মজুর শ্রমিক মাইলের পর মাইল পায়ে হেঁটে আসছে।

যেন দলে দলে দাবী আদায়ের মিছিলে সামিল হচ্ছে।

তিল ধরণের ঠাই নেই তবুও ফেরিতে গাঁদা গাঁদি করে উঠছে।

করোনাকালে স্বাস্থবিধি সামাজিক দূরত্ব অহরহ উপেক্ষিত হচ্ছে।

তবুও গন্তব্য আর কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে ওরা অবিরাম ছুটেই চলেছে।

অনেকের পায়ে ছেঁড়া জুতা অনেকে আবার নগ্ন পায়ে হাঁটছে।

ইট বালি পাথরের আঘাতে আঘাতে পা জখম আর রক্তাক্ত হচ্ছে।

তবুও মাইলের পর মাইল হেটেই চলেছে হেটেই চলেছে।

ক্ষুধার জ্বালায় শ্রমিক মজুরের পেটে দিকিদিকি আগুন জ্বলছে।

দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ যেন অবশ হয়ে যাচ্ছে।

পানির পিপাসায় কাতর হয়ে দেহ মাটিতে নুইয়ে নুইয়ে পড়ছে।

জীবনের জন্য জীবিকার চাকা ঘুরানোর জন্য ওরা ছুটে চলেছে।

সময়মত কর্মস্থলে হাজির না থাকলে যে চাকুরিচ্যুত হতে হবে।

ঘাম জড়িয়ে কাজ করলে তবেই না মাসোহারা মিলবে।

ব্যাংক লুট করে শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা না দিয়ে মালিকরা গড়ছে অর্থের পাহাড়।

সপ্তাহ কি দুই সপ্তাহ বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিলে মালিক যেন হয়ে যাবে একেবারে ফতুর।

শ্রমিকের ঘামের ওপর দাঁড়িয়ে রক্ত পিপাসু রক্তচোষার দল হয়ে উঠে ধনকুবের।

শ্রমিকদের মর্যাদা দিতে না পারলেও কাজে না এলে ঘাড় ধরে বের দিতে করেনা কসুর।

কাজের বিনিময়ে খাদ্য এটাই বড় নির্মম নিষ্ঠুর বাস্তব সত্য।

জীবিকার কাছে জীবন অসহায় মানুষ সব সময় হয় পরাস্ত বা পর্যদুস্ত।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ