ক্রিকেট বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করার ক্ষেত্রে অন্যতম। তাঁর পূর্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ভাষণ জাতিসংঘে। আর একটি ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরুস্কারের জন্য।
সর্বশেষ ক্রিকেট খেলায় অন্যতম এতে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব নায়। তাই বলে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠী যেখানে দুইবেলা খাবার জোগাতে নাজেহাল অবস্থা সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া বা সরকারী কোষাগার বা মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীর ভান্ড থেকে ক্রিকেটারদের দেওয়ার একটি সীমা রাখা উচিত।
তেলে মাথায় তেল তেয় প্রধানমন্ত্রী। একটি ফ্লাটই যথেষ্ট একটি পরিবার বা এক ক্রিকেটারের জন্য। পূর্বে পেয়েছে। এই অর্থ দেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে ব্যাবহার করাই কি যুক্তিযুক্ত নয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ায় বাংলাদেশ দলকে এক কোটি টাকা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জয়ী হওয়ায় এক কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবাইকে গাড়ি এবং নির্দিষ্ট একটি আবাসন প্রকল্পে ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অবৈধ আয়ের সরদার দরবেশ দিবেন এক কোটি টাকা। আশে পাশে এই দরবেশের মত ব্যাবসায়ী দলের ও সরকারের জন্য কত ভয়ঙ্কর তা প্রধানমন্ত্রী জানেন। দেশের শেয়ার মার্কেটকে ধ্বংসের অন্যতম এই দরবশ।
আমি বলব তাদের তো অভাব নেয়। রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্তর মানুষ এর জন্য অনেক টাকা প্রধান মন্ত্রী পেয়েছেন কিন্তু পাইনি পংগু ও অসহায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।
মাননীয় প্রধান্মন্ত্রীকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে সন্মান করি ও ভালবাসি দেশের একজন নেত্রী হিসেবে। আমি চাই তিনি দেশের ক্লান্তিকালে দেশের হাল ধরেছেন । তিনি দেশের উন্নয়নে অগ্রজ থেকে দেশের আদর্শিক কাজে অগ্রসর হওয়া। দেশে আজ নিতিবান ও মানবিক উন্নয়নে ক্ষেত্রে অপমান জনক পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে উন্নয়ন অতিব জরুরী।
১৬টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
উৎসাহের জন্য এমন উপহার দেয়ার প্রয়োজন আছে।
একজনকে একটি গাড়িই তো দেয়া হবে, দুইটি নয়।
পোষ্টের অন্য বিষয়ের সাথে সহমত।
মোঃ মজিবর রহমান
ভাইয়া উপহার দেওয়াতে আমার কোন দ্বিমত নাই, কিন্তু দেশের সারবিক অবস্থা বিবেচনা করা দরকার। একটি গাড়ী ও ২টি ফ্লাট যারা একবার পাবে তাদের অন্য গিফট বা অন্য ব্যাবস্থা করা জেতে পারে।
শুভেচ্ছা অবিরত।
সঞ্জয় কুমার
সরকারের সমালোচনা করলে সারাদিনেও শেষ হবে না । । তবে এতটুকু বলতে পারি ওনার মত নেতা বাংলাদেশ আবার আসবে কি না সন্দেহ !!
মোঃ মজিবর রহমান
তাঁর পথ পানে চেয়েই তো আছি দাদা।
কিন্তু ভাবাও … দরকার।
নীলাঞ্জনা নীলা
শত দুঃখ কষ্টের মাঝেও এই ক্রিকেটারগনই আমাদে স্বপ্ন দেখাচ্ছে এখন।একটি জাতিকে পরিচিত করাচ্ছেন বিশ্বব্যাপী।এবারের বিশ্বকাপে দেখুন,অষ্ট্রেলিয়ার দর্শক, বাংলাদেশ টীম কত ভাবে হাইলাইটস করেছেন দেশকে। যারা দেশকে এমন সম্মানের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য কিছু করা অন্যায় নয়।মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা কোটা নিয়েও কিন্তু সমালোচনা করা হচ্ছে।এই পুরুস্কার এর সাথে অন্য কিছুকে জড়ানো উচিৎ না।
মোঃ মজিবর রহমান
আমি উৎসাহ কি শুধুই অর্থ না বিভিন্ন ভাবে, যেমন মাঠে খেলা দেখা, অনুস্থান করে তাদের আপ্যায়ন করা, আমি তাদের অর্থ সাহায্য নিয়েই দ্বিমত করিনি সেটা সীমার মধ্যে এটাই বলেছি আপু।
শুন্য শুন্যালয়
নীলাঞ্জনা আপুর সাথে সহমত ভাইয়া।
ব্লগার সজীব
আমাদের অহংকার ক্রিকেট।যারা দেশকে পরিচিত করছেন,তাদের না হয় একটু বারতি সুবিধা দেয়া হলো।রানা প্লাজা একটি ভিন্ন ইস্যু।এর সাথে ক্রিকেট কে না মেলানোই ভালো।
মোঃ মজিবর রহমান
সজীব ভাই আমি সার্বিক দিক বিবেচনায় বলেছি।
আর মেলাবনা কেন? গরিব অসহায় শুধু মার খায় সারা বিশ্বে………………।
খেয়ালী মেয়ে
মনোবল বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এমন পুরষ্কারের প্রয়োজন আছে….
তবে সেটা সীমার মধ্যে থাকতে হবে..আমাদেরকে আমাদের অবস্থান মনে রাখতে হবে….
মোঃ মজিবর রহমান
তবে সেটা সীমার মধ্যে থাকতে হবে..আমাদেরকে আমাদের অবস্থান মনে রাখতে হবে….
অরণ্য
মোঃ মজিবর রহমান ভাই, আপনার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ আপনাকে অরণ্য ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
সহমত।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
দারুন লিখেছেন মজিবর ভাই।রানা প্লাজার রানারা জামাই আদরে তেলের মাথায় তেল দেয়ার মতোই।
মোঃ মজিবর রহমান
ধন্যবাদ আপনাকে মনির ভাই।