জোনাক জ্বলা রাত ভোরকে আগলে রেখে ঘুরে বেড়াও জোনাকির বেশে মেঘেদের আড়াল চোখে।
কোথায় হারাল আমার সোনা সোনা বন জ্যোৎস্না রাত ভোরকে আঁচলে বেধে।
জোনাকির কাঁপন তুলে ভালোবাসায় বেঁধা ঠাস বুননে এসো,জ্বলি সবুজের শিখা হয়ে।
ছেঁকে তোলা ডোরাকাটা রূপসী হিংসে আমাকে আর জাগ্রত করে না।
সুন্দরের হাতছানি শূন্যে ভাসিয়ে নিবিড় নিশীথের সতী মেয়ে এখনও একাকী।
এসো হে জ্যান্ত জ্যোৎস্না,তোমাতেই করি অবগাহন এই স্বস্তির নির্জন কবর পূর্ণিমায়।
৪৩টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
এসো হে জ্যান্ত জ্যোৎস্না,তোমাতেই করি অবগাহন এই স্বস্তির নির্জন কবর পূর্ণিমায়।
বনলতা দি এভাবে আমন্ত্রণ না এসে কি পারে?
বনলতা সেন
দেখি,এলে সবাইকে জানিয়ে দেব।
মোঃ মজিবর রহমান
ঠিকানা বলুন
:Angel:
মন চায় উড়তে উড়তে চলে আসব।
বনলতা সেন
এই সোনেলাই আমার ঠিকানা।
মোঃ মজিবর রহমান
আমরা সবাই এর বাসিন্দা
তাই দিদি।
স্বপ্ন নীলা
আপুরে — তুমি তো এই কয় লাইন লিখে মনটাই ভরিয়ে দিলে !! ভীষণ ভাল লেগেছে ——-
বনলতা সেন
আপনার কথায় আমার আনন্দ অনেক।ভালো থাকুন।
আম্মানসুরা
চমৎকার কবিতা
বনলতা সেন
শুভেচ্ছা আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো লেগেছে, চমৎকার। জ্বলি সবুজের শিখা হয়ে দিয়ে চির নতুনকে বুঝিয়েছেন তো ? 🙂
বনলতা সেন
অবশ্যই নূতনের বন্দনা । আপনাকে দেখে ভাল লাগল।
সীমান্ত উন্মাদ
জ্যোৎস্না তবু আঁধার কালো
যায়না ছোঁয়া দেখতে ভালো।
আমিতো আপু দুষ্ট ছেলে তাই এভাবে বলি। লিখার ভাবে ভালোলাগা।
বনলতা সেন
অনেকদিন পর দেখলাম আপনাকে ।
অলিভার
জোনাকির কাঁপন তুলে
ভালোবাসায় বেঁধা ঠাস বুননে এসো,
জ্বলি সবুজের শিখা হয়ে।
চমৎকার কবিতা আপু :v
বনলতা সেন
পড়ে বলছেন তো ? মনে করে দেখুন।
অলিভার
;( আপু বিশ্বাস করেনি!!
পড়েই মন্তব্য করেছিলাম আপু, সত্যিই
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দরের হাতছানি কি সত্যিই এড়াতে পেরেছে সে? তবে এই অবগাহনের আহ্বান কেনো?
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটাতে ঘোর একটা ভাব আছে। অনেকবার পড়লাম, তবু ভালো লাগছে পড়তে।
বনলতা সেন
আপনাকে বু’ ডেকেছি সাধ করে? এ জন্যই। সত্যি ঘোর আছে।
প্রলম্বিত রাত ,এজন্য ভোরকে আচলে বেঁধে ফেলেছে। রাত ই জ্যোৎস্না জোনাকি সব।
রাত কে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে পবিত্র (সতী) হয়ে। সব হিংসের মধ্য থেকে বেছে সব থেকে সুন্দর হিংসাটি ও সে নিচ্ছে না।এমন কিছু নেই যাকে হিংসে করতে পারে। রাত কে ভালোবেসে সে মরে যেতে চায়।
শুন্য শুন্যালয়
ভালোবেসে মরে গেলে চলবে কেমন করে? সুন্দর কিছু পেতে গেলে কস্ট করতে হয়, এ আমি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
বনলতা সেন
ভালুবেসে মরে যেতে চায় যে।
শুন্য শুন্যালয়
এত্তো কঠিন লেখা, কস্ট করে পড়লাম, আর সে মরে যেতে চায় 🙁
শুন্য শুন্যালয়
এতো ভালুবাসা ভালো না।
বনলতা সেন
ভালু না। তবে কি ভালুবাসার গলা চিপে দেব? কড়িকাঠে ঝুলালেও মন্দ হয় না।
শুন্য শুন্যালয়
না না সেকি কথা !!!! ভালুবাসা ভালো। বেশি বেশি ভালুবাসুন। কি খুনি চিন্তা রে বাবা !!!!!
শুন্য শুন্যালয়
এই এইটূকূ লেখাতে কতোগুলো শব্দ পেলাম? জ্যান্ত জ্যোৎস্না, ছেঁকে তোলা ডোরাকাটা রূপসী হিংসে( মানে কি? ), কবর পূর্ণিমা, রাত টাই নাকি জোনাকির বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। 🙁
বনলতা সেন
তাজা(জ্যান্ত) সব কিছুই আমাদের পছন্দ।
মিথুন
কবিতার নাম ‘জোনাকিরা’ কেনো? প্রথম তিনলাইনের সাথে পরের তিন লাইনের কিছু কন্ট্রাডিকশান আছে। কিংবা আমার বোঝার ভুল। কঠিন কিন্তু সুন্দর।
বনলতা সেন
একটি জোনাকি সব জ্যোৎস্না ধরতে পারবে না।অনেক কে লাগবে যে। না বোঝার ভুল নেই।
এরকম ই লিখেছি।
আগুন রঙের শিমুল
জোনাকেরা জোছনার আলো নিয়ে ঘুরে বেড়ায় নাকি সবুজের অরন্যে
বনলতা সেন
হুম, শুধু কী সবুজ অরণ্যে ? আরও কত শত জায়গায় যায় ঘুড়ে বেড়াতে।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রজন্ম ৭১
কবে যে যুদ্ধ বাদ দিয়ে কবিতা বুঝতে শুরু করবো 🙁 তবে তাজা জোছনায় অবগাহনের শান্তি অনেক।
বনলতা সেন
একটু রেষ্ট নিয়ে চারিদিকে চোখ মেলে তাকান।
শরিফুল ইসলাম শরীফ
আমার একটা জাতীয় দোষ আছে আপু,
আমি এরকম মাইকেলীয় ধাঁচের কবিতা বুঝতে পারিনা! এটা আমার কিসের দোষ বলুন তো আপু৷
তবে জোনাক পোকা কইছেন,ঐ টা বুঝতে পারছি৷ আমাদের গ্রামে বাঁশবনের ফাঁকে ফাঁকে টর্চ লাইট নিয়ে ঘুরে বেড়ায়,যেন কিছু একটা খুঁজে৷
কিন্তু কি খুঁজে ওরা,সেটা আল্লাই জানে৷
বনলতা সেন
আপনি লেখায় মন্তব্য দিচ্ছেন তা দেখলেও বিশ্বাস করা কঠিন। ব্যর্থতা একান্তই আমার সুন্দর করে লিখতে পারিনা বলে।
আমিও বুঝতে চাই টর্চ নিয়ে কি খুঁজে ফেরে।
ব্লগার সজীব
ভোরকে ভালোই বেঁধে রাখছেন লেখায় 🙂
বনলতা সেন
উহ্, ভোরকে না ,রাতকে বেঁধেছি লেখায়।
জিসান শা ইকরাম
নির্জন কবর পূর্ণিমায় তরতাজা জ্যোৎস্নাকে পাওয়া যাবেই।
রাতের মাঝেই তো জ্যোৎস্না, জোনাকিরা আসে
দেখি এবং উপলব্দি করি ।
কি বুঝলাম কে জানে ? 🙂
শুভ কামনা।
বনলতা সেন
বোঝায় ডিসর্টাব হইছে। মাস্টর লাগবে।
অপরাজিতা সারাহ
‘নীল স্লিপিং পিলের রাত’ গানটার অনুভুতি যেন ফিরে এল।রাত,জোছনা আর চাঁদ সব মিলেমিশে কেমন ইমোশনাল করে দেয়।ভালো লাগল কবিতা।
বনলতা সেন
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই ,সব সময় কেন পাই না কে জানে ।
উড়ো উড়ো দেখা হলে কোন মজা পাই না।
বন্দনা কবীর
নাহ , আপনার লেখা দেখি পড়তে হবে আরো।
বনলতা সেন
সে আমার অনেক কালের ভাগ্য। অপেক্ষায় থাকলাম।