এসেছে টুয়েন্টি টুয়েন্টি বছর।বছরটির সংখ্যাটি যখন বলতে খুব আনন্দ লাগে তখন বছরটি কাটবেও হয়তো আশানুরূপ ভাল ভাবে।জীবন আয়ুর ঝুলা হতে কমে গেল আরেকটি বছর।সবার বয়স বাড়লেও আমাদের মুলত বয়স কিন্তু কমছে।এ কমতে থাকা বয়সগুলোতে পার্থিব জগতের কত কিছুই না দেখলাম।

জন্মেই দেখেছি মানুষ মানুষের মাঝে কী রকম মানবতা আর আদব কায়দায় আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ ছিলাম।জন্মের প্রায় হাফ সেঞ্চুরীতে এ পর্যায় এসে তাও দেখলাম-পরিবেশ পরিস্থিতি মানুষ মানুষের মানবতা আত্মীয়তার আদব কায়দার বিরূপ রঙ কত দ্রুত বদলায়।পূর্ব এবং বর্তমান একেবারেই বিপরীতমুখী অবস্থান এখন তার।কেউ শুনে না কারো কথা কেউ বুঝে না কারো ব্যাথা।তবুও বছর আসে বছর যায় - যাবার বেলায় তার স্মৃতি চিহ্ন রেখে যায়।

চলে যাওয়া বছর ২০১৯ সালটি শুরু হয়েছিলো বিতর্কীত একাদশ জাতীয় নির্বাচন।আওয়ামীলীগ পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্টিত  হন।এই প্রথম দেখলাম দেশের প্রশাসন কীনা পারেন।জনগনের ভোটের অধিকার হরণ করে পুরো একটি রাজ্যের ক্ষমতার পট পরিবর্তনের কারিশমা।অনেকে ভোট কেন্দ্র হতে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফেরত আসেন কেবল একটি মাত্র বিষয়ের কারনে তা হল দেশের উন্নয়ণ।টানা তৃতীয় বারের মতন সরকার গঠন করেন আওয়ামীলীগ , বিরোধীদল জাতীয় পার্টির কোন মন্ত্রীত্ব না দিয়েই।তবে মন্ত্রীত্বে নতুনদের আর্বিভাব ঘটে।

নির্বাচনের রেস কাটতে না কাটতেই ২০ ফেব্রুয়ারী ঢাকা চকবাজারের অগ্নিকান্ডে প্রায় ৭৮ মানুষের প্রান অকালে ঝরে যায়।শোকাবহ ভাষা শহীদদের স্বরণীয় ২১ফেব্রুয়ারী রাতে এমন ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটেছিল।

২৫ ফেব্রুয়ারী ঢাকা শাহজালাল বিমান বন্দর হতে ময়ুরপঙ্খী বিমানটি উড্ডয়ণ হতে পথে বিমানটি ছিনতাই হওয়ার চেষ্টায় কালে কমান্ডো স্টাইলে ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারের নাটক করা হয় এবং পরে তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়।

১০ মার্চ দেশের ৭৮টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যা জাতীয় পার্টির পর এ প্রথমবার।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ১১মার্চ বহু কাঙখিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ভিপি নির্বাচীত হয়েছিলেন নূরূল হক নূরু বাকী সব প্রায় পদগুলোর দখলে ছিলেন ছাত্রলীগ।নামমাত্র ভিপি পদটি নূরুকে দিয়ে ঢাবির পরিস্থিতি শান্ত করলেন সরকার।তার পর হতে বছর জুড়েই ছিলো নূরুর উপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনা।

২০ মার্চ আবারো নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামেন।২০১৮ সালে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের উই ওয়ান্ট জাষ্টিজ দাবীতে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যান।

২৮ ও ৩০ মার্চ ঢাকা এফ আর টাওয়ার এবং গুলশানে ডিএনসিসি তে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ঘটে।এরই মধ্যে আমরা ভুলে গেছি নীমতলীর অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতার কথা।ঘটনার সময় দুএকদিন নেতারা এ সব যেন আর না ঘটে সেই ব্যাবস্থাই নেয়া হবে।সময় পেরিয়ে গেলে আগের যেই লাউ সেই কদুই থেকে যায়।

এপ্রিলের শুরুতে ৬ তারিখে যে ঘটনাটি পুরো দেশকে থমকে দিয়েছিলো তা হল মাদ্রাসার ছাত্রী নূসরাতকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা।শরিরের কোন অংশে সামান্য একটু পুড়ে গেলে যে যন্ত্রণা সইতে হয় কেবল ভুক্তভোগীরাই ভাল জানেন এর যন্ত্রণার গভীরতা কতটুকু আর জ্যান্ত একটি মানুষকে গায়ে কেরোসীন দিয়ে পুড়িয়ে মারা তার যন্ত্রণার আগুন কতটুকু লেগেছিল তা কেবল নূসরাতই জানেন।মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৯মার্চ সে মারা যায়।এর বিচারের বেলায়ও হয়েছিলো সাম্যহীনতার কালো প্রভাব।আসামী একদিকে মাদ্রাসার শিক্ষক এ দিক দিয়ে তার কু-কর্মের বিরুদ্ধে কোন ইসলামী নেতাই তেমন কিছু বলেননি অন্য দিকে সে ছিলো সরকার দলীও প্রভাবশালী যার প্রভাবে থানার ওসিও ঘটনার মোড় ঘুরানোতে সচেষ্ট ছিলেন।

১৪ জুলাই দেশের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধান বিরোধীদলীও নেতা জেনারেল এরশাদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯০ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। স্বৈর শাষক হিসাবে এ দেশকে তিনি প্রায় নয়টি বছর শাষন করেছেন।’৯০ এর গণআন্দোলনে তার পতন ঘটে।মৃত্যুর পরও তার দাফন নিয়ে ছিলো নানান গুঞ্জন।

৭ অক্টোবর রাতে দেশের একমাত্র প্রসিদ্ধ ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আরবারকে ছাত্রলীগের নেতারা সারা রাত নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেন।যার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেছে স্পষ্টতঃ আসামীদের শনাক্ত করা হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে আমরা এমন একটি দেশে বসবাস করি যেখানে সরকারদলীও লোকদের সাত খুন মাফ বরাবর।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের উপর আরবারের ফেবুকে একটি স্ট্যাটাসেই তার মৃত্যুর একমাত্র কারন।কথা বলার স্বাধীনতা যেন এ দেশে পাপ।ক্ষমতার এমন দাপট যে হত্যার সকল ভিডিও ফুটেজ এখন নাকি উদাও!কে বা কারা তা নষ্ট করেছে তাও বুয়েট কর্তৃপক্ষ বলতে পারছেন না।বিচারতো দূরের কথা কয়দিন পর আটককৃত আসামীরাই হয়তো ফুলের মালা গলায় দিয়ে বিজয়ের বেশে জেল হতে বেরিয়ে আসবেন।তবে আরবারের মৃত্যুতে বুয়েটে তথাকথিত ছাত্র রাজনিতী প্রজ্ঞাপনে নিষিদ্ধ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

সারা দেশে ক্যাসিনো দূর্ণীতি বিরোধী অভিযান ছিলো চোখে পড়ার মতন।অভিযান চলাকালীন সময়ে অনলাইনে পাবলিসড হয় ঘরে গচ্ছিত রাখা লক্ষ লক্ষ অবৈধ টাকা জানালা দিয়ে বাহিরে ছুড়ে ফেলার দৃশ্য। ছাত্রলীগের ঢাবির শীর্ষ দু'জন নেতাকে পদ হতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সরিয়ে দেয়ার পর সরকার সিদ্ধান্ত নেন দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের যার শুরুটা হয় ৪ঠা সেপ্টেম্বর।

অভিযানে একের পর এক ক্লাব বা ক্রীড়া সংস্থায় অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য ধরা পড়তে থাকে।যে সব ক্লাবগুলো ছিলো ক্রীড়াঙ্গণ প্রসারের কেন্দ্রস্থল সেখানে চলত লক্ষ হাজারো কোটি টাকার জুয়া খেলার আসর। যুবলীগের ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটসহ সংগঠনটির বেশ কয়েক জন নেতাকে গ্রেফতার করা হয।

২০১৯ সালে যেমন দেশের অর্থনীতি চাঙ্গার উদ্দ্যেশে পদ্মা সেতু নির্মাণ ও মেট্রোরেলের দৃশ্যমান দৃশ্য ছিলো তেমনি ছিলো এ সব নিয়ে গুজবে অসংখ্য মানুষকে হত্যার মহড়ায়।গুজবগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এ নিয়ে অনেক আতংকে ছিলো পুরো দেশ জুড়ে।এ ছাড়া ছেলে ধরা নামে গুজবে কান দিয়ে হত্যার স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য নিরীহ মানুষ।নিজের আপণ সন্তানকে নিয়েও রাস্তায় বের হতে ছিলেন শঙ্কিত।নিখোজঁ স্যাটেলাইট, ভূয়া নোট,মোটরযান আইন ও বিদ্যুত বন্ধের মত গুজব ঘটনায় রীতিমত দেশের সাধারন মানুষ ছিলো অসহায়।সব চেয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ফেবুকে ধর্ম অবমাননার একটি ভূয়া খবরে উত্তাল ছিলো ভোলা সহ পুরো দেশ।

বছর শেষে আবারো আলোচলায় ছিলেন ঢাবি ভিপি নূরুল হক নূরু।এ বছর ডিসেম্বর ২২ তারিখে তথাকথিত মুক্তিযুদ্ধা মঞ্চের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের হামলার স্বীকারে সে সহ প্রায় সাত আট জন হাসপাতালে ছিলেন আশঙ্কাজনক হিসাবে।সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যাক্তির চিকিৎসার তদারকিতে কোন মৃত্যুর খবর আসেনি।অনেকে মনে করেন গনতন্ত্রের দেশে সরকারের জবাবদিহীনতাই এই সব ঘটনার পূর্ণরাবৃত্তি ঘটে।লাগামহীন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছিলো চোখে পড়ার মতন।

সাম্যহীনতার এ দেশে সাধারণ জনগন ছিলেন সব সময় মৌলিক অধিকারগুলো হতে বঞ্ছিত।একজন কোটিপতি বাজারে যে মুল্যে চাল ডল ক্রয় করেন ঠিক একই মুল্যে একজন দিন মজুরও ক্রয় করেন।ধনীরা ধনী হচ্ছেন আর গরীবরা ক্রমশতঃ গরীবের কাতারেই থেকে যাচ্ছেন।নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মুল্য হুর হুর করে বেড়ে যাওয়া যেন এ দেশে স্বাভাবিক ঘটনা।তার মধ্যে এ বছরের শেষের দিকে ঘটে গেল পেয়াজঁ এর মুল্য বাড়া নিয়ে যত কান্ডকারখানা।প্রায় আড়াইশ টাকা পর্যন্ত পেয়াজেঁর কেজির দাম উঠে যার নিয়ন্ত্রণে সরকার ছিলেন পুরোপুরি ব্যার্থ।ব্যার্থতার দায় এড়াতে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই পেয়াজঁ খাওয়া ছেড়ে দেন এবং অন্যদের না খাওয়ার পরামর্শ দেন।অথচ এর ফাকেই অসাধু ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট কামিয়ে নিল লক্ষ কোটি টাকা।

এ বছরেই আইসিসি হতে সকল ধরণের ক্রীকেট খেলায় দু’বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন এ দেশের ক্রীকেট বর বিশ্বনন্দিত সাকিব আল হাসান।জুয়ারীর নিকট হতে জুয়া খেলার অফারটি গোপন রাখায় তার এ শাস্তি নির্ধারণ করা হয়।দু বছরের জন্য শাস্তি নির্ধারিত হলেও নিজের দোষ স্কীকার করায় শাস্তি কমে এক বছর করা হয়। খেলাধুলায় এ বছরের সাফল্যতা ছিলো এসএ গেমসএ।আর্চারী সহ ১৯টি খেলায় স্বর্ণ জিতে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলেন বাংলাদেশ দল।

১০ ডিসেম্বর এই প্রথম বারের মত রোহিঙ্গা ইস্যুতে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং সূচীর বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী ও গণহত্যার বিচার চেয়ে আন্তজার্তিক আদালতে বিচার চান আফ্রিকার একটি দেশ গাম্বিয়া যাকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে সহযোগীতা করেন বাংলাদেশ।

জুলাই মাসের ১৭/১৮ তারিখে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রামের কাছে অভিযোগ করেন এ দেশেরই নাগরীক যার স্বামী সরকারের এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা- বাংলাদেশে সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতনের বিষয়ে-যা রীতিমত সাম্প্রদায়ীক উস্কানীর সামিল।তিনি অভিযোগ করেন বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রায় ৩৭ মিলিয়ন লোক নিখোজঁ এবং অসংখ্য সংখ্যা লঘুরা নির্যাতীত।

বছরের একেবারে শেষের দিকে এসে মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের লিষ্ট প্রকাশে বেশ বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন এ সরকার।স্বাধীনের ৪৮ বছর পর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজাকারের তালিকা করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বেশ কয়েকজন রাজাকারের তালিকায় পড়ে যান যা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা রাজপথে নামেন।অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিতর্কীত তালিকাটি স্থগিতাদেশ আসে।

লেখাটা পড়ে সবায় ভাববেন ২০১৯ সালটা বাংলাদেশের জন্য খুবই আনলাকী ছিলো কিন্তু আমি বলব পুরোপুরি তা কিন্তু নয়।সরকারের কিছু উন্নয়ণের কাজও ছিলো যা যৎ সামান্য ও আমাদের নেতিবাচক মনোভাবে তেমন ভাবে আলোচনায় আসেনি।এছাড়াও নতুন প্রজন্মের আন্তজার্তিক মহলে কিছু অর্জনও ছিল যা আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যাবার সাহস যোগায়।যেমন তার মধ্যে আন্তজান্তজার্তিক রোবট প্রতিযোগীতায় স্বর্ণ রৌপ্য ব্রোঞ্জ অর্জন করা।

২০১৯ এর শেষের দিকে এসে প্রবৃদ্ধির হার দাড়িয়েছে ৮.১৫%

বিশ্বের ৫৭তম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বসেছে যা দিয়ে শুরু হয়ে গেছে অর্থনৈতিক ভাবে আয়ের নতুন একটি মাধ্যম।

বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের ন্যায় এগিয়ে নিতে হাতে নেয়া হয়েছে ডেল্টা প্লান।

চিকিৎসায় তদারকি সহ স্থাপিত হয়েছে ১৪ হাজার ক্লিনিক ও ৩০ ধরনের ঔষধ ফ্রিতে সরবরাহ করা হচ্ছে।

২০১৯ সালে রপ্তানির আয় হয়েছে প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা একটি উন্নয়ত দেশ গড়তে বেশ সহায়ক।

বিদ্যুত খাতে যুগান্তকারী প্লানিং ছাড়াও জনগণের সেবায় এসেছে প্রায় ৪০%

শিক্ষা ব্যাবস্থায় যুগান্তকারী চেঞ্জ বা পদক্ষেপ ছাড়াও দেশে প্রায় ২৯৬ কোটি পাঠ্য বই বিনামুল্যে বিতরণ করা হয়।

দারিদ্রের হার কমেছে দাড়িয়েছে প্রায় ২১.৮ শতাংশ।

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাড়িয়েছে ৩৩ বিলিয়ন ডলার।

সমগ্র দেশে প্রায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করা হচ্ছে,নির্মাণ করা হচ্ছে শিল্পনগরীয় অঞ্চল যা ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্রগ্রামে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগরীয় হিসেবে কাজ শুরু হয়ে গেছে।

২০১৯ সালে রেমিটেন্স এ আয় হয়েছে প্রায় ১৬০০ কোটি মার্কিন ডলার।

২০১৯ সাল এ মাথা পিছু আয় এসে দাড়িয়েছে ১৯০৯ ডলার।

দেশে খাদ্য উৎপাদনের পরিমান ৪ কোটি মেট্রিক টন।

ইলিশ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম।উৎপাদন বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৮%












ছবি কৃতজ্ঞতায়:দি ডেইলি বাংলাদেশ ও সরকারী ওয়েভসাইট।

এ বছরে যারা আমাদের হতে পরপারে চলে গেলেন তাদের আত্মার মাগফিরাত করে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হল।
৩ জানুয়ারী-সৈয়দ আশ্রাফুল ইসলাম >আওয়ামীলীগের তুখোর নেতা ও সাবেক মন্ত্রী
২২ জানুয়ারী-সঙ্গীত শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা –আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল
১৫ ফেব্রুয়ারী –কবি আল মাহমুদ
২৮ ফেব্রুয়ারী- সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক-শাহ আলমগীর
১ মার্চ-একুশে পদক প্রাপ্ত –পলান সরকার
৬ এপ্রিল-কৌতুক অভিনেতা -টেলিসামাদ
২২ মে-একুশে পদকপ্রাপ্ত ও নজরুল সঙ্গীত বিষেজ্ঞ –খালিদ হোসেন
২ জুন- ভাষা সৈনিক ও নাট্যকার অভিনেতা ও লেখক-মমতাজ উদ্দিন আহমদ
৮ আগষ্ট-গ্রামীন ব্যাংকের পরিচালনা পর্যদের পরিচালক-মোজাম্মেল হক।
২০ ডিসেম্বর-ব্রাক প্রতিষ্ঠাতা- ফজলে হাসান আবেদ
২৯ ডিসেম্বর- রাষ্ট্রবিজ্ঞানী  শিক্ষাবিদ-তালুকদার মনিরুজ্জামান।

পরিশেষ নতুন বছরের সবাইকে শুভেচ্ছা ও শুভ কামনার প্রত্যয় ব্যাক্ত করে শুধু এইটুকুই বলব ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর লক্ষ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির ফসলে পাওয়া এ দেশটা আমার আপনার এবং সকলের।ধর্ম হোক যার যার দেশ হোক সবার।এ দেশের একটি ইটের ক্ষতি হলে ক্ষতির জের গিয়ে পড়বে আপনার আমার সবার উপরে।সুতরাং আমরা গড়ব দেশ সহিষ্ণুতায় জ্ঞানে গর্বে সম্মৃদ্ধির বাংলাদেশ।

সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।শুভ হউক ২০২০

ডিজাইনঃমমি

তথ্য ও ছবি
অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম।

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ