বিষন্নতাঃ বিষন্নতা প্রত্যেক মানুষের জীবনে কোন না কোনভাবে জড়িত।এই বিষন্নতা মানুষের জীবনকে এক মুহুর্তে নষ্ট করে দিতে পারে।তবে বিষন্নতার পরিমান আগে বুঝতে হবে।কেননা কম বেশী সকলেই এই বিষন্নতায় ভোগে।যখনি এর মাত্রা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে যায় তখনি এটা একটা রোগে পরিনত হয়।আর এর ফলেই মানুষ ইচ্ছা না থাকা স্বত্বেও অনেক ধরনের ভুল কাজ করে ফেলে,এজন্যই অনেক্ব নিজেকে অনেকভাবে কষ্ট দেয়,আবার অনেকেই বেঁছে নেয় আত্নহননের পথ।আমরা শুধু দেখি যে কেউ একজন আত্মহত্যা করেছে,খারাপ করেছে,কিন্তু কোন পর্যায়ে গিয়ে সে এই পথ বেঁছে নেয় সেটা খুঁজে না কেউ।বিষন্নতার চরম পর্যায়ে হয়ত সে ভুল,ঠিক কিছুই বুঝতে পারে না।অগত্যা এই পথ বেঁছে নেয়।তবে এটা সঠিক পথ নয়। মন অদ্ভুত একটা সম্পদ।নিজের অজান্তেই মানুষের মন মাঝে মাঝে খারাপ হয়। তখনি ভর করে বিষন্নতা।তবে এটি শুধু ম মন খারাপ বলে পাশ কাটিয়ে যায় না,এটা মানুষের শরীর, মেজাজ কাজ সব নষ্ট করে দেয়।এই বিষন্নতা নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে।অনেকেই চরম পর্যায়ে কাউনসিলিং করে,মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের কাছে যায়,আবার অনেকে এসব করেও নিজেকে এর হাত থেকে রক্ষা করতে পারে না।তাই এই বিষন্নতা থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে উত্তম পন্থা নিজেকে মন থেকে strong রাখা।
আসুন জেনে নেই বিষন্নতা দূর করার কিছু উপায়।।।।
১ ইতিবাচক মানুষের সাথে থাকাঃ বিষন্নতার পিছনে থাকে হতাশা, তাই এটাকে ঝেরে ফেলতে সবচাইতে বেশী দরকার,ভালো সঙ্গী বাছাই করা।তার পাশাপাশি থেকে শুধু positive ভাবে সব দেখা।
২.পর্যাপ্ত ঘুমঃ ঠিকমত ঘুম না হওয়াই বিষন্নতার কারন।কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমালে এটা দূর করা যায়।
৩. সঠিক খাদ্যাভাসঃ বিশেষজ্ঞরা বলেন,উপযুক্ত পরিমানে পুষ্টিকর খাবারের অভাবে বিষন্নতা দেখা দেয়।
৪. মন ফ্রেশ রাখাঃ যেগুলো চিন্তা করলে বিষন্নতা আসবে সেগুলো মন থেকে ভাবা বাদ দিতে হবে।নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হোন,এছাড়া ভালো লাগার কাজ করুন।দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা বাদ দিন,পরিবারের সাথে সময় কাটান,ঘুরতে যান,প্রকৃতিকে ভালোবাসুন।
৪.নিজেকে শক্তিশালী করাঃ আমি পারব,আমাকে পারতেই হবে,এই বিষয়টি বার বার নিজের মধ্যে রাখতে হবে
৫ প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াঃ এই বিষন্নতা বেশি হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, তাছাড়া তার আগে নিজেকে এটা থেকে বের করতে হবে এই বিষয়টি আগে উপলব্ধি করতে হবে।
আসুন বিষন্নতাকে পাত্তা না দিয়ে এটাকে জয় করেই সামনের পথগুলো পাড়ি দেই। নিজে ভালো থাকি,পরিবারের সবাইকে ভালো রাখি।
২৮টি মন্তব্য
ফজলে রাব্বী সোয়েব
ভাল লিখেছেন। শুভ কামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
খাদিজাতুল কুবরা
খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সত্যি বিষন্নতা একটি মারাত্মক সমস্যা। পরিবারের সকলের উচিৎ একে অপরের যত্ন নেওয়া।
এতে বিষন্নতা এড়িয়ে যাওয়া যায় অনেকাংশে।
খুব ভালো লাগলো লেখাটি।
শুভকামনা রইল
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু।
অপার্থিব
নিজেও ভুগেছি এক সময়। উপকারী পোষ্ট।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। বিষন্নতা একটি মারাত্মক ব্যাধি।
ভালো লাগলো। শুভকামনা
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলমগীর সরকার লিটন
সবচেয়ে বিষন্নতার পিচনে থাকে একটি মানুষ সেই মানুষটাকে বুঝতে হবে আমি কি করছি আমার কারণে সে কষ্ট বা বিষন্নতায় থাকবে
আমাদের সমাজেরও দায়বদ্ধা আছে——–চমৎকার লেখেছেন প্রিয় কবির আপু
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আরজু মুক্তা
উপকারী পোস্ট। ভালো লাগলো।
আরজু মুক্তা
বিষণ্নতা বানানটা এমন হবে। ণ + ন
ছাইরাছ হেলাল
খেয়াল করার জন্য ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ। আসলে ফোনে বাংলায় নতুন লিখি তাই ইচ্ছে হলেও ভুল হয়।ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
খুব দরকারি ভাবনা তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
একটু বেশি মনোযোগ লাগবে।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
চমৎকার এক অনুভবে প্রকাশ
শুভেচ্ছা রইল
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শামীম চৌধুরী
বিষন্নতা একটি রোগে। যে এই রোগে ক্রনিক হয়ে ভুগছে সে আত্মহত্যার পথও বেছে নিতে দ্বিধাবোধ করে না। বিষন্নতা সবকিছু ওলোট পালোট করে দেয়। তবে বিষন্নতা থেকে মুক্ত থাকার যে ৫ টি সংজ্ঞা দিয়েছেন সেভাবে চলতে পারলে উপশম পাবে। ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু।
খুব উপকারী একটি পোস্ট।
ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপুনি।
রেজওয়ানা কবির
তোমাকেও ধন্যবাদ আপু।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
ইদানিং এই রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। উচ্চাকাঙ্ক্ষা, প্রেমে ব্যর্থতা, চারপাশের নোংরামি, সামাজিক অবক্ষয় সবার জীবনেই বিষণ্নতা চেপে ধরেছে কমবেশি। পরিবার এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। খুব ভালো লিখেছেন আপু। শুভ কামনা রইলো
রেজওয়ানা কবির
ঠিক বলেছেন,ধন্যবাদ আপু।
তৌহিদ
অত্যন্ত উপকারী এবং জনসচেতনতামূলক পোস্ট। ধন্যবাদ আপনার প্রাপ্য।
ভালো থাকুন।
রেজওয়ানা কবির
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া, লেখাটি পড়ার জন্য।ভালো থাকবেন।
উর্বশী
গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। লকডাউনে এর প্রভাব কিছুটা হলেও এর বিস্তৃতি লাভ করেছে । খুব ভাল লিখেছেন প্রিয়।আন্তরিক ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
ধন্যবাদ আপু।