ওয়াজ-মাহফিল ও ধর্মীয় বক্তৃতায় কাল্পনিক গল্প ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য নিষিদ্ধ করে পবিত্র কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিসের রেফারেন্স বাধ্যতামূলক করে বক্তৃতা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি (আইনি) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। [খবরের লিংক এখানে]

তারমানে মাটির তলে আরেক এন্টারকোটিক, অক্সফোর্ডের মাঠে ফুটবল খেলা, প্লেনের চেয়েও দ্রুতগামী রকেটে চড়া, দোনাল ট্রামের সাক্ষাৎ, তুরস্কের মুসলিম ফাইজার, হিন্দি গানের নকলে হামদ-নাথ সহ টিকটক জাতীয় প্যারোডি এখন আর ওয়াজ মাহফিলে করা যাবেনা। [ওয়াজের নামে কি হচ্ছে দেখুন এখানে-]

এদিকে অনেক বক্তাগন করেছেন গোস্যা। একজনতো ভরা মহফিলে বলেই ফেললেন- রিট হয়েছে খুবই ভালো কথা, আমরাও চাই রেফারেন্স দিয়ে কথা বলতে। মাঝেমধ্যে রেফান্সের বাইরে কথা বলি দর্শকদের ধরে রাখার জন্য। এখন যদি রেফারেন্স দিয়ে বলি ঘুষ খাওয়া হারাম, অন্যায়ভাবে ক্ষমতা দখল হারাম আপনারা সহ্য করতে পারবেনতো!

চিন্তা করেছেন এদের ভাবনার ধারা কোনদিকে প্রবাহমান? আতে ঘাঁ লেগেছে তাদের। এদেশে বক্তার জনপ্রিয়তা মাপা হয় বিনোদনের ভিত্তিতে। রেফারেন্স ছাড়া বিনোদন দিলে পাবলিক তাদের আর খাবেনারে মনু! এইটা তারা ভালোই জানে!

বিনোদন দেয়া বক্তারা এলো এইতো সেদিন! কিন্তু স্মরণীয় থেকেছেন তারাই যারা পৃথিবীর আদিঅন্ত মানুষকে সহী দিশায় নিয়ে গিয়েছেন। তাদের আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। আর আপনারা চলে গেলে বলবে- আহারে! এন্টারকোটিক হুজুর তার আবিষ্কৃত মাটির তলের মহাদেশে চলে গেল!

রেফারেন্স ছাড়া উল্টাপাল্টা কথা বলে বলবেন- এতদিন বাড়িওয়ালীও জানতোনা, আজ আপনারা জানলেন। ও ওস্তাদ! সস্তা বিনোদনের দিন শেষ। [কেন রেফারেন্স জরুরি তা বুঝতে ক্লিক করুন এখানে-]

ধন্যবাদ জানাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসানকে, এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর জন্য। আমরা ওয়াজের বিরুদ্ধে নই, তবে ওয়াজের নামে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের গোমরাহ করার রাস্তা দেখানো সস্তা বিনোদন এবং অসংলগ্ন কথাবার্তার পক্ষেও নই।

[ওয়াজ মাহফিলের বক্তাদের বক্তব্য নিয়ে dbc টিভি'র একটি রিপোর্ট দেখুন এখানে-]

[ছবি- নেট থেকে]

0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ