আপনারা সবাই খেয়াল করছেন কিনা জানিনা । এবারের SSC পরীক্ষায় বরিশাল বোর্ডে হিন্দু ধর্মে ঢালাও ভাবে ফেল করা অস্বাভাবিক লাগছে । আমার পরিচিতা এক আত্মীয়ের মেয়ে সে বরাবরই খুবই ভাল ছাত্রী পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে । সব সাবজেক্টে A+ শুধুমাত্র ধর্মে ফেল !!!!!
আপনারা হয়তো জানেন এই পরিক্ষায় ফেলের কারণে একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা পর্যন্ত করেছে !!! এখন যদি সংশোধীত রেজাল্টে তার পাশ আসে তখন কেমন লাগবে ???
পরীক্ষার্থীদের জীবন মরণ এবং মূল্যবান শিক্ষা জীবন নিয়ে এ কেমন নির্মম রসিকতা ????
এই আত্মহত্যা পরোক্ষ হত্যার দায় কে নিবে ???
জীবনের প্রথম সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষায় পাশ করে যার আনন্দ করার কথা ছিল । যার মা বাবা একটা সুসংবাদ শোনার অপেক্ষায় উন্মুখ ছিল । সেই বাড়িতে এখন শশ্মানের নিরবতা ।
আমাদের শিক্ষামন্ত্রী কি এব্যাপারে একটু সচেতন হবেন ?
২৯টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
প্রতি বিষয়ে এ প্লাস প্রাপ্ত কেউ হিন্দু ধর্মে অকৃতকার্য হবে এটা মানা যায় না। বোর্ড চেলেঞ্জ করুন।
সঞ্জয় কুমার
চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করা হয়েছে । দেখা যাক কি হয়
ইকবাল কবীর
অবশ্যই ভালো ফলাফল আসবে। শুভ কামনা রইল।
সঞ্জয় কুমার
ধন্যবাদ
লীলাবতী
মুসলিম বা হিন্দু ধর্ম বিষয়ে পাস করে প্রায় সবাই। এমন হবার তো কথা নয়। আসে পাশের স্কুল গুলোতে খোঁজ নিয়েছিলেন ভাইয়া? এই অভিযোগটা কিন্তু অত্যন্ত গুরুতর।
সঞ্জয় কুমার
নিউজ লিংক দেখুন । যে সব বিষয়ে A+ পায় সে অন্তত ধর্মে ফেইল করার কথা না
লীলাবতী
নিউজ লিংকে ক্লিক করে দেখি সাইট সাসপেন্ড করা হয়েছে। সোনেলার কোনো বিপদ না হয় 🙁
সঞ্জয় কুমার
লিংক ঠিকই আছে আবার দেখুন
http://barisallive24.com/?p=23488
মৌনতা রিতু
অভিযোগটা সত্যিই গুরুতর।
সঞ্জয় কুমার
অবশ্যই । এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে এরা দায়িত্ব হীনতার পরিচয় দিচ্ছে
ইনজা
মনে হয় অন্য ধর্মের শিক্ষক কতৃক উত্তরপত্র দেখানো হয়েছে যে এই বিষয়ে কোন জ্ঞানই রাখেনা, চ্যালেঞ্জ করা উচিত আর দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনা উচিত। :@
জিসান শা ইকরাম
আমাদের জেলার পরীক্ষার্থীদের বেলায় কিন্তু এমন হয়নি।
কোন পরীক্ষক এমন করলে তার দায় তাকে অবশ্যই নিতে হবে।
সঞ্জয় কুমার
বরিশাল এর ঘটনা । বিস্তারিত খবরে দেখুন
জিসান শা ইকরাম
আমার প্রাথমিক জানায় ভুল ছিল।
শহরের সরকারী বালক এবং বালিকা বিদ্যালয়ের ক্লাসের প্রথম হওয়া দুজনই হিন্দু
ধর্ম ব্যতীত সব বিষয়ে A+ পেলেও ধর্মে ফেল।
সংশোধিত রেজাল্টে A+ পেয়েছে দুজনই।
চরম শাস্তি দেয়া উচিৎ যে পরীক্ষক এমন করেছে……
সময়ের অভাবে এ বিষয়ে একটা লেখা লিখেও এডিট করে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজার কথা হলো এস.এস.সি পরীক্ষায় আমি বাংলা দ্বিতীয় পত্রে পেয়েছিলাম ৩৩। প্রথম পত্রে ৭৫। ভাবা যায়!!! চ্যালেঞ্জ করা হলো, কারণ ওটা অসম্ভব। পরীক্ষার খাতা পুনঃ নিরীক্ষণের জন্যে আবেদন করা হলো। কুমিল্লা বিভাগের একজন বললো চ্যালেঞ্জ করেও কিছু পাবেন না। তাও করেছিলাম, কিন্তু কাজ হয়নি চ্যালেঞ্জে। ঘুষ চেয়েছিলো, আমি ঘুষ দিয়ে রেজাল্ট কিনতে চাইনি। আমি জানি ডাল ম্যায় কালা, এ কিছুতেই সম্ভব নয়। কিছু তো একটা হয়েছিলো। যদি বাংলা প্রথম পত্র হতো মেনে নিতাম। যাক আমাদের দেশে সবই হয়। বুঝে পাইনা আমাদের দেশে কিছু বিষয় কেন রাখা হয়? জীবনের কোথাও কাজে আসেনা।
সঞ্জয় কুমার
এই হল আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা !!! সময় পাল্টেছে তবুও এদের চরিত্র পাল্লায় নি ।
ব্লগার সজীব
শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতার প্রমান এটি।
সঞ্জয় কুমার
আবার শুনলাম কেউ পরিক্ষা না দিয়েও সব বিষয়ে পাশ করেছে
ব্লগার সজীব
কি যে হচ্ছে পরীক্ষায় আজকাল!
স্বপ্ন নীলা
আজব ব্যাপার !! বোর্ড চ্যালেঞ্জ করা হোক
সঞ্জয় কুমার
বোর্ড চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে । আমি এই মাত্র সংবাদ পেলাম সে ফেল করা সাবজেক্টেও A+ পেয়েছে ।
কিন্তু যে তাদের এই ভুলে অভিমানে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল তাকে ফেরানো যা কি ?
অনিকেত নন্দিনী
দুয়েকজনের বেলায় বোর্ড চ্যালেঞ্জ করলে তেমন একটা ভালো ফলাফল পাওয়া না গেলেও এমন ঢালাওভাবে ফেলের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করলে সাফল্য পাবার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেমন করে বুঝবে তাদের উদাসীনতা কতোজনের জীবনকে শ্মশান বানিয়ে দেয়!
সঞ্জয় কুমার
সম্পূর্ণ দায়িত্বে অবহেলা ছাড়া আর কিছুই না । এক সেটের উত্তর পত্রের সাথে আরেক সেট মিশিয়ে সমস্যা তৈরী হয়েছে ।
ছাত্র ছাত্রীদের জীবন মরণ সমস্যায় এরা উদাসীন !!!!!!!!
খসড়া
এমন হয় অনেকেরই, প্রতিবছর প্রতিটি বোর্ড পরীক্ষায়।
সঞ্জয় কুমার
এমন ডিজিটাল দেশ দিয়ে আমরা কি করব ?
মোঃ মজিবর রহমান
এরা ধর্মের বাচ্চা না জানয়ারের বাচ্চা।
যদি ধর্মের কারণে কোন ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের প্রতি অবিচার করে।
আশা করি ভাল রেসাল্ট আসবে।
সঞ্জয় কুমার
কিছু বলার নাই । সব খানে অযোগ্য লোকের কারণে আজ এই অবস্থা
মেহেরী তাজ
একটা স্টুডেন্ট সব সাবজেক্টসে A+ পেলো আর একটা মাত্র সাবজেক্টে একে বারে ফেল করবে। সেটার সংশোধনী তে আবার A+পাবে এই দায় সম্পূর্ণ শিক্ষাবোর্ড এর! এটা শিক্ষামন্ত্রীর নিজের দেখা উচিৎ বলে আমি মনে করি!
সঞ্জয় কুমার
উনি বলবেন । এসব আমি কিভাবে ঠিক করব ?
এই হল আমাদের মন্ত্রীদের দশা