কাব্যে প্রণয়ন

প্রদীপ চক্রবর্তী ৯ অক্টোবর ২০২০, শুক্রবার, ০৮:৪০:২১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য

আগমনীর গন্ধ পেলে বুঝি নদীরাও থেমে যায়।
বুকের ভেতরকার জমে রাখা অভিমানের পাহাড় কেমন করে নদীকে সঙ্গ দিবে।
মাঠ জুড়ে ইরিধানের সমাহার আর তার ডগায় ডগায় শারদ শিশির। আগমনী সেই কবে ছুঁয়েছে প্রকৃতির আচ্ছাদিত বিলাসে।

সংসার জীবনে থাকা পাখিরাও সীমান্তভেদ করে ছুটে চলে। পাখিদের মতো যদি আমাদেরও সীমান্ত উন্মুক্ত হতো। তাহলে আমরাও ছুটে চলতাম অজানা থেকে অজানায়। কাব্যপ্রণয়নে সঞ্চয় করে রাখতাম বাংলা বর্ণমালার কিছু প্রিয়তম শব্দাক্ষর।

ভোরের ঝরে পড়া শিউলি দিয়ে সাজাতাম আপন ছন্দের সুর সঙ্গীতে একে অপরের নামের আদ্যক্ষর।

একলা দুপুর,একলা মাঠ সজনেতলার রান্নাবাটি মনে করিয়ে দেয় শরৎ এসেছে।
এ শরৎ মানে আগমনীর গন্ধ। আর শারদপ্রাতে প্রস্ফুটিত কাশফুল।

আমরা তখন মগ্নচৈতন্যে বেলেমাটি দিয়ে পুতুল বানাই।
পাড়ার গাঁয়ে বিকেল হলে সন্ধ্যা নামে।
বনময়ূরীরা পাতাঝরা হিজলের ডালে আবাসন খুঁজে।
আমরা আলোতে সন্ধ্যা মাখি।
যে সন্ধ্যার গোধূলী রঙ গায়ে মেখেছিল গোষ্ঠে ফেরারি রাখাল। যে সন্ধ্যার আরতির আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছিল গোটা পৃথিবীর রূপকথার রাজ্য।
দুজনের অধিকারবোধ আছে বলেই তো এতকিছু।

তুমি অভিমানের পাহাড়ভেদ করে নদীকে আবার চলতে দাও। জমা থাকুক, না হয় আমার প্রতি তোমার দেওয়া শেষ বেলার কিছু আলতো অভিমান।

তুমি গোটা পাহাড়ের সবুজাভ দ্বীপ হয়ে ওঠো।
কথা দিলাম প্রতিটি কাব্যের অলংকার তোমায় নিয়ে সাঁজাবো।
কোন এক গোধূলীমাখা সন্ধ্যার সুর সঙ্গীতে কিংবা আগমনীর কাব্যের অলংকারে।
..
ছবিঃ সংগৃহীত।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ