি।
অভি সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় প্রিয়ন্তীকে দেখলো নেমে আসতে।
ভাইয়া তুমি এসে পড়েছো?
হুম এসে পড়েছি, ভেঙ্গচি কেটে অভি জবাব দিলো।
প্রিয়ন্তীও জীব দেখিয়ে ভেঙ্গচি দিয়ে বললো, দাঁড়াওনা তোমাকে বাধার ব্যবস্থা করছি, বলেই দৌড় দিলো নিচে। অভি হাসতে হাসতে নিজ রুমে চলে গেল। রুমের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে অভি ড্রেস খুলে ওয়াসরুমে গেলো ফ্রেস হতে, চোখে মুখে পানি দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিতে লাগলো, হটাৎ অভির মাথায় প্রশ্ন এলো, প্রিয়ন্তী কি বললো এইটা, নাকি ওকে খেপানোর জন্য এই কথা বলেছে আবার নিজে নিজেই শ্রাগ করলো, পাগলিটা কিযে বলে, টাওয়ালটা নিয়ে মুখ মুছে বেড়িয়ে এলো অভি।

রুমে এসে অভি পাজামা পাঞ্জাবী পড়ে নিয়ে সোফায় বসে সেলফোনে ইমেইল গুলো চেক করতে লাগলো সাথে একটা সিগারেট ধরিয়ে টান দিলো, ইমেইল দেখা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে আর ওই সময়েই দরজায় নকের শব্দ শুনে চোখ তুলে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, দরজায় কে?
স্যার আমি হারুণ, আম্মা খেতে ডাকছে।
ঢ়িক আছে যাও আমি আসছি বলো, অভি সিগারেটে একটা টান দিয়ে এস্ট্রেতে গুঁজে দিয়ে আগুন নিভিয়ে দিলো এরপর উঠে গিয়ে গায়ে পারফিউম স্প্রে করে রুম থেকে বেড়িয়ে এলো, সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমেই ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসে পরলো যেখানে আগে থেকেই প্রিয়ন্তী আর মা বসে ছিলো।
প্রিয় তোর পরীক্ষা কবে, অভি জিজ্ঞেস করলো।
প্রিয়ন্তী বললো, আগামীকাল থেকে।
তা প্রিপারেশন কেমন?
ভালো ভাইয়া।
হুম, ঠিক মতো পরীক্ষা দিস।
মা প্লেটে ভাত বেড়ে দিয়ে, মিক্সড ভেজিটেবেল তুলে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো এখন কিছু দেবে কিনা।
না মা আগে ভেজিটেবেল খেয়ে নিই, পরে দিও।
অভি খেতে খেতে মাকে জিজ্ঞেস করলো, অভি তোর হক চাচার বাসায় কেমন খাওয়ালো তোকে?
অনেক কিছু, পুরা টেবিল ভর্তি খাবার আর মোনালিসা রেঁধেছে মোনালিসা রেঁধেছে করে করে এমন খাইয়েছে যে আমার আরেকটু হলে পেট ফেটে যেতো, হাসতে হাসতে অভি বললো।
চট্টগ্রামের লোকেরা খাইয়ে আনন্দ পায়।
হুম তাই তো দেখলাম মা।
তোর হক চাচা তো তোর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, তুই নাকি অনেক ইন্টালিজেন্ট, কাজের প্রতি তোর একনিষ্ঠতা তোকে নাকি আরো অনেক বড় করবে।
তাই?
হুম তাই তো বললো, উনি অনেক ইম্প্রেসড।
তা মোনালিসা নাকি তোর সাথে সারাক্ষণ ছিলো, মেয়েটা খুব ভালো, কোনো অহংকার নেই আর বেশ ঘরোয়া।

___________ চলবে।
ছবিঃ Google.

0 Shares

১৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ