আকাশের বুকে যখন গোধূলি নামে আমরা তখন মহারণ্য ছেড়ে চলে যাই।
মাঠ জুড়ে নামে পড়ন্ত বিকেলের আলোকরশ্মি।
ইরিধানের ডগায় ঘাসফড়িং মেতে উঠে কুয়াশার চাদরে।
একে একে পুরো পাড়া ঝাপসা হয়ে আসে।
আরক্তভায় নিয়ে গোধূলি যখন ডুবতে বসে বনময়ূরীরা তখন আবাসনে ফিরে।
শুভ্র শরতে আকাশে মেঘের ভেলা উড়ে দিকদিগন্তে।
সবুজের বুক জুড়ে নামে প্রেমের মরসুম।
জীবনে ক্লান্ততার চিহ্ন রেখেও মানুষ সবুজের বুকে প্রেম খুঁজে।
সন্ধ্যা হলে আরতিতে ধূপের গন্ধে সুধা মাখে রাই।
পাতার বাহারে হিজলের ডালে যৌবন আসে।
সে বাহারে আসে ব্যাকরণের মর্মার্থ।
মর্মার্থের অলংকারে শব্দ ফিরে পায় তার প্রাণ।
উচ্চারণে থাকেনা দ্বিরুক্তি। আমরা এমন শব্দের অলংকার চাই।
যেখানে থাকবেনা কোন সন্ধিবিচ্ছেদ।
সুযোগ পেলে সে শব্দে তুমিও বুঝি সন্ধি খোঁজ?
শীতের রাতে রাসপূর্ণিমা দেখার বাহানা কাটিয়ে আমরা একযোগে পাতার বুকে ভূগলের মানচিত্র আঁকতে বসি।
অজানা কত গল্প এসে আমাদের ছুঁয়ে যায় সে রাতে।
সময়ের ব্যবধানে সমুদ্রে হিমেল সফেন উঠে।
প্রকৃতির নির্যাস তখন আমাদের উষ্ণতা দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে।
প্রেম আছে বলেই তো এতকিছু।
আমরা প্রেম বলতে প্রতিমূর্তিকে বুঝি।
সে প্রেমের প্রতিমূর্তিকে সাজাতে হয়,রূপ দিতে হয়।
দিতে হয় রঙতুলিতে গোধূলিভরা রঙ।
আঁধারের চক্ষুদানে দিতে দৃষ্টিভরা মহামায়াময় জগৎ।
তবেই তো প্রেম হয় খাঁটি।
বিদ্রোহ আর ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে প্রেম হোক বেঁচে থাকার একমাত্র মহৌষধ।
পূর্ণচ্ছেদে যাওয়ার পূর্বে প্রতিটি মানুষের প্রেমের সীমান্ত হোক উন্মুক্ত।
.