চালের বাতায় গোঁজা চিঠিতে
অলক্ষ্যে চোখ পড়ে,
ঝাটার সময়ও মা পড়ে না,জানেও না!
কাগজের ব্যথা!
ঘুনপোকায়, ধুলোয়, মাকড়সার জালে বসে,
চিঠিগুলো হয় কালো-ধূসর!
অক্ষরগুলো ঝুল -কালিতে ধূসর ও কালো,
একে অপরে ঘাড়ে পড়ে,ইতিহাস ধূসর .…!
হরপ্পা সভ্যতার তীরে দাঁড়িয়ে,
শিরা বেয়ে নামে শুধু কাদা-জল,
ধোয়াটে অতীত মিলিয়ে যায় পারায়!
জীবাশ্মের হা-পিত্তেস ভক্ষক চুন-সুর্কি,
বয়ে বেড়ায় প্রাচীন গাঁথুনির ক্ষত!
পাকার দেওয়াল মা কোনো দিন দেখেনি,
দেখে বৃষ্টিতে খড়ের চালের হলুদ জল!
বৃষ্টি ছাদে এলেও পানও করে না !
ধরেও না পাত্রে!
কংক্রীট দেওয়ালে কাগজফুলের সঙ্গে বেশ আলাপ,
দেখে দেখে চালে ঘাসও!
ফাল্গুনী বাতাসে ফুলের পাঁপড়ি বারান্দায় এলে,
ঝাটার বাতাসে,নোংরা পাকার নালীতে ফিরে যায়!
মিলিয়ে যায়!
পিছনে ফিরে চেয়ে থাকে খড়ের চালের ঘাস,ধূসর চিঠি, ধূসর ইতিহাস…
@ বাড়ি,
তারিখ-২৭/০২/১৩
সময়-৯ঃ৫০ সকাল
৩টি মন্তব্য
যাযাবর
হরপ্পা সভ্যতার তীরে দাঁড়িয়ে,
শিরা বেয়ে নামে শুধু কাদা-জল,
ধোয়াটে অতীত মিলিয়ে যায় পারায়! – কবিতায় ভালো লাগা ।
লীলাবতী
খুব ভালো লেগেছে ।
প্রজন্ম ৭১
+++