এক সপ্তাহ পরঃ
ফুঁফিয়ে কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে গেল নদীর, আবছা অন্ধকারে চোখ পিটপিট করলো নদী, ভাবলো ঘুমের গোড়ে হয়ত এমন লেগেছে, পাশ ফিরে আবার শুলো আর দেখলো অন্য পাশের বেডে নাবিলা উঠে বসে আছে, নদী হাত বাড়িয়ে টেবিল ল্যাম্প অন করে দিলো।
মামনি কি হয়েছে, তুমি উঠে বসে আছো কেন, নদী অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো।
নাবিলা আঙ্গুল তুলে নদীর পাশের জানালা দেখালো।
নদী মুখ ঘুরিয়ে তাকালো জানালার দিকে, বাইরের আলোয় গাছের ছায়ার নাচন দেখে হেসে দিলো আর বললো, সুইটি ওগুলো গাছের স্যাডো, তুমি শুয়ে পড়ো আমি পর্দা টেনে দিচ্ছি, বলেই হাত বাড়িয়ে পর্দার সুতা টান দিয়ে পর্দা বন্ধ করতে লাগলো।
আন্টি।
উঁ বলো।
আমি তোমার সাথে বেডে শুতে পারি?
ওলে মারে, শুবে আমার সাথে, আসো বলেই নদী জায়গা করে দিলো।
নাবিলা বেডের উপর উঠে এলে নদী ওকে বুকে টেনে নিলো আর এক হাতে ল্যাম্প নিভিয়ে দিলো।
ভয় পেয়েছো।
উঁ।
সরি মা, পর্দা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলাম।
তুমি মাইন্ড করছো নাতো।
না মা, আমি খুব খুশি, এখন ঘুমাও।
নাবিলা একটা হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো নদীর গলা।
আপনি মেয়েকে রাতে একলা রাখেন কেন, ও তো ভয় পায়, নদী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেটে এসে ড্রয়িং রুমে বসেই জীবনকে জিজ্ঞেস করলো।
কাল রাতে কি ভয় পেয়েছে ও?
হুম, শেষে এসে আমার সাথে শুলো।
কি বলেন, আপনার কোন অসুবিধা হয়নি তো?
না না কি অসুবিধা হবে?
ও তো ভয় পেলে আমার রুমে চলে আসে, আপনাকে পেয়ে আর আসেনি আমার কাছে হয়তো।
যখন ও ভয় পায় তাহলে কেন একা রাখা?
মেয়ের ভয় ভাঙ্গানোর চেষ্টা আর এইটাই নিয়ম।
এইটা কেমন নিয়ম, মেয়ে ভয় পায় আর উনি তবুও মেয়েকে একা রাখেন।
এইটা এইখানকার নিয়ম নইলে ও জীবনে যে একা চলতে হয় তা শিখবে কি করে?
ওহ আচ্ছা, কঠিন নিয়ম।
আপনি এক্সারসাইজ গুলো কি করছেন?
হুম করছি।
আপনার তো আজকে পায়ের প্লাস্টার খুলবে, এক ঘন্টা পর আপনাকে নিয়ে হাসপাতালে যাবো।
ঠিক আছে, আসলে এই প্লাস্টার গুলো বইতে পারছিনা।
জীবন হাসলো, আজকের পর আর সমস্যা হবেনা।
সেলফোন বেজে উঠাই জীবন পকেট থেকে সেলফোন নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলে ফোন কেটে নদীর দিকে ফিরে বললো, আগামীকাল সকাল নয়টাই আমাদের কোর্টে যেতে হবে, রনির নামে যে কেইস চলছে আর আপনার ডিভোর্স কেইস দুইটারই রায় দেবে।
এতো তাড়াতাড়ি, নদী আশ্চর্য হলো।
এইটা ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ নয়।
চলুন আজকে আমরা বাইরে খাবো, জীবন বললো।
ড্যাড কোথায় খাবে আজকে, নাবিলার মনে সরল প্রশ্ন।
দেখি তোমার আন্টি কি খেতে চাই, নদী কি খাবেন বলুন?
বাইরে যাওয়াটা কি ঠিক হবে, ঘরেই খাই।
প্রতিদিনই তো বাইরে খাইনা, শুধু বন্ধের দিন খাই আর ভয়ের কিছু নেই, আপনি জানেন না আমি কিন্তু ব্ল্যাক বেল্ট ধারি।
যেটা পড়ে আছেন সেইটা, নদী হাসতে হাসতে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।
জীবন প্রথমে থমকে গেল তারপর হা হা হো হো করে হেসে দিলো, সাথে নাবিলা বোকার মতো হাসতে লাগলো বাপের হাসি দেখে।
না না আসলেই, সত্যি বলছি হাসতে হাসতে বললো জীবন।
যদি ব্ল্যাক বেল্ট হোন তাহলে ওইদিন আহত হলেন কি করে?
জীবন চুপ করে গেল একটু দম নিয়ে বললো, ওইদিন সুযোগই দেয়নি ওরা, পিছন থেকে হটাৎ কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে দিয়ে চেপে ধরে বেশ কয়েকজন মারতে থাকে, তাদেরই একজন কিছু দিয়ে মাথায় মারে আর আমি জ্ঞান হারাই।
নদী শিউরে উঠলো ওইদিনকার কথা মনে করে।
জীবন বলছে, ফাইটটা সামনাসামনি হলে হয়ত অন্য কিছু হতে পারতো।
থাক থাক বাদ দিন ওইসব, তা কোথায় খাওয়াবেন বলুন?
এই এক ঘন্টা লাগবে এইখান থেকে, একটা ভালো কাবাব হাউজ আছে, আপনার ভালো লাগবে।
ঠিক আছে চলুন।
জীবন নদীকে নিয়ে প্রথমে হাসপাতালে গেল প্লাস্টার খুলার জন্য, প্লাস্টার খুলার পর ডাক্তার দেখিয়ে দুপুরে জীবন, নদী আর মেয়েকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লো রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে, রেস্টুরেন্টে পোঁছে জীবনরা ভিতরে প্রবেশ করে একটা টেবিল দখল করে বসলো।
কি কি খাবেন বলুন, ওয়েটার মেনু দিয়ে গেলে তা নদীর দিকে বাড়িয়ে দিতে দিতে জীবন বললো।
আপনিই অর্ডার দিননা।
আরে আপনি প্রথম এলেন আমাদের সাথে খেতে, তাই আজ আপনি অর্ডার দেবেন।
আচ্ছা আচ্ছা আমি আগে দেখি কি কি আছে, নদী হেসে বললো আর চোখ ভুলাতে লাগলো মেনুতে।
কিছুক্ষণ পর মাথা তুলে বললো, বাজেট কতো?
হা হা হা হা করে হেসে দিলো জীবন।
আরে হাসির কি আছে?
আচ্ছা আচ্ছা কোন বাজেট নেই, আপনি অর্ডার দিন যা ইচ্ছে।
আমার তো সব অর্ডার দিতে ইচ্ছে করছে, নদী বাচ্চাদের মতো করলো।
অসুবিধা নেই যা বাঁচবে বাসায় নিয়ে যাবো, ওয়েটার আসাতে জীবন বললো, তিনটা বড় লাসসি দিতে।
তাহলে আমার প্রিয় গুলা নিই, নদী বললো, ডোনা কাবাব, মাটন বটি কাবাব, কলিজি ফ্রাই এন্ড ব্রেইন ফ্রাই, ঠিক আছে?
ওকে, জীবন ওয়েটার কে ডেকে অর্ডার দেওয়া শুরু করলো, ডোনা কাবাব তিনটা, বটি কাবাব, কলিজি ফ্রাই এন্ড ব্রেইন ফ্রাই দুই প্লেট করে, বটল অফ প্লেইন ওয়াটার, দ্যাটস অল।
নান অর পারাটা?
দুইটা বাটার নান আর তিনটা আলু পরটা।
ওয়েটার ধন্যবাদ জানিয়ে চলে গেল, একটু পর আবার তিন গ্লাস লাসসি দিয়ে গেল যা দেখে নদী আশ্চর্য হয়ে গেল।
এতো বড় পিতলের গ্লাস, নদী অবাক হয়ে স্বগতোক্তি করলো।
এই রেস্টুরেন্ট ইন্ডিয়ার বনেদি পাঞ্জাবী খাদ্য গুলো বানানোর স্পেশিয়ালিটি ধরে রেখেছে আর এই পিতলের গ্লাস দিয়েই ইন্ডিয়ার ধাবা গুলোতে লাসসি পান করে, জীবন জানালো।
কিন্তু কাবাব বানানোর রেসিপি আসলে এসেছে মোঘলদের কাছ থেকে আর বিরিয়ানিও আসলে মোঘলদের প্রিয় রেসিপি।
তাই, আমার জানা ছিলোনা, নদী বললো।
এই রেস্টুরেন্ট নাবিলার প্রিয় জায়গা।
ইয়েস আন্টি অল্ল দা ফুড ইজ সো ডিলিশাস।
রিয়েলি, নদী নাবিলার চিবুক ধরে জিজ্ঞেস করলো।
ইয়াপ, তুমি খুব লাইক করবে।
ওকে।
ওয়েটার এসে ওদের টেবিলে খাবার দিয়ে গেলে জীবন তুলে দিতে লাগলো নদী আর নাবিলার প্লেটে।
নাবিলা লাসসির গ্লাসে একটা চুমুক দিয়ে বললো, ওয়াও সো টেস্টি আর তা শুনে নদী আর জীবন হেসে দিলো।
নিন শুরু করুন, জীবন বললো।
জি নিচ্ছি।
ওরা খেতে শুরু করলে নদী দেখলো নাবিলা ফর্ক আর নাইফ দিয়ে নান কাটার চেষ্টা করছে কিন্তু না পেরে নদীর দিকে তাকালো।
সুইটি, নান তো তুমি এইভাবে কাটতে পারবেনা, আমি ছিঁড়ে দেবো?
নাবিলা হাঁ সুচক মাথা নাড়লে নদী নান ছিড়ে দিতে লাগলো যেন নাবিলা ভালো ভাবে খেতে পারে।
নদীর খুব ভালো লাগছে আজ বাইরে বের হতে পেরে আর প্রায় দের বছরের উর্দ্ধে হয় নদী বাইরের রেস্টুরেন্ট বা খাবার দোকানে খেতে এসেছে।
নদী মাঝে মাঝে ন্যাপকিন দিয়ে নাবিলার মুখ মুছে দিচ্ছে দেখে জীবন মিটিমিটি হাসতে লাগলো।
খাওয়া শেষে জীবন জিজ্ঞেস করলো, ডেজার্টে কি খাবেন?
না না আর খাবোনা, পেট একেবারে ফুল হয়ে গেছে।
এইখানকার কুলফি কিন্তু খুব মজার।
কুলফি কি জিনিস?
কুলফি চিনেন না, খুলফি এক ধরণের আইস্ক্রিম।
আইস্ক্রিম, ওটা না খেয়ে কিভাবে যাই।
জীবন হেসে নাবিলাকে জিজ্ঞেস করলো কি খাবে?
চকলেট আইস্ক্রিম, নাবিলা আদুরে গলায় বললো।
জীবন ওয়েটারকে ডেকে দুইটা কুলফি আর একটা চকলেট আইস্ক্রিমের অর্ডার দিলো।
আপনার খুব ভালো লাগবে এদের কুলফি, আমার তো খুব ভালো লাগে, জীবন বললো।
ধন্যবাদ আপনাকে, আমার দিনটি সুন্দর করার জন্য, আজ যেন আমি নতুন করে এই মাটির আলো দেখলাম, এতদিন যা ছিলো আমার জন্য শুধুই অন্ধকার, জানিনা আগামীকাল কোর্ট কি রায় দেয় কিন্তু আমি আর ওই ঘরে ফিরছিনা।
আপনি ওগুলো নিয়ে ভাববেন না, আপনি নিশ্চিত থাকুন রায় আপনার পক্ষেই থাকবে, জীবন অভয় দিলো নদীকে।
কিন্তু রনির কি বিচার হবে, নদীর প্রশ্ন?
অবশ্যই হবে, ওর অবশ্যই জেল জরিমানা হবে, সাথে আপনি ক্ষতিপূরণবাবদ অর্থ পাবেন।
.................. চলবে।
ছবিঃ Google
২৮টি মন্তব্য
মৌনতা রিতু
রাতে আবছায়া কিছু দেখে ভয় পাওয়া বাচ্চাদের একটা ছোট মনের চান্তা ধারা।
মোঘলদের খাবারের কথা আর বলেন না, ভাইজু। অসাধারন ওদের রসনা বিলাস।
আজকের পর্বটা ছোট হইছে। আগাক ধীরেই আগাক সমস্যা নেই।
ইঞ্জা
কি যে বলেন না আপু, আমিও তো ভয় পাই এখনো কিন্তু গুন্ডা পিটানোর সময় তো হাতও কাঁপেনা। 😀
নিহারীকা জান্নাত
দেখা যাক রনির কি হয়…
ইঞ্জা
কি আর হপে, লটকাইয়া বেতানো হপে। :p
নিহারীকা জান্নাত
খুশি হলুম
ইঞ্জা
\|/
আবু খায়ের আনিছ
এত কথা কোথায় পান ভাই। আপনি যদি এভাবে লিখা চালিয়ে যান তাহলে ভালো উপন্যাসিক হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। শুভ কামনা ভাই।
ইঞ্জা
ভাই, আপনিও এতো কথা লেখেন কোথা থেকে, আমিও সেইখান থেকে…….
উপন্যাসিক হওয়ার কাম নাই আমার, আপনাদের ভালোবাসা পেলেই হবে। 🙂
ইকরাম মাহমুদ
পর্বের মাঝে গ্যাপটা ঢের হয়ে গিয়েছিল। যাই হোক, বিচারের অপেক্ষায় আছি। দ্রুত বিচার চাইছি।
ইঞ্জা
চাইলে পড়ে ফেলতে পারেন, বেশি সময় লাগবেনা ভাই। 😀
বিচার তো অবশ্যই হবে এর কোন ব্যত্যয় হবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
বাসন্তী শুভেচ্ছা নদী এর জীবনকে দেয়া যায় কিনা ভাবছি,
ইঞ্জা
অবশ্যই দেওয়া যাবে যদি তাদের ভালোবাসেন। 😀
নীলাঞ্জনা নীলা
নাবিলা পিচ্চির ভয় দেখে নিজের কথা মনে পড়ে গেলো।
নদী দেখি ভালোই খাদিকা! :p 😀
ইঞ্জা
নাবিলা কিন্তু সব বাচ্চার মাঝেই আছে, খেয়াল করলে বুঝবেন।
আপনি যদি দুই বছর কোথাও না যান তাহলে আপনার প্রিয় ফুড গুলোই অর্ডার দেবেন, নাকি ভুল বললাম আপু?
নীলাঞ্জনা নীলা
হ্যান্ডপাম্প ভাই ঠিক বলেছেন নাবিলার এই আচরণ সকল বাচ্চাদের মধ্যেই আছে।
তা দেবো, তবে অতো অতো মনে হয় দিতাম না। দেখতে খাদিকা, কিন্তু আদতে খাদিকা নই গো হ্যান্ডপাম্প ভাই। 😀
ইঞ্জা
এইতো মনের কথা বললেন।
শুভকামনা আপু। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
খায়ন আর খায়ন।
আপনার লেখার প্রেমে পড়ে গেলাম।
লিখে জান গুরু।
ইঞ্জা
চট্টগ্রামের ছেলে আমি, খাওয়াই আর খাই কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে ডাইটিং করছি ভাই। 😀
আসলে আমি গল্পের মানুষ ছিলাম না, আপনারাই গল্পকার বানিয়ে দিলেন। 😀
মোঃ মজিবর রহমান
ভাই, আপনার ভিতরের যে চরিত্র ও সামাজিক অবস্থা তুলার যে পথ্য আছে সেটাই আপনাকে লেখার তাগিত দিচ্ছে।
সঙ্গে আছি।
ইঞ্জা
হাঁ তা বটে, আমি খুব রোমান্টিক যার সাথে প্রেম করেছিলাম তার সাথে উচ্ছল প্রেম করেছিলাম যদিও ধোকাটা আমিই খেয়েছি। :p
সমাজ নিয়ে চিন্তা করি সাথে সমাজের কিছু বিচার আচারেও আমাকে ডাকা হয়। 😀
খারাপ বলেননি ভাই, ধন্যবাদ।
শুন্য শুন্যালয়
এতটুকু বাচ্চাকে নাকি একবার একা বাসাতেও রেখে গিয়েছিল। ভারী নিষ্ঠুর তো জীবন!
আমিওতো কই, খালি খাওন আর খাওন। ইঞ্জা ভাইয়া খেতে পছন্দ করে। 😀
ইঞ্জা
জীবন যখন আহত হয়ে হাসপাতালে তখন নাবিলা বাবা বাসায় ফিরে না আসায় সারারাত জেগে থাকে, বুঝেছেন আপু। 😀
আমি চট্টগ্রামের ছেলে, খাওয়াই আবার খাই কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত ডাইটিং করছি। :p
মিষ্টি জিন
নদী তো ভালই খেতে পারে.. অনেকদিন পর বাইরে খেতে গিয়েছে তাই হয়তো বা।
আমি খুব কম খাইতো তাই এমন মনে হয়েছে।
দেখি রনির কি অবস্হা হয়।
ইঞ্জা
আফনেরা খাওন দেখলেন, তার লগে যে জীবন আর নাবিলা আছে তা দেখলেন না? :p
জিসান শা ইকরাম
এই নদীটার নাম জীবন, জীবন নদী বইছে অবিরাম 🙂
ভাল লাগছে পড়তে।
এত খাওন ভাল না, বেশী খেলে ভুঁড়ি বাড়বে তো 🙂
রনির কঠিন শাস্তি চাই,
ইঞ্জা
ভাইজান আপনিও খাওনের খোটা দিলেন, নদী প্রায় দুই বছর পর বাইরে খাইতেছে তা দেখলেন না?
জিসান শা ইকরাম
হ্যাঁ তাও ঠিক,
যত পারে খাইতেই থাকুক 🙂
ইঞ্জা
😀