দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ কার্যকরে রাজনীতিকসহ বিভিন্ন মহল থেকে জোরেশোরে দাবি উঠেছে। এরইধারাবাহিকতায় দক্ষিণের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঐতিহ্যবাহী বরিশাল ব্রজমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ(বিএম কলেজ) ছাত্র সংসদের নির্বাচনের গুঞ্জন চলছে। বিএম কলেজের সর্বশেষ ভিপি নির্বাচিত হন রাজপথ কাঁপানো ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষার। দল কিংবা সংগঠনের কঠিন ক্রান্তিলগ্নে জীবনবাজী রেখে গতিশীলের পথে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বীরত্বের পরিচয় দেন মঈন তুষার ও তাঁর ভক্তরা।
যাইহোক যতদূর খবর মিলছে, বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য চুপিসারে রাজনৈতিক অন্ধর মহলে হিসেব নিকেশ চলছে। দলের জন্য নিবেদিত,ত্যাগী ও সাহসী ছাত্রনেতা মঈন তুষার’র পর কে হচ্ছেন বাকসুর ভিপি? এটাই এখন আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ বরিশালের মূল দলের রাজনীতি বিশেষ করে বিএম কলেজ কেন্দ্রিক। এখান থেকেই যেকোন আন্দোলন সংগ্রামের বিস্ফোরন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। আবার এই বিদ্যাপীঠ থেকেই তৈরি হচ্ছে দেশের জাতীয় নেতা। রয়েছে দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে বেশ কয়েক জন ছাত্রনেতা ভিপি/জিএস/এজিএস পদ পেতে নিরবে এখন থেকেই নানামুখী দৌঁড়ঝাপও শুরু করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ‘ভিপি’ পদে একটি নামই আওয়ামী রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘুরপাক খাচ্ছে। মাঠের রাজনীতিতেও যার বেশ পারফরমেন্স। সংগঠনের প্রতিটি কর্মসূচীতে এ ছাত্রনেতার অংশ গ্রহণ বিদ্যমান। বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে সক্রিয় বেশ কয়েক জন ছাত্রলীগ কর্মীর ভাষ্য, মেধার রাজনীতিতে পথ বেয়ে চলা সম্ভাব্য ভিপি হওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত ছাত্রলীগ নেতার নাম বাকসুর সাহিত্য সম্পাদক মোঃ নূর আল আহাদ সাইদী। যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশের রাজনীতির ম্যানুফেস্টু ধারণ করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে এগুচ্ছে।
এদিকে, ক্যম্পাসের রাজনীতিতে বিরাজমান নেতাকর্মীরা বলছে, মোঃ নূর আল আহাদ সাইদী শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্ছার। সংগ্রামী ছাত্রনেতা। অন্যায়ের প্রতিবাদী ভূমিকায় অবতীর্ন তিনি। এজন্য কেউ কেউ আবার তার প্রতি বিরাগবাজন। অর্থাৎ দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টিতে মাতোয়ারা কেউ কেউ সংগঠনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা তুখোড় ছাত্রনেতা মোঃ নূর আল আহাদ সাইদী’র মেধার বিকাশের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে বিভিন্নমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
প্রসঙ্গত : ২০০২ সালের ১৩ আগস্ট বাকসুর ভিপি হন ছাত্রদল নেতা মশিউল আলম সেন্টু । ওয়ান ইলেভেনের পর সেন্টু র‌্যাবের ক্রস ফায়ারে প্রাণ হারায়। এরপর আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আমলে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ছাত্র লীগের একাধিক গ্রুপ ও বাম ছাত্র সংগঠনগুলো নির্বাচনের দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন গড়ে তোলে। এ নিয়ে একাধিকবার বিবাদমান ছাত্রলীগের দু'গ্রুপর মধ্যে সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে আন্দোলন ঠেকাতে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে কর্ম পরিষদ গঠন করে ছাত্র সংসদ পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়। ভিপি হন ছাত্রনেতা মঈন তুষার ।

0 Shares

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ