বাংলাদেশ ছাত্রলীগ —–

আলমগীর হোসাইন ৩ জানুয়ারি ২০১৫, শনিবার, ১০:২৪:২৯পূর্বাহ্ন বিবিধ ৭ মন্তব্য
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ -----
কথা দিয়ে ছিলাম " বাংলাদেশ ছাত্রলীগ " নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি লিখব !! জী, আমি যখন একটা বিশেষ বিষয়ের উপর কোন কিছু লিখি তখন একটু হোমওয়ার্ক করেই লিখতে পছন্দ করি !! সঠিক তথ্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করি | এই লেখাটার ক্ষেত্রে তাই করেছি |
আগেই ক্ষমা চেয়েনিছি লিখাটি একটু লম্বা !!মোট শব্দ সংখ্যাঃ ১৮৬৫ | ছাত্রলীগ যারা করেন তারা একটু সময় করে লেখাটি পড়লে খুশি হব !! লেখাটি যেহেতু ডকুমেন্টারি তাই আমার ফেইসবুক -টুইটার ও ব্লগে পোস্ট করলাম !!!!

প্রতি সপ্তাহেই সমসাময়িক রাজনীতি কিংবা রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে লিখি কিন্তু আজকে লিখতে বসে মনে হলো, আমরা যে ভয়ঙ্কর নৈতিকতাহীন বা শিক্ষাহীন বা বিনোদনহীন, স্বার্থপর সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি তা নিয়ে কিছু লেখা প্রয়োজন !! আশাবাদী হতে ইচ্ছে করে খুব !!

প্রথমে আমার নিজের ব্যপারটা পরিষ্কার করি --
ছোট -বেলা বাসায় ইত্তেফাক আর বাংলার বানী আসত | তাই খুব কম বয়েস থেকেই মুক্তিযুদ্ধ, রাজাকার, স্বাধীনতা এই শব্দ গুলার সাথে আমার পরিচয় |
ছোট বেলা থেকেই আমি নিয়মিত পাঠ্য পুস্তক এর পাশা- পাশি - বই -উপন্যাস ঐসব- একটু বেশি পড়তাম | বিলেতের ব্যস্ত জীবনে এসেও এই অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসতে পারি নাই | সময় পেলে নিজেও লিখি অনেক কথা, নিজের মত করে |
যাদের বই পড়ে দেশ এর প্রতি ভালবাসা বা প্রেম তৈরি হয়েছিল , তাদের কোন লিখা অনলাইনে পেলে এখনও সব কাজ পেলে রেখে মনোযোগ দিয়ে পড়ি,অনেক ক্ষেত্রে ভিন্ন ব্লগ কিংবা ফেইসবুকে পোস্ট করি ---তাদের মধ্যে আছেন -- মুনতাসীর মামুন, আবেদ খান, শাহরিয়ার কবির,আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী, মুনায়েম সরকার ,হুমায়ুন আহমেদ , আহমদ ছফা ,হুমায়ুন আজাদ , সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান |নতুন পছন্দের মানুষের তালিকায় যুক্ত করেছি জাফর ইকবাল, মাসুদা বাটি,স্বদেশ রায় | |
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর ইয়াং ভার্সন হচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ | সময়ের সাহসী আর মেধাবী ছাত্ররাই ছাত্রলীগ করে | আমার শৈশবের এর স্বপ্ন , কৈশোরের প্রেম আর যৌবনের ভালবাসা ছিল ছাত্রলীগ |
উল্লেখ্য অনেক বছর আগে,আমি একটা কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভোট নির্বাচিত জি এস ( ১৫ বছর আগে )ছিলাম ,সিলেট জেলা ছাত্রলীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম |
তাই ছাত্রলীগ নিয়ে সব সময় আমার ব্যক্তিগত আগ্রহ অনেক বেশি | আমি ব্যক্তিগত ভাবে শামিম-পান্না, বাহাদুর বেপারি-আজয়কর খোকন, লিয়াকত-বাবু( যদিও বাবু ভাইর সাথে এখন যোগাযোগ আছে, তিনি বর্তমান এম পি) | এই কমিটি গুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত ছিলাম | কারণ আমার ছাত্র রাজনীতির সময়ছিল তখন |
যাই হোক, মূলবিষয়ে যাবার আগে কিছু গুরুতপুরন বিষয় সামনে আনতে চাই | আমি অতন্ত বিনয়ের সাথে বলতে চাই ? আজ আপনারা যারা ছাত্রলীগ করেন, আপনারা কত জনইবা জানেন , ছাত্রলীগের মূলনীতি গুলো কি কি ? বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দলীয় সঙ্গীত কে রচনা করেছিলেন ? বঙ্গবন্ধু কি, জয় বাংলা কি, ধর্ম নিরেপক্ষতা কি, বাষট্টির শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে কি ছিল, ছেষট্টির ছয় দফার কিংবা ঊনসত্তরের ১১ দফার দফা গুলো কি কি ছিল, আগরতলা ষরযন্ত্র কি, বাকশাল কি ? ( বিশেষ করে বাকশাল সম্পর্কে জানা খুব জরুরী – কারণ বি এন পি জামাত প্রতি নিয়ত বাকশাল নিয়ে জঘন্য অপ প্রচার করেছে ) | এই বিষয় গুলো জানা প্রত্যেক ছাত্রলীগ কর্মীর জন্য খুবই জরুরী |
দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ | বাংলা ও বাঙালীর স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এ ছাত্র সংগঠনটি। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু হয়।
তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে সেদিন যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের ইতিহাস হচ্ছে জাতির ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়ন, স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনা, গণতন্ত্র প্রগতির সংগ্রামকে বাস্তবে রূপদানের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল সংগ্রামে ছাত্রলীগ নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম আহবায়ক ছিলেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ। ছাত্রলীগ সাংগঠনিক ভাবে কার্যত্রক্রম শুরু করলে এর সভাপতি মনোনিত হন দবিরুল ইসলাম।ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।
বাহান্নর ভাষা আন্দোলনে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে বাঙালীর ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা, '৫৪-এর সাধারণ নির্বাচনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ পরিশ্রমে যুক্তফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত, '৫৮-এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, '৬২-এর শিৰা আন্দোলনে ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, '৬৬-এর ৬ দফা নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া, ৬ দফাকে বাঙালী জাতির মুক্তির সনদ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা, '৬৯-এর গণঅভু্যত্থানে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে পাক শাসকের পদত্যাগে বাধ্য করা এবং বন্দীদশা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করা, '৭০-এর নির্বাচনে ছাত্রলীগের অভূতপূর্ব ভূমিকা পালন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখসমরে ছাত্রলীগের অংশগ্রহণ, স্বাধীনতাপরবতর্ী সামরিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রে উত্তরণসহ প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাৰরে লেখা থাকবে।
ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া সংগঠনের নেতাকমর্ীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষনেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে। তবে সংগঠনটির চলার পথ অনেক ৰেত্রে কুসুমাসত্মীর্ণও ছিল না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই সংগঠনটি বড় ধরনের ভাঙ্গনের কবলে পড়ে।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা তৎকালীন ছাত্রলীগের বেশ কয়েক শীর্ষনেতা সংগঠন ছেড়ে ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নামে নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। ওই সময় জাসদ ছাত্রলীগ নামে আলাদা ছাত্র সংগঠনও গড়ে ওঠে, যা আজ ছাত্র রাজনীতির মাঠে সক্রিয়। এরপরও কয়েক দফায় ভাঙ্গাগড়ার কবলে পড়তে হয়েছে সংগঠনটিকে।
১৯৯০ সালের এরশাদ বিরুধী আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগের অসামান্য অবদান দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাৰরে লেখা থাকবে। ১৯৯৬ সালে ১৫ই ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করা – সহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ছাত্রলীগ ব্যানগার্ড এর ভুমিকায় ছিল |
আজ আপনারা যারা ছাত্রলীগ করেন তাদের কাছে বিনীত অনুরুধ লেখা –পড়া আপনাদের প্রধান কাজ | মনে রাখবেন, একজন ভাল ছাত্র একজন ভাল নেতা হতে পারেন খুব সহজে |
পড়াশোনা ও জ্ঞান অর্জনের আন্দোলনে ছাত্রনেতারা আগে থাকবেন | বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে আপনাদের অনেক সুযোগ | লেখা পড়ার সুযোগ ও সময় টাকে কাজে লাগান – ভবিষ্যৎ গৌরব উজ্জল হতে সময় লাগবে না |
বিশেষ করে সুন্দর বাংলা লিখার ও বলার পাশা-পাশি সুন্দর করে ইংলিশ শিখতে হবে বিশ্ব নেতাদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে | যেহেতু আপনার সরকার ক্ষমতায় তাই নিজেকে উপযুক্ত্ করে তৈরি করার সুযোগ হাত ছাড়া করবেন না |
জাতির জনককে হত্যা করে অবৈধ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা দখলকারী সেনাশাসক জিয়াউর রহমান সত্তরের দশকের শেষদিকে ছাত্রদের হাতে অস্ত্র ও ব্যবসা-বাণিজ্য,টেন্ডার বাজি,তুলে দিয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গঠন করে ছাত্ররাজনীতিতে এই অশুভ ধারার সূচনা করেছিলেন। পরে এর অনুপ্রবেশ ঘটেছে ছাত্রলীগেও।
মাঝে মাঝে ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম ব্যাপকতাও পেয়েছিল !! দুঃখজনকভাবে যা এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে অব্যাহত আছে। গত মেয়াদে ছাত্রলীগ নামধারীদের এই গর্হিত অপরাধ সরকারের অনেক বড় সাফল্যকেও ম্লান করে দিয়েছে। এ মেয়াদে তার পুনরাবৃত্তি হোক, তা কাম্য নয়। আমার কথায় অনেকের মন খারপ হতে পারে, আমি আপনাদের নিরন্তর শুভাকাঙ্খি হিসাবে কথা গুলো উল্লেখ্য করলাম মাত্র |
আজকে যে আপনি ছাত্র নেতা আগামীতে আপনাকে হতে হবে
এম পি ; তার পর মিনিষ্টার !! এখনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন; তবে দেশ গড়বে কে ??
আবার বলছি , আমি বিশ্বাস করি --"একজন ভাল ছাত্র খুব সহজেই একজন ভাল নেতা হতে পারে ; তবে থাকে সাহসী , সৎ আর বিনয়ী হতে  হবে !!সেই সাথে বড়দের সম্মান করে কথা বলতে হবে !!! সব কালিমা ধুয়ে-মুছে নতুন কেতন ওড়াতে ওড়াতে আমরা এগিয়ে যাব !!
প্রিয় অগ্রজ ---
“অনেক মূল্যও দিয়েছি আমরা। অনেক বিতর্ক ছিল এবং আছে আমাদের সংগ্রামের পথ নিয়ে ।শুধু রাজাকারের ফাঁসির জন্য --আমরা হারিয়েছি আমাদের সিলেটের মহানগর ছাত্রলীগের নেতা জগত জ্যোতি তালুকদার সহ অনেক সহযুদ্ধাকে কে |
খালেদা -নিজামীর দুঃশাসনের সময় চোখের সামনেই কুপিয়ে কুপিয়ে ছাত্রদল সন্ত্রাসীরা সিলেট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগ নেতা " আকবর সুলতান " কে হত্যা করেছিল !! এখন প্রতিশোধ নিতে পারি নাই আমরা !!
 কিন্তু লক্ষ্য আর চেতনার জায়গায় সেই প্রথম দিনের মতই এখনো স্থির আমরা !!
‘জগতজ্যোতি আর আকবর সুলতান ’ বেঁচে থাকবে আমাদের চেতনার মিছিলে |
হাজারো বাধার মুখে আমাদের অর্জন কিন্তু কম নয় ।আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট এর সংশোধন হয়েছে, কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়ে-ফাসি হয়েছে  !!
জামাতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর সুযোগ হয়েছে !!

অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে, মানুষের মাথা পিছু আয় অনেক বেড়েছে , দেশে অনেক সেক্টর ডিজিটাল হয়েছে,

দ্রবমূল্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক সহনশীল,সমুদ্র বিজয় সহ অনেক

অকল্পনীয় বিজয় চিনিয়ে আনা হয়েছে !! আর এখন সময় সকল অপশক্তি মোকাবেলায় শোককে শক্তিতে পরিনত

করতে হবে !! অশিক্ষিত -মুর্খ খাম্বা তারেক সহ- স্বাধীনতা বিরুধীদের সকল ষড়যন্তের দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে

ছাত্রলীগেই সর্বোচ্চ প্রস্তুত থাকতে হবে !!

 

প্রিয় সাহসী বন্ধুরা ----
পৃথিবীর বুকে স্বাধীন-সার্বভৌম, সমৃদ্ধিশালী, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিনিয়ত আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য তয়না জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে !!
বিগত চার দশকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটা শক্ত ভিতের ওপর দণ্ডায়মান। দুই দশক ধরে বাংলাদেশ গড়ে প্রায় ৫.৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে অবস্থান করছে !!
১৯৭২ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫ মার্কিন ডলার, ২০১২ সালে তা ৮৪৮ মার্কিন ডলার এবং ২০১৪-তে এসে এক হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে !!
সত্তরের দশকে যেখানে প্রবাসীদের আয় ছিল ১১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১২ সাল থেকে তা উপনীত হয়েছে ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওপরে !!  ১৯৭২-৭৩ সালে যেখানে খাদ্য উৎপাদন ছিল ১০ মিলিয়ন মেট্রিক টন, বর্তমানে তা প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে উপনীত হয়েছে !!
ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বললেই চলে। গত প্রায় ৩০ বছরের প্রচেষ্টায় তৈরি পোশাক রপ্তানি শিল্পে চীনের পর বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় !
বর্তমান আওয়ামিলীগ সরকার পদ্মা সেতুর নিজ অর্থায়নে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন !!
পদ্মা সেতুর মতো বিশাল প্রকল্প নিজ অর্থায়নে সম্পন্ন করার সাহস দেখানো চাট্টিখানি কথা নয়। এ থেকেই প্রমাণিত হয়, আমরা উন্নয়নের কোন পর্যায়ে উপনীত হয়েছি !!
বন্ধুরা আমরা ভুলি নাই --
গত বছরের শুরুতে বিএনপি-জামায়াত কি করেছিল ??বিগত বছরের শুরুটা হয়েছিল
বিএনপি-জামায়াতের মৃত্যুদীর্ণ, আগুনে পোড়া, বোমায় বিধ্বস্ত, শোকাতুর। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে দেশজুড়ে বিএনপি অভাবনীয় সহিংসতায় তিন শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। বিএনপি-জামায়াতের তা-বের শিকার হয়েছে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। পুড়েছে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়ি, লুটপাট চলেছে অবাধে। কিন্তু এত মানুষের প্রাণ নিয়েও ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি-জামায়াত জোট।
কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ দিকে এসে হরতালের নামে আবারও মানুষ হত্যা শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট !!
২০১৩ সালের মতোই গাড়িতে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে রাজধানীতে একই পরিবারের ৫ জনকে। বিদায়ী বছরের শেষ দিন বুধবার এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার  চলছিল জামায়াতীদের ডাকা হরতাল। তাই দেশের মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে জামায়াত-শিবিরের নতুন করে তা-বের টেস্ট কেসে।
নতুন বছরে সরকারের সামনে বিগত বছরের মতো এই যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত-শিবির এবং তাদের ক্ষমতার উৎস বিএনপির সহিংস রাজনীতি কিভাবে মোকাবেলা করে দেশের মানুষকে শান্তি ও উন্নয়নের পথে ধাবিত করবে সেই চ্যালেঞ্জও সামনে এসেছে !! আর ছাত্র লীগকেই সেই চ্যালেঞ্জ সাহসিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে !!
প্রিয় ছাত্রলীগের বন্ধুরা ---
পরিশেষে বলতে চাই ..অনাবিল স্বপ্ন আর দিনবদলের অপরিমেয় প্রত্যাশার রক্তিম আলোয় উদ্ভাসিত অফুরন্ত প্রাণোন্মাদনা নিয়ে নতুন সূর্যের আলোয় অগ্রসর হবে আমাদের সবার প্রিয় ছাত্রলীগ !!
ছাত্রলীগের সেই গৌরবময় স্বীকৃতির মর্যাদা অম্লান, অক্ষুণ্ন রাখতে এমন কি সাথে মূল্যবোধ জাগিয়ে শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পথে সাহসী তারুণ্যের মিছিলের নাম হোক ছাত্রলীগ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন-উপযোগী আদর্শবান কর্মী গড়ার কারিগর হোক ছাত্রলীগ।

সুশিক্ষা ও নিজেদের অধিকার আদায়ে, নিজেকে যোগ্য নেতা হিসেবে গড়ে তুলে মানবতার সেবা করার লক্ষ্যে, দেশ ও

জাতির কল্যাণে ছাত্ররা রাজনীতি করবে এটিই আমার - আপনার কাম্য !!

আদর্শ,উদ্দেশ্য ও ছাত্র স্বার্থের কথা শিক্ষা আর প্রগতির শ্লোগান দিয়ে নতুনদের জানাতে হবে !!

 

সবাইকে ভাল থাকেন ---
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু

ধন্যবাদ
আলমগীর হোসাইন
ম্যানচেস্টার , ইংল্যান্ড
0 Shares

৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ