বরিশাল আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক সময়ে নানা বিষয় নিয়ে ফের উত্তাপ বিরাজ করছে। ঠান্ডা লড়াই। মনস্তাস্তিক যুদ্ধ। এ যেন নিজ দলের মধ্যে বিবদমান গ্রুপিং রাজনীতির যুদ্ধাংদেহী পরিবেশ। আলামত ভালো নয়। সেই বিট্রিশদের শোষনের যাতাকলে পিষ্ট হওয়ার মতো এখানকার শাসক দলের আধিপত্য বিস্তারকারীরা মূর্তিমান আতংক রূপ ধারণে সমাজ কোন দিকে ধাবিত হচ্ছে বলা যাচ্ছে না। আর রাজনীতির গতি প্রকৃতিও কখন কোন দিনে টার্ন করে বলা মশকিল। নেতাদের আশপাশে দালাল আর চাটুকরদের লক্ষ্যনীয় ভীড়। লুটপাট,ত্রাস,কিংিল মিশনসহ নানাবিধ পন্থার বৈঠক কেন্দ্রিক বিষয় নিয়ে ঘিরে রাখা হয় নেতাদের।
আশ্চর্যের বিষয় হলো ডিজিটাল বুঝে না এরা আওয়ামী লীগের বড় মাপের নেতা। অন লাইন সম্পর্কে কোন ধারনা নেই বরংচ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপ রেখা বাস্তবায়নে মুখে যেন ফেনা তুলে ফুলছে। শুধুই বলতে পারছে ডিজিটাল। বিস্ময়কর বিষয় এ সময়কালে বরিশাল নগরীতে বিচক্ষন নেতা/নেতাদের খুবই অভাব। রাজনীতি না বুঝেই রাজনীতি করা এটা কি আমলাগিরি। কর্মী,সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের যেসব নেতারা চিনতে পারে না,তাদের ভাষা বুঝতে অক্ষম সেসবরা নেতা হওয়ার অযোগ্য। তারা নেতা নয় শুধুই নেতার তকমা। আর তকমা এটা এক সময় রূপ নেয় ধ্বংসস্তূপে। কারণ তাদের মধ্যে একদিকে রাজনৈতিক জ্ঞান/শিক্ষার অভাব আরেক দিকে ধান্ধা একটাই লুটেপুটে খাওয়ার মনোভাব। গজিয়ে উঠা নেতাদের পালিত পোষ্য পুত্রদের লেলিয়ে দেয়া হয় যতসব অন্যয় অপকর্মে। মুখোশ পরিহিত ভদ্রলোক। নিজ স্বার্থ সিদ্ধির এক চুল নড়লেই আবার নিজ দলের পালিতদের মাথার খুলি উড়িয়ে দিতেও দ্বিধা করে না। া এহেন রাজনীতির পরিনতি যে কত ভয়াবহ! ইতিহাস যুগে যুগে স্বাক্ষ্য দিয়ে আসছে। একটা কথা বলা বাঞ্চনীয় নেতৃত্ব /জনপ্রতিনিধিত্বদের ব্রেনটা অন্তত ক্লীন রাখা দরকার। মানে ব্রেন থাকবে স্ক্যানার। আর যাদের এই গুনাবলী আছে তারাই ইতিহাসের পাতায় স্বর্নক্ষরে লিপিবদ্ধ। তারাই নেতা হওয়ার যোগ্য।

0 Shares

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ