ভালবাসা দিবস——–

আলমগীর হোসাইন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, শুক্রবার, ০৪:৩৯:২৯অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩ মন্তব্য

ভালবাসা দিবস--------

আমার কিছু প্রিয় বন্ধুরা আছেন, অনেকই অনুরুধ করেছিলেন আমার ফেইসবুকের ইনবক্স এ, প্লিজ ভালবাসা দিবসে একটা লিখা লিখবেন |আমি পছন্দের বিষয় নিয়ে লিখার আগে বিষয়টা নিয়ে একটু হোমওয়ার্ক  করি, যাইহোক খুব কম সময় নিয়ে "" ভালবাসা" দিবসের এই লিখাটি লিখলাম |

ভালোবাসার সংজ্ঞা যুগে যুগে অনেকে অনেকভাবে দিয়েছে। তবে ভালোবাসার জয়ের কথা গেয়েছে সবাই।১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রেম এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত করা হয়। এই দিনে মানুষ তার ভালোবাসার মানুষকে ফুল, চিঠি, কার্ড, গহনা প্রভৃতি উপহার প্রদান করে দিনটি উদ্‌যাপন করে থাকে।

''বিরামহীন ছুটে চলা জীবনে এক ফোটা বৃষ্টি, এক টুকরো ঝলমলে রোদ, সাদা ছেঁড়া-ছেঁড়া মেঘ হল ভালোবাসা। ভালোবাসা শব্দটি যতবারই শোনা হয়, ততবারই নতুন মনে হয়। ভালবাসা হ”েছ এমন এক অনুভূতি যা মান...ুষের মনে মানুষের জন্য সৃষ্টি করে গভীর টান। ভালোবাসাকে উপেক্ষা করার সাধ্য নেই কারোই।''

পাশ্চাত্য দুনিয়ার প্রেমপাগল মানুষরা বহুকাল ধরে ভালবাসা দিবসটি পালন করে আসছে। কিন্তু ভালবাসা যে একলা ঘরে বন্দী রাখার বস্তুটি নয়। এর কোন পূর্ব-পশ্চিম হয় না। আর তাই নিজ নিয়মে ছড়িয়ে পড়তে থাকে ভ্যালেনটাইনস ডে।

যাঁরা একটু বিজ্ঞ তাঁরা বলেন, প্রেমের কোন দিন থাকে না, ভালবাসলেই ভ্যালেন্টাইন, সেলিব্রেট করলেই ভ্যালেন্টাইন ডে।

বইমেলা, কফিশপ, ফাস্টফুড শপ, লং ড্রাইভ, অথবা নির্জন গৃহকোণে একানত্ম নিভৃতে কাটান প্রেমকাতর তরম্নণ_তরম্নণীরা। এই দিনটি যে শুধু তরম্নণ_তরম্নণীদের তা নয়, পিতামাতা_সনত্মানদের ভালবাসাও বড়মাত্রায় উদ্ভাসিত করে |

এক সময়ছিল একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালবাসার কথা বলতে পারতনা ? এখন ডিজিটাল দুনিয়া ছেলে বলুন আর মেয়ে বলুন দিবি এখন তার প্রিয় মানুষটার সাথে কথা বলে পরতেছে অনলাইনে | ডিজিটালের যুগে তরম্নণ_তরম্নণীরাই বেশি ক্রেজি হয়ে উঠবে দিনটি পালনে। প্রযুক্তির কল্যাণে হাইটেক ডিজিটালের যুগে মুঠোফোনের ৰুদ্র বার্তা, ই_মেইল অথবা ফেসবুকে পুঞ্জ পুঞ্জ প্রেমকথার কিশলয় পলস্নবিত হয়ে উঠবে|

প্রেমিক_প্রেমিকাদের গুঞ্জরণে হয়ত একে অন্যকে বলবে_ 'তোমাকে ভালবাসি আমি। ভালবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে...।'

আমার সব চেয়ে প্রিয় কয়জন বন্ধুর মাঝে মুনায়েম একজন, সে প্রেম করত নদী নামের একটি মেয়ের সাথে | এগুলো নিয়ে বিরাট কাহিনী |

আমাদের সময়ে সিলেট শহরে ডেটিং জায়গায় ছিলনা, শুধু এম সি কলেজ এর প্রিন্সিপাল এর বাস ভবনের পিছন আর গরগবিন্দের টিলা |সে যখন ডেটিংএ যেত আমরা কয়জন দুরে থেকে  মরসাইকেল নিয়ে রীতিমত পাহাড়া দিতাম | এ স্মৃতি গুলো মনে হলে এখন হাসি পায় | আমার জীবনে দেখা -প্রীতির আর ভাল বাসায় ভরপুর সেরা প্রেমিক - প্রেমিকা - এখন পৃথিবীর সেরা জামাই বউ তারা দুজন | সেই ইস্কুল জীবন তেকে প্রেম আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে করে বিয়ে |(আমি সেক্সসপিয়ার এর অনেক সনেট , অনেক বই পড়েছি)
" সেক্সপিয়ার " যে শহর কে বলেছিলেন, স্বর্গের একটুকর " সেই ইতালির ভেনিস " শহরে এখন এই রুমান্টিক জুটির বসবাস |

আমরা অনেকেই জানি, মানুষ হৃদয়ে চিরকাল বাঁচার আকুতি জানিয়ে বলবে "ভালবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে/ আমার নামটি লিখো তোমার/ মনের মন্দিরে। "আর যারা একলা মানুষ তারা হয়ত গুন গুন করে গাইবেন হাজার লোকের মাঝে রয়েছি একেলা যে/ এসো আমার হঠাৎ-আলো, পরান চমকি তোলো...। কারও কারও ভেতরে ভালবাসার সকল অনুভতি তৈরি হয়ে থাকে। কিন্তু কারও জন্য ব্যাকুল মন সেটি আর বোঝা হয় না। কবির ভাষায় যদি জানতে আমার কিসের ব্যথা তোমায় জানাতাম।/ যে আমায় কাঁদায় আমি কী জানি তার নাম...। কেউ আবার সবই জানেন। প্রিয় মানুষটির আশপাশে থাকেন সারাক্ষণ। কিন্তু মুখ ফুটে তা বলতে পারেন না। এমন প্রেমিক-প্রেমিকাদের মনের কথা তুলে ধরতেই হয়ত কবিগুরু বলেছিলেন আমি যে আর সইতে পারি নে।/ সুরে বাজে মনের মাঝে গো, কথা দিয়ে কইতে পারি নে। অন্যভাবে বললে লাগে বুকে সুখে-দুখে কত যে ব্যথা,/ কেমনে বুঝায়ে কব না জানি কথা...। এভাবে নানা কথায় হরেক সুরে বাজবে প্রেম। প্রকাশিত হবে ভালবাসা।

ভালবাসার এই দিনটির ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে অনেক ধরনের কাহিনীর কথা জানা গেছে | তবে যে ভ্যালেনটাইনস ডে ঘিরে এত আয়োজন, উত্তেজনা সেটি নিয়ে আছে ভিন্ন ভিন্ন গল্প।

কারও মতে, ভ্যালেন্টাইনস ডে উদ্যাপন শুরু প্রাচীন রোমে। তখন ১৪ ফেব্রæয়ারি ছিল প্রেমের দেবী জুনোকে সম্মান জানানোর পবিত্র দিন। দিবসটি অনুসরণ করে পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারি উদ্যাপন করা হতো লুপারকেলিয়া উৎসব। সে সময় তরুণ-তরুণীদের খোলামেলা দেখা-সাক্ষাতের তেমন সুযোগ ছিল না। জীবনসঙ্গী নির্বাচনে তাদের জন্য ছিল লটারির মতো একটি আয়োজন। উৎসবের সন্ধ্যায় বেশ কিছু কাগজের টুকরোয় তরুণীদের নাম লিখে একটি পাত্রে রাখা হতো। একটি করে কাগজের টুকরো তুলত তরুণরা।
কাগজের গায়ে যার নাম লেখা থাকত তাকে সঙ্গী হিসেবে পেত তরুণটি। কখনও কখনও ওই দু’জনের মিলনের ক্ষণ এক বছর স্থায়ী হতো। কখনও কখনও তা গড়াত বিয়েতে। নিষ্ঠুর সম্রাট কডিয়াসের শাসনামলে রোম কয়েকটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লিপ্ত হয়। কিন্তু তার সেনাবাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা কম ভর্তি হওয়ায় কডিয়াস উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন। তিনি ধারণা করতেন, পরিবার ও ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার কারণেই যুদ্ধে যেতে রাজি হচ্ছে না পুরুষরা। তাই কডিয়াস গোটা রোমে সব ধরনের বিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
সে সময় রোমে ধর্মযাজকের দায়িত্ব পালন করছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ব্যক্তি। তিনি এবং সেন্ট ম্যারিয়াস খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী তরুণ-তরুণীদের গোপনে বিয়ে দিতেন। বিবাহিত যুগলদের সহযোগিতা করতেন। এ অপরাধে রোমের ম্যাজিস্ট্রেট তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করেন। বন্দী অবস্থায় অনেক তরুণ তাকে দেখতে যেত। জানালা দিয়ে তার উদ্দেশ্যে লেখা চিরকুট ও ফুল ছুড়ে দিত।

উল্লেখ যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকোলেট, অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে |

যবনিকায় বলতেচাই ,
প্রিয়তমাসু,

কর্মময় জীবনের ব্যস্ততায়-----------------
শেষ বিকেলের অবসর ভাবনায়---প্রতি রাতের নিশব্দের কান্নার অসম অনুভুতিতে তোমাকে খুব মিস করি !প্রিয়তমাসু,ভালবাসাবাসা দিবসের সব ভালবাসা তোমার জন্য !!স্বর্গে বসে অনেক ভাল থাক |
ভাল থাকার অনুকরণে আমি অনেক ভাল আছি ---

আলমগীর হোসাইন
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ , ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড |

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ