কাওমি নাকি সমকাওমী??

সনেট ১২ মে ২০১৪, সোমবার, ১০:০০:০২অপরাহ্ন বিবিধ ৫ মন্তব্য

মেডিকেল সাইন্সে পাঁচ বছর ধরে পড়ায় বাংলা আর সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারিনা। তারপরও লিখার ইচ্ছা অনেক। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি তাও যদি ভালো ব্লগার হতে পারি!! আজও এরকমই অগোছালো কিছু লিখলাম।।

আমাদের বাউন্ডারির সাথে লাগানো কাওমি মাদ্রাসা। বাউন্ডারি হয়েছে দুবছর হলো। আগে খোলাই ছিলো। শীতে যখন আমাদের জমিগুলো শুকিয়ে যেতে তখন ওই মাদ্রাসার ছাত্ররা আসত আমাদের জমিতে খেলতে। আমার পাশে পাশে ওরাও ব্যাডমিন্টনের কোর্ট কাটত। আমি কখনো খেলার কাউকে না পেলে ওদের সাথেই খেলতাম। এভাবেই কয়েকজনের সাথে ভালো বন্ধুত্ব হয়।

একদিন তাদের মধ্যে একজন নতুন ছেলে কাঁদো কাঁদো ভাবে বসে ছিলো।
আমি জিজ্ঞেস করলাম, "কি হয়েছে?? বাড়ির কথা মনে পড়ছে??"
সে বললো, "না"
তাহলে কেন জানতে চাইলে সে যা বললো তাতে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।।।।

সে বললো, "ভাইয়া, আমি আরর এখানে থাকতে চাই না।ওরা বলেছে আজকে আমার পালা। জানেন! এখানে যারা নতুন আসে তাদের বড়দের খাওয়াতে হয়।।"
কিছু বুঝে প্রশ্ন করার আগেই বলে উঠলো,
"এই খাওয়া সেই খাওয়া না। নিজেকে খাওয়াতে হয়। মানে সিনিয়ার ছাত্ররা জুনিয়ারদের ভোগ করবে। যৌন চাহিদা মেটাবে।"
আমার গাঁয়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো।।।
"ওরা বলে যখন ওরা এসেছিলো তখন ওদেরও নাকি খাওয়াতে হয়েছিলো। আমরা বড় হলে নাকি আমাদেরও সুযোগ হবে। এভাবেই চলছে। আমি এখানে থাকতে চাই না।"

আমার বলার ভাষা ছিলো না।।

এই ব্যপার টা নিয়ে whatsapp এ কথা হচ্ছিলো। আমার এক whatsapp ফ্রেন্ড বললো, "ভাই আমিও এর ভিক্টিম। ওয়াজ করার জন্য এক হুজুরকে আনা হয়েছিলো। রাতে আমার সাথে থাকতে দিয়েছিলো। আমাকে কৌশলে অনেক কিছু করার চেষ্টা করেছিলো। বড় বলে কিছু করতে পারে নি। ছোট হলে না জানি কি হত!!"

আরেকজন বললো, "ভাইয়া আমিও এই টাইপের ভিক্টিম। মেয়ে হলে কেস করতে পারতাম। কিন্তু ছেলে বলে করিনি। নিজের মান সম্মান এর ব্যপার।।"

গত রোজায় তারাবীহ পরে যাওয়ার সময় আমাদের পাশের পাড়ার এক নয় বছরের ছেলেকে রেপ করে এই মাদ্রাসারই এক বড় ছাত্র।। ব্লিডিং বন্ধ না করতে পারে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়। পরে তার ২০হাজার টাকা এবং ২০টি বেত্রাঘাত সাজা দেওয়া হয়।।

মেডিকেল এর বিভিন্ন সেমিনারে বলা হয় দেশের সবচেয়ে বেশি সমকাম করা হয় কাওমি মাদ্রাসা, বি ডি আর এর মধ্যে।।
এবার বোঝেন ঠ্যালা।।

আসলে এদের এত ছোট বয়সে এত বেশি যৌনতা বোঝানো হয় যে তার নেগেটিভ প্রভাব পরে।। সবকিছুরই একটা লিমিট আছে। এই লিমিট ক্রস করেই ভুল করেন মাদ্রাসার বড় হুজুররা।। বাচ্চাদের শিক্ষা বাচ্চাদের মতই হওয়া উচিৎ। এছাড়া নুন্যতম চিত্ত বিনোদন, বিশ্ব সম্পর্কে জানতে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষিক শান্তি দিলেও এসব কিছুটা কমবে।।
আর এভাবে অন্ধকারে রাখলে এমন আরো বেড়েই যাবে।। হাফেজদের সম্মান তারা নিজেরাই নষ্ট করবে...

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ