মেগাসিরিয়ালের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় মারা গেলো,
রক্তাক্ত কুমার! শোকর্যালীতে মগ্ন নারীরা,
যুগপৎ হাঁটে পর্দার এপার-ওপার!
যাদুকরী হতে চেয়ে বিসর্জন দিলে রাজ্য প্রেম সবই,
এখন রাজত্ব আছে! শুধু প্রেম উড়ে গেলো-
কোথায় কে জানে! পাড়ার বাতাসে এই কানাকানি,
মরে যাবে সুদর্শন যুবরাজ! সেই দুঃখে একই ঘরে-
শোকগ্রস্ত জায়া ও জননী!
অথচ তোমার চোখে ইটের স্তূপের মতো,
জমা আছে প্রেমের শব কতো! কে রাখে হিসাব!
পিচ্ছিল অনুভূতিগুলো শ্যাওলা মাখা ভক্স ওয়াগনের,
মতো ভিজছে নির্দ্বিধায়! সোনালি মুন্ডকের-
মাখামাখিতে লাবণ্য মেখে নেয় আধুনিক সকাল,
সুন্দরী উত্তপ্ত মেকাপের মতো!
যদিও বাস্তব নয়, সবকিছু বিজ্ঞাপনের হিসাব,
প্রেমের শরীরে অনেকেই দিচ্ছে খাসা ওয়ারেন্টি কার্ড,
কন্যা তুমিতো জানো,
প্রেম সইতে পারেনা সামান্য আঘাত!
মোমের দুলালী সামান্য উত্তাপে গলে যায় ভ্রষ্ট ধারায়,
চেনাই যায়না তাকে! বিলুপ্ত সুললিত আভা!
অসুর্য্যস্পর্শা মেয়েটাও বলে দিতে পারে,
কাঙ্ক্ষিত অরিন্দমের নাম ধাম! তুমিতো জানো-
কেমন একটা বোধ ঘুমোতে দেয়না! জাগতেও দেয়না!
একে কি বলে মননের অবশ্যম্ভাবী অসুখ?
মেয়ে অঙ্গসংস্থানবিদ্যা জানো, শারীরবিদ্যাও জানো,
প্রেম কি জানোনা! একথা বৃষ্টির রেণুরা মানবেনা!
রাজকন্যা এখন রূপোর কাঠি হারিয়ে ফেলেছ বলে,
নিজেও জানোনা কোন ফাঁকে একা,
ঘুমে পড় ঢলে ঢলে!
কলমি ফুলের ডগাতে শিশির জিপসির মতো একা,
পুরো রাত জেগে পার করলো নীল মথটার শব,
কারণে বা অকারণে আগের মতো,
তোমার আমি পাইনা কেন দেখা?
হারিয়ে ফেলেছ সুবর্ণকাঠি শিরীষের বনে আনমনে,
তোমাকে জাগাতে পারছেনা,
দোরে উঁকি দেওয়া হ্যামিলনের বীণওয়ালা!
এরই মাঝে চ্যানেলে চ্যানেলে অনন্ত মেগা সিরিয়ালে,
মরে গেলো কতো রাজা আর বাদশারা!
আমিতো চাইনি মাণিক্য মুকুট, চাণক্যের আসন,
চর্যাপদের চপলা নিষাদী ভেবে হরিণীর নিয়েছিলাম পিছু,
হঠাত দেখি চোখের আলোয়,
ভোরের মতোন তুমি!
হারালো হরিণী, হারালো নিষাদী,
এখন তুমি জলের মতো; এখন তুমি আলোর মতো,
আনমনে শুধু তোমার আলোতে ভিজি!
৯টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
এখন তুমি জলের মতো এখন তুমি আলোর মত । জল স্বচ্ছ আলো সেতো শুভ্র শ্বেত ।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
চমৎকার লিখেছেন। খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ দিদি।
খাদিজাতুল কুবরা
“কেমন একটা বোধ ঘুমোতে দেয়না! জাগতেও দেয়না!
একে কি বলে মননের অবশ্যম্ভাবী অসুখ?”
যদিও খুব কঠিন ভাষায় লেখা, তবুও যেটুকু বুঝলাম বোধ আর মনন খুঁজে পায়না স্বস্তির ঠিকানা।
কবিমন সবসময়ই তৃষ্ণার্ত রয়,
তৃষ্ণা থেকেই কবিতা জন্ম লয়।
খুব ভালো লাগলো।
বুঝিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো কবির কাছে।
সৌবর্ণ বাঁধন
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আসলে ঘুমাতে বা জাগতে যা দেয়না, সেটা আমাদের মুড বা ইমোশন, যাকে অনুভূতিও বলা যেতে পারে! অন্যদিকে মন থেকেই এই বোধের উৎপত্তি! মন স্বস্তিতে না থাকলে এটা এসে চেপে বসে। আর আমরা সবাই অবশ্যম্ভাবী ভাবেই কখনো না কখনো এটাতে ভুগি।
খাদিজাতুল কুবরা
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য।
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ প্রেমময় কবি দা
অনেক অনেক ঈদ মোবারক
নিশ্চিয় ভাল ও সুস্থ আছেন———
সৌবর্ণ বাঁধন
ঈদ মোবারক ভাই। অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।