জীবনটা কেমন যেন থেমে আছে
মানুষ গুলো যেন ওষ্ঠে গাম লাগিয়েছে
চাইছে যেন কেউ মনের কথা বুঝতে না পারে
সবার চলায় যান্ত্রিকতা, শুধু অবাধ্য মন
গাছেরা মৌনব্রত ধারণ করেছে
কোথাও কোন বাতাস নেই
পথিক ঘেমে নেয়ে একাকার
আকাশে জ্বলজ্বলে সূর্য গরম আগুন ছাড়ছে
হাসফাস করছে প্রতিটি জীবন
একটু খানি ছায়ার জন্য
গরগর শব্দে আখের রস টানছে পথিককে
ভনভন করা মাছিদেরও তর সইছেনা
উরে বসছে রসালো রসে
বিরক্তভরা চোখে আখওয়ালা মাছি দৌড়াচ্ছে
গাছে বসা কাক হয়তো বুঝতে পারছে
আসছে, আসছে, কাল বৈশাখি ঝড় আসছে
সাথে নিয়ে অনেক কোলাহল সোঁ সোঁ শব্দে
আসবে সে, ভেজাবে জনপদ
ভিজবে মাটি, সিক্ত হবে পথিক
ভিজবে শরীর, লোনা ঘাম গুলো লুটিয়ে পড়বে
গড়িয়ে চলে যাবে ঐ মাটিতে
আবার হেসে উঠবে বসুন্ধরা।।
১৬টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
বৈশাখ নিয়ে খুব সুন্দর কবিতা।
হ্যান্ডপাম্প ভাইয়া সুন্দর লিখেছেন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু। 😀
আবু খায়ের আনিছ
এই শহরের আবহাওয়াকে আমি বলি বেয়াদপ আবহাওয়া, এখানে কোন কিছুর ঠিক নেই।
ইঞ্জা
জলবায়ু এখন বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে, আল্লাহ্ই জানেন ভবিষ্যতে কি হবে।
ছাইরাছ হেলাল
দারুণ বৈশাখ বন্দনা।
চালু থাকুক,
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাইজান, শিখতে চেষ্টা মাত্র।
নীহারিকা
বৈশাখী ঝড় আমার খুব ভালো লাগে। অবশেষে সেটাকে এনেই ফেললেন।
যাই একটু ভিজে আসি।
ইঞ্জা
যান যান, দেইখেন আবার দপাস হয়েননা, আপনার তো অভ্যাস আছে দাদীজান। ;?
নীহারিকা
হাহাহা আমার অভ্যাস নাই ভাইজান, আমার আশেপাশের লোকজনের আছে। 🙂
ইঞ্জা
:D)
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বৈশাখ নিয়ে লেখা সুন্দর হয়েছে।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই। 🙂
মৌনতা রিতু
বাহ! ভাউজুও তো ফাটিয়ে দিলেন কবিতার শব্দ চয়নে। গল্প, সমসাময়িক ও কবিতা এ দেখি সবখানেই দৌড়াচ্ছেন ভাইজু। বোনদের দিকেও খেয়াল রাখিয়েন। ভাল হইছে কিন্তু। সহজ সরল উপস্থাপন।
ইঞ্জা
আপ্লুত হলাম, একটু লজ্জা পেলামও, আপনাদের মতো বোদ্ধাদের সামনে এ যে কিছুই নয় আপু। 🙂
মেহেরী তাজ
ভাইজান দুদিনের গরমেই জীবন ওষ্ঠাগত। আসুক আসুক ঝড় নিয়েই বৈশাখ আসুক। তবুও আসুক।
সুন্দর হয়েছে ভাইজান…. 🙂
ইঞ্জা
চেত্রের গরম বলে কথা আপু।
ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।