প্রাচীন মিসরীয় সভ্যতার ইতিহাস

শক্তিশালী ফ্যারো র‍্যামেসিস II

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার ইতিহাসকে তিনটি সময়কালে ভাগকরা হয়েছে। যাকে বলা হয় “কিংডম” । সেগুলো হলো ১) ওল্ড কিংডম ২) মিডেল কিংডম ৩) নিউ  কিংডম।

যদিও  দুই কিংডমের মাঝের সময় কে ইতিহাসবিদ রা ‘ইন্টারমিডিয়েট কিংডম’  বলে ভাগ করেছেন ।এই সময় গুলোতে রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়ে একতা ছিলনা বা দ্বন্দ্ব চলাকালীন সময় ছিল। 

প্রাচীন মিশরঃ 

নীল নদের ডেল্টা যেখানে প্রথম সভ্যতা গড়ে উঠে

প্রাচীন মিশর প্রাথমিক অবস্থায় অর্থাৎ কিংডম স্থাপনের আগে এখানকার অবস্থা  কেমন ছিল বা কারা ছিল ।  

‘পুরানো কিংডম’ এই আমলটি আরম্ভ হওয়ার আগে এখানে মানুষের বসবাস আরম্ভ হয় বটে কিন্তু একটা শাসন ব্যাবস্থা চালু হতে হাজার হাজার বছর লেগে যায়। 

কৃষিকাজের সাথে এই সভ্যতাঃ 

মিশর দেশটি সাহারা মরুভূমির পুর্ব প্রান্তের একটি দেশ। সাহারা মরুভূমি গাছপালা হীন স্থান ।সব জায়গা বাদ দিয়ে এইখানে কেন মানুষ বসবাস আরম্ভ করলো এবং কেনই বা এখানে সভ্যতা গোড়ে  উঠলো তা  একটা ভাবার বিষয় । 

এর কারন হল এখানে বোয়ে যাওয়া নীলনদ । যে নদ ইথিওপিয়া থেকে প্রচুর পলি নিয়ে আসে এবং প্রতি বছর বন্যার পর সেই পলি দিয়ে এই অঞ্চল কে উর্বরা অঞ্চলে পরিণত করে। 

সমস্ত মানুষ চারদিক থেকে এসে এই নদের দুই ধারে  বসবাস করতে আরম্ভ করে । তাদের খাবারের কোনো  চিন্তা করতে হতনা। তাই সভ্যতা গোড়ে তুলতে কোনো অসুবিধা হয়নি। মানুষ একটা শক্ত অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়েছিল। 

এখানে মাইগ্রেনট  হয়ে মানুষ আসে নিউবিয়া,লিবিয়া এবং মিডিল ইস্ট থেকে । তারা সবায় গ্রামে বসবাস করতো এবং মাটির তৈরি ইট দিয়ে ঘরবাড়ি বানাতো ।

কখন বসতি আরম্ভ হয়ঃ 

প্রায় ১০ হাজার বছর আগে মানুষ এখানে বসতি স্থাপন করতে আরম্ভ করে। আর মাত্র ৬০০ BC তে এই স্যাটেলমেনট ছড়িয়ে  পরে। 

মরুভূমির বিস্তার ঘটনার পেছনের কারন হিসাবে কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন এই স্থানটি পৃথিবীর  উপরিভাগ কিছুটা উঁচু হয়ে যায় আবার কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন বৃষ্টি পাতের প্যাটার্ন  পরিবর্তন হওয়ার ফলে মরুভূমির বিস্তার ঘোটতে থাকে। তবে কোনো কারনেই পরিষ্কার নয়। 

তবে এই নীল নদ এখানে বোয়ে যাওয়ার কারনে এর দুই ধারের খুব কাছা কাছি মানুষ বসবাস করতে আরম্ভ করে ,  কারন এর পানি ব্যাবহার করার প্রয়োজন তাদের  চাষবাসের জন্য।

সিজনঃ  

নীল নদে বন্যা হতো প্রতি বছর। তাই মিশরীয়রা এদের সিজনকেও তিন ভাগে  ভাগ করে তাদের চাষ বাস কে ব্যাবহার করার উপর ভিত্তি করে। যেমন ১) বন্যা হওয়া ২) ফসলের চারা বৃদ্ধি ৩) হারভেসটিং বা ফসল কাটা 

প্রতিবছর বন্যা কৃষি কাজের জন্য অত্যান্ত জরুরী ।কারন এর বোয়ে আনা পলি এবং পানি কৃষিকাজে ব্যাবহার করে ফসল ভালো হয় এবং মানুষের খ্যাদ্যের অভাব দুর হয়। কোনো কারনে পর্যাপ্ত পানি না আসলে দুর্ভোগ নেমে আসতো। আর এই বন্যা রাজনৈতিক শক্তিকেউ প্রভাবিত করতো। বছরের পর বছর খরা রাজনৈতিক ক্ষমতা কমিয়ে দিত। ফল স্বরূপ একতা  নষ্ট হয়ে সংঘাত আরম্ভ হতো। 

‘ নারমার’ বা ‘মেনাস’ প্রথম নেতাঃ 

নরমার প্রথম ফ্যারো এবং তার সিল

খুব একটা পরিষ্কার ধারনা নাই যে এই দুই জন একি ব্যাক্তি  না অন্য । যাইহোক তিনিই ছিলেন প্রথম  শক্তিশালী নেতা যিনি কিনা  আপার ইজিপ্ট এবং লোয়ার ইজিপ্ট কে এক করেন এবং এই প্রাচীন মিশরের গোরা পত্তন করেন। আপার মিশর হল ডেল্টা যেখানে নীল নদ মেডিটেরিয়ান সমুদ্রে গিয়ে পড়েছে আর লোয়ার মিশর হল যেখান দিয়ে নীল নদ মিশরে প্রবেশ করেছে। এই শক্তিশালী নেতা যার হাত ধরেই প্রাচীন মিশর কে শাসন কার্জ চালানোর কাজটি আরম্ভ হয়। সময়টি কেউ বলে ৩২০০-৩০০০ বি সি আবার অনেক স্কলারের মতে ৫৮৬৭ বি সি । Palermo Stone যাতে সব ফ্যারোদের লিস্ট আছে সেখানে তার নাম নাই। তবে হেলিয়েন্সটিক পিরিয়ডে লিখিত এক নভেলে তার নাম আছে এক গুরুত্ব পুর্ন ব্যাক্তি  হিসাবে।

Ptolemaic কিংডমের সময়ে Manetho নামক একজন মিশরীয় যাজক লিখেগেছেন ‘ Led The army across the frontier and won great glory’ তিনি এক সৈন্যবাহিনীর লিডার হোয়ে এবং তা  পরিচালনার মাধ্যে দিয়ে একটা  গৌরব ময় জয়লাভ করেন । 

Diodorus Sicalus নামক একজন গ্রীক ইতিহাস লেখক তার লেখায় বলেছেন মিশরীয়দের যে নানারকম গডের  রেওয়াজ প্রচলন আছে তা তার হাত ধরেই প্রবর্তিত হয় এবং তিনিই প্রথম হ্যারগ্লাফিক লেখার প্রবর্তক । 

নরমারের সিল 

Narmer এর একটি সিল পাওয়া গেছে ১৮৯৭ সালে, দুই ব্রিটিশ আর্কেওলজিসট যাদের নাম James E .Quibell এবং Frederrickw তারা টেম্পেল অব হরাস এর  কাছে একটা ডিগ সেশন ১৮৯৭-৯৮ এর কাজ করছিলেন এবং তারা তখন এটি পান। এই সিলে narmer এর নাম আছে ।

প্রাচীন মিশরে ফ্যারোকে  গড বা দেবতা বলে মনে করতো এবং সাধারণ মানুষও তাকে গড বলেই মেনে নিতো এবং উপাসনা করতো। এই সিল টিতে দেখা যায় নরমার তাদের দেবতা হরাসের মতো করে পটট্রেড করা আছে। স্কলার গন মনে করে যে নিজেকে গড বা দেবতা বলে প্রচার করলে সাধারণ মানুষ তখন ভক্তি ভরে উপাসনা করবে এবং তার আদেশ নির্দেশ মেনে চলবে আর ফলস্বরূপ দেশ পরিচালনা করার কাজটি সহজ হবে এটায় ছিল নরমার পরিকল্পনা।

 হাইরগ্লেফিস দিয়ে লেখা কারটুসের মধ্যে সমস্ত ফ্যারো দের নাম 

হাইরগ্লেফিস  ( Hieroglyphies) 

প্রাচীন মিশরীয়রা যে ভাষা ব্যাবহার কোরে সব স্থানে লিখে গেছেন তাকে হাইরগ্লেফিস বলা হয়। তারা পাথরের গায়ে , কবরের দেয়ালে, প্যাপিরাস দ্বারা তৈরি কাগজে এই লেখা ব্যাবহার করেছে। হাইরগ্লাফিস এমন একটি লেখার  স্টাইল যা বিভিন্ন সংকেত দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তা কোনো সময় কিছু ছবি আবার কোনো সময় নকসার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। বিখ্যাত ‘রোসেটা স্টোন’ যা এখন লন্ডন মিউজিয়ামে আছে , এটা পাওয়ার পর সমস্ত স্কলার লেগে গেলেন এর পাঠ উদ্ধারের জন্য। 

অবশেষে বিখ্যাত স্কলার এবং বহু ভাষাবিদ ফ্রান্সের ফ্রান্সিও ছ্যাম্পেলিওন তাঁর   অক্লান্ত চেষ্টায় এর পাঠ উদ্ধার করেন। তিনি বছরের পর বছর লাগিয়েছিলেন এর পাঠ উদ্ধার করতে ।

অবশ্য এর আগে থমাস ইওং নামে একজন ব্রিটিশ  ফিজিশিষ্ট ( ১৭৭৩-১৮২৯ ) প্রথম বুঝতে পারেন যে এর কিছু শব্দ রয়াল নাম প্লটমি দের এবং তার পরেই এই ভাষার দরজা খুলে যায়। তার মৃত্যুর পর বাকি কাজে হাত লাগান ছ্যাম্পিওলিওন।  

তিনটি ভাষা দিয়ে এখানে লেখা ছিল, তা হল গ্রীস, হাইরগ্লেফিস এবং ডেমটিক । 

ফ্রেঞ্চ expedition এটি পান রসেটা নামক স্থানে। ফ্রেঞ্চ দের হারিয়ে ব্রিটিশ আসে মিশরে। তারপরে ঠিক জানা যায়নি কেমন কোরে তা ব্রিটিশ মিউজিয়ামে আসে। হাজার হাজার মানুষ দেখতে আসে  ‘রোসেটা স্টোন’  এই মিউজিয়ামে।

ভাষা পড়তে পারার  পর জানা গেল কোন  ফ্যারোর কি নাম কত সালে তারা রাজত্ব করেছে সব কিছু।  এখন আমরা জেনেছি তাদের শাসন কাল কেমন ছিল । সব কিছু বিবেচনা করে স্কলার গোন তাদের শাসন কাল নিচের এই নয় ভাগে  ভাগ  করেন। 

১) The Archaic Period ( 2) The old kingdom, 3) The first Intermediate,4) middle kingdom, 5) second intermediate 6) new kingdom 7) Third intermediate 8) late Period 9) Ptolemaic 

ওল্ড কিংডম 2686-2181BC) 

বিখ্যাত গ্রেট পিরামিডের ফ্যারো কুফু

এই সময়ে মিশরের উত্তর এবং দক্ষিণ দুটো স্থান   এক সঙ্গে ছিল। তাদের ছিল একটা শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী । এই সময় কালেই সব পিরামিড তৈরি হোয়। বিখ্যাত কুফুর পিরামিড এবং গ্রেট স্ফিনিং সহ সমস্ত বড়ো পিরামিড এই আমলেই হয়েছিল । যেহেতু কেন্দ্রে ছিল এক শক্তিশালী ফ্যারো এবং সাধারণ মানুষ তাকেই দেবতা বা গড বলে উপাসনা করতো। কোনো স্লেভ দ্বারা তা বানানো হয়নি। তারা সতোস্ফুর্ত ভাবে দেবতাকে খুশি করার জন্য নিজেদের শ্রম দিতেন। কৃষকদের হাতে যখন কাজ থাকতো না তারা সে সময় এখানে সাহায্য করতো। 

 

মিশরীয়দের ধারনা ছিল মৃত্যুর পর একজন মানুষ আবার পুনর্জাগরন হয়। এই জন্য তাদের মৃত দেহের সাথে পরকালে ভালো থাকার জন্য আসবাব পত্র, সোনা দানা, খাবার সব দিয়ে দিত। 

তারা বড়ো বড়ো জাহাজ বানাতে শিখেছিল এবং তা ব্যাবহার করে বাণিজ্য করা এবং পিরামিড বানানোর বড়ো ভারি পাথর নিয়ে আসতো নদী পথে । 

মিডিল কিংডম ( ২০০০-১৭০০ BC) 

এই সময় প্রাচীন মিশরীয় কিংডম এক সাথে ছিল। তাদের এক শক্তিশালী সৈন্য বাহিনী ছিল দেশ রক্ষার জন্য। ফ্যারো রা নিজেও  ভালো ট্রেনিং প্রাপ্ত দেশ শাসক ছিল। কিছুদিন রাজনৈতিক অস্থিরতা ছিল এবং hyksos এর আগমন হয় । সময় তা জানা যায়না লেখা নষ্ট হওয়ার ফলে। তবে তারা নুতুন কিছু টেকনোলজির সূচনা করে। যেমন ব্রোঞ্জের ব্যাবহার, বাসন পত্র বানানোর টেকনিক, ঘোড়া  চালিত গাড়ি, তিরধনুকের ব্যাবহার, কুড়ালের ব্যাবহার । বৃডের মাধ্যমে গরু ছাগলের ভালো জাত তৈরি আর নুতুন শস্যের সাথে পরিচয় ঘটানো সবই উদ্ভব হয় এই সময়ে।  

নিউ কিংডমঃ (1550-1077BC) 

শক্তিশালী নারী ফ্যারো হ্যাতসেপ্সুট

এই সময় টি  প্রাচীন মিশরের ইতিহাসে সবচেয়ে সম্মৃদ্ধিশালী সময়। বিখ্যাত মহিলা ফ্যারো হ্যাটসেপ্সসুট এই সময় দেশ শাসন করেছিলেন। তিনি যে শুধু দেশ শাসন করেছিলেন তাই নয় তিনি মিশরকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ব্যাবসার বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছিলেন, পাশের দেশের সাথে  শক্তিশালী বাণিজ্য নেটওয়ার্ক গোড়ে তুলেছিলেন এবং অনেক কন্সট্রাকসন প্রোজেক্ট করেছিলেন । যেমন বিখ্যাত মরচুয়ারি মন্দির দেয়ার-আল-বাহারি, যা দেখতে হাজার হাজার টুরিস্ট সেখানে যায়। 

সান দেবতা ধর্মের ফ্যারো আখেন্টেন  ,তুতেনখামনের পিতা

এই আমলেই এখেনটেন ( Akhenten) আগের প্রচলিত ধর্ম বাদ দিয়ে এক গড যাকে তিনি ‘সান গড’ বা সূর্য দেবতা  বলে অভিহিত করেন  তার উপসোনা প্রথার প্রচলন করেন । তিনি তার রাজধানী সরিয়ে নিয়ে যান এবং আমারনা নামক স্থানে বিরাট রাজধানী গোড়ে তুলেন। 

এই সময়ে বিখ্যাত ফ্যারো সেটি ১, র‍্যামেসিস ২ এর শাসন আমল ছিল। যারা মিশর রাজ্যের বিস্তার করেছিলেন এবং পশ্চিমে লিবিয়া এবং উত্তরে হিটায় দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে জয়লাভ করেছিলেন। মিশরের বিভিন্ন স্থানে টেম্পেলের দেয়ালে তাদের সাফল্য গাথা লেখা আছে। বিখ্যাত বয় কিং টুটেনখামন  এই আমলের  ফ্যারো ছিলেন। 

র‍্যামেসেস ২ এর মৃত্যুর পর থেকে মিশর দুর্বল হতে  থাকে।   

তৃতীয় ইন্টারমিডিয়েট সময়কালে (১০৬৯-৬৬৪ BCE ) ক্রমাগত খরা,দুর্ভিক্ষ, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং দুর্নীতি মিশরকে ভেঙ্গে ফেলে এবং বিভিন্ন লোকাল সরকারের হাতে ক্ষমতা চলে যায়। দেশের মধ্যে ক্রমাগত ভাবে চলাকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দক্ষিণ দিক থেকে নিউবিয়ান কুশ রা এসে মিশর দখল করে নায় এবং নুতুন রাজ্যে পরিণত করে। ৬৭০ BC তে কুশিটি দের বিতাড়িত করে অ্যাসেরিয়ান রা এবং স্থাপন করে একটা অধীন রাষ্ট্র। 

৬৫৬ BC তে মিশরীয়রা আবার এক হয় এবং অ্যাসেরিয়ান দের ক্ষমতা থেকে নিজেদেরকে মুক্ত করে। কিন্তু তা  ছিল মাত্র ৫২৫ BC পর্যন্ত । তারপর আবার আশপাশের দেশ গুলো আক্রমণ চালাতে থাকে। প্রথমে দখলে নায় পার্সিয়ান এবং তারা নিজেদেরকে মিশরের ফ্যারো বলে পরিচিতি দায়। আবার তার পাশে বলতেও থাকে কিং অব পার্সিয়া। পার্সিয়ান নেতা  ‘সাইরাস দি গ্রেট’  মিশর দখল করে। 

তারপর পার্সিয়ান রাজা ‘দারিউস' কে পরাজিত করে আলেকজান্ডার দি গ্রেট। সে  সময় খোদ  মিশরীয়রা পার্সিয়ান দের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এবং তারা পার্সিয়ান দের অপসরণ করতে চেয়ে ছিল। এই ভাবেই মিশর বিদেশীদের হাতে চলে যায়। 

নেকটেমবো

নেকটেমবো ২ ( ৩৫৮-৩৪০) হলেন প্রাছেন মিশরীয় দের শেষ ফ্যারো । অনেক দিন ধরে তিনি পার্সিয়ান দের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করেছিলেন । কিন্তু নিজ সার্ভেনট বা মেনটর এর বিশ্বাস  ঘাতকতার দরুন তিনি পরাজিত হন। Nektembo দক্ষিণ মিশরে পলায়ন করেন এবং সেখানে কিছুদিন ক্ষমতা ধরে রাখলেও তার ভ্যগ্যে কি হোয়ে ছিল তা অজানা । 

বিখ্যাত দশ জন ফ্যারোর নাম 

দাসুর, কুফু, কাফরে, হ্যাতশেপ্সাত, থুতমস , অ্যামেনহটেও , টুটানখামন, র‍্যামসেস ২  ,সেটি এবং এখেনটেন  

 Djoser 268-2649BC, Khufu 2589-2566BC,Hatshepsut 1478-1458BC, Thutmoss 3,1458-1458, Amenhoteo3 1388-1351BC, Tutankhamon1332-1323BC , Ramses 2 1279-1213BC. 

তথ্য সূত্র 

  1. Imagining History 
  2. History Smithsonian 
  3. Britannica
  4. Definition Language Discovery Britannica
  5. Networking Events 
  6. Khan academy

ছবিঃ  উইকিপেডিয়া

ইতিহাস ও ঐতিহ্যঃ

লেখক ও গবেষকঃ হুসনুন নাহার নার্গিস , লন্ডন

 

0 Shares

২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ