সন্তান এখনো ছোট, বয়স হলে ঠিক হয়ে যাবে। এই প্রবোধে যারা বুক বেধে আছেন তাদের জন্য একটা দুঃসংবাদ অথচ বাস্তব ঘটনা নিয়ে এলাম।

কিশোর অপরাধে জড়িয়ে পড়া 12 বছরের ক্লাশ ফাইভে পড়ুয়া একছাত্র তার দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দতে আদালতে যা বললেন তা শুনে স্তব্ধ হয়ে পড়বেন সকল মা-বাবা। তার বক্তব্য শুনার পড়ে আপনার সন্তানের বিষয়ে যদি আপনি একটু নড়েচড়ে বসেন বা সতর্ক হন তাহলে আমার এই লেখা স্বর্থক বলে মনে করবো।

গত আগষ্ট মাসের কোন এক দিন (দিনটা ইচ্ছা করে লিখিনি), 12 বছরের বালকটি (নাম দিলাম না) দুপুর 12 ঘটিকার সময় তার প্রতিবেশী বন্ধুসহ সমুদ্রের পাড়ে বালুর মাঠে খেলতে বের হলো। মাঠে বন্ধুটি তাকে মোটাইয়্যা মোটাইয়্যা বলে ক্ষেপাতে লাগল, চিমটি কাটতে লাগল এবং এক পর্যায়ে মাকে গলিগালাজ করতে লাগল। ছেলেটি সহ্য করতে না পেলে গলা চেপে ধরল বন্ধুটির। আর এতেই ভিকটিম দম বন্ধ হয়ে মরে গেল। দুই মাসেরও বেশী সময় তদন্তের পরে আসল অপরাধী কিশোর ছেলেটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলো। শ্বাসরোধ করে শুধু মেরেই ফেলে নি বরং তার লাশটি কাধে তুলে নিয়ে সমুদ্রের পানিতে ফেলে দিয়ে আসে। কি মর্মান্তিক ! কল্পনাকেও হার মানায় এই ঘটনা। মাত্র 12 বছরের ছেলের মাথায় এই বুদ্ধি কিভাবে এলা সমুদ্রে লাশ ফেলে দেবার। তার মা-বাবা ভিকটিমের কথা জিজ্ঞাসা করলে সে জানায়, সমুদ্রে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।

লাশ খুজে পাওয়া যায়, সনাক্ত হয়। থানায় অপমৃত্যু মামলা হয় এবং তদন্তের পরে ঘটনার মোটিভ জানা যায়। মামলা চলমান আছে।

সন্তান ছোট, বয়স পড়ে আছে বলে বলে আমরা  যারা নিশ্চিতে থাকি তাদের আরো সতর্ক হতে হবে। সতর্কতার মাইর নাই।

আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। আমিন।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ