গাভীরঙের জোছনা

হালিম নজরুল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২, বৃহস্পতিবার, ১০:০০:২৭পূর্বাহ্ন কবিতা ৮ মন্তব্য

অষ্টপ্রহর পৃথিবীর পায়ে সালাম ঠোকা নারী আমার মা

আমাদের মতোই আদরে লালন করত একটি গাভী।

সে আমাদের এক‌টি পাখি এনে দেবে,

সোনার পেয়ালায় পেয়াবে অনন্ত অমরত্ব।

 

মায়ের শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া রক্তে

আমরা স্নান সারতাম।

আগুনে আমাদের পা পুড়ে যাবে বলে--

তিনি নিজে পোড়াতেন নিজেরই হাত।

 

দুঃখ নামে আমাদের একটা নদী ছিল।

প্লাবনশেষে রোদ এলে ----

আমরা ওম নিতাম মাতৃহাসের পাখার ভেতর।

তখন চিক্ চিক্ করে উঠত খড়ের চাল-মাটির দেয়াল,

বাবার চোখেমুখে তিনশ পয়ষট্টিটি সূর্য।

 

উঠোনে বেড়ে ওঠা লতাগুল্মগুলো বটবৃক্ষ হলে

উধাও হয়ে গেল আলো।

অমাবস্যায় মুমূর্ষু গাভিটি একদিন মায়ের চোখ থেকে উধাও!

 

তার পর থেকে মা আর গাভী পালন করে না,

আমিই সূর্য লালন করি। সে এনে দেয় অনন্ত ঈশ্বর।

  1. আর মায়ের গায়ে হাত বুলিয়ে দেয় গাভীরঙের জোছনা।

 

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ