চিঠিখানা দেখে সমস্ত শরীরের রক্ত চাপলো মস্তিষ্কে। চিঠিটা কপি করে দিলো। সাথে সাথে এটাও লিখে দিলো,,,,

সমুদ্র: গেলেন তবে? ভালো থাকবেন।
আদৃতা বুঝলো আবহাওয়া সুবিধার নয়। মাথা ঠান্ডা করে মিষ্টি মিষ্টি রিপ্লাই।

আদৃতা: কোথায় যাবো তোমাকে ছাড়া। তোমার ঐ বুকটাই আমার আশ্রয়স্থল। তুমিই আমার শেষ ঠিকানা। যদি যেতেই হয়ে ওখানেই যাবো। কে আর আছে আমার বলো তুমি ছাড়া?

আবার কপি পেস্ট,,,,,,

সমুদ্র: আর কি? আর কি প্রয়োজন?
আদৃতা: আমার প্রয়োজন তুমি।
এরপর থেকে একটা পর একটা টেক্সট। কিন্তু কোনো রেসপন্স নেই। পুরো তিন ঘন্টা একটানা চললো একপক্ষের কথন। না কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। কোনো মতেই আর তার রাগ ভাঙাতে পারছে না আদৃতা। নিরুপায় আদৃতা বললো

আদৃতা: আচ্ছা সরি। আর এমন কিছু লিখবো না। এবারের মতো ক্ষমা করে দাও না প্লীজ। কি গো কথা বলো

না এবারেও কোনো কথা বলছে না দেখে আদৃতা রেগে গিয়ে বললো।
আদৃতা: চলে যাবেন ঠিক আছে যান। বলে যেতে পারতেন। এভাবে যাওয়ার কি দরকার? এমনিই সারাদিন একবারও খোঁজ নিতে আসেন না। আর এখন এসেই অভিযোগ। ভালো থাকবেন।

এবার রাগ উগড়ে দিলো সমুদ্র।
সমুদ্র: মেজাজ খারাপ করে দিয়ে এখন আবার জিদ দেখাও। ভুলে যেতে চাও আমাকে ঠিক আছে যাও।
আদৃতা: আরে বাবা তোমাকে ভুলে যাবো কেনো?
ওটা প্রেম শব্দটাকে ডেডিকেটেড করে লেখা। প্রেমিককে নয়। তবুও কিন্তু সরি বলেছি। এতো হার্টলেস মানুষ আপনি? আপনাকে সামালো আমার সাধ্য নয়। আমি যোগ্য নই আপনার।

সমুদ্র: এখনো আপনি? এখনো ঝগড়া করবে? ওকে আল্লাহ হাফেজ।

আদৃতা: ভালো থাকবেন।
প্রায় একঘণ্টা
সমুদ্র: কি গো, কি হলো? আসো
আসো না জান। সরি আমার ভুল হয়ে গেছে।
কি গো কই তুমি? আসো প্লীজ।

আদৃতা: হুম
সমুদ্র: আর রাগ করে থেকো না। আজ সারাদিন মেজাজ তিরিক্ষি হয়ে ছিলো। আবার তোমার এমন লেখা।

আদৃতা: বাইরে ঝামেলা হবে আর তার রাগ ঝাড়বে ঘরে এসে বউ এর উপর?
সমুদ্র: বললাম তো সরি। তা তুমিই বা এমন লিখলে কেনো বলো? এমন লেখা দেখে মাথা ঠিক থাকে?

আদৃতা: আজ অকারণে অনেক কষ্ট দিয়েছো আমায়।

সমুদ্র: সরি।
আদৃতা: থাক আর সরি বলতে হবে না। এমন করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়ে অনেক শাস্তি দিয়েছো। যা হয়ে যাক আর কখনো কথা বলা বন্ধ করে দিও না প্লীজ। আমি সইতে পারি না। নিঃশ্বাস নিতে পারি না। খুব কষ্ট হয়। কোনো কারণে রাগ হলে আমাকে বলো। আমাকেও কথা বলার সুযোগ দিও।

সমুদ্র: জান চলো ঘুমাই এবার ।

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ