আপনার যে পরিমান সামর্থ্য আছে তাই নিয়েই হয়ে যান একজন উদ্যোক্তা , কর্ম খোঁজা নয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুন : যেকোনো কাজে উদ্যোগ নেওয়া ও উদ্যোক্তা হওয়ার মাঝে অনেক কিছুই অর্জন করার আছে , এখানে আপনি শিখবেন মানুষ আপনাকে কত ভাবে ঠকাতে পারে ! আপনি শিখবেন আপনার অধিনস্তরা কীভাবে আপনাকে ফাকি দিচ্চে।
প্রতিনিয়ত আপনাকে টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন পলিছি গ্রহন করতে হবে এবং সে অনুসারে সামনে এগিয়ে জেতে হবে । আপনার সামনে মাঝে মাঝে অপার সম্ভাবনা আবার অনেক হতাশা দেখা দিবে আপনাকে তা বুদ্ধি ও বাস্তবটার নিরিখে বিচার করে সিধান্ত নিতে হবে ।
একটি কর্ম ক্ষেত্র তৈরি করতে পারাতে অনেক আত্মতুষ্টি ও আনন্দ আছে তা যে পরিসরেই হোক না কেন ? আপনি হয়ত প্রথমে অনেক বড় কিছু করতে না পারলেন সেটা ছোট হলে হলে আপনাকে যে অভিজ্ঞতা দিবে তা পরবর্তীতে অনেক কাজে লাগবে।
আপনার কাজের স্বাধীনতা থাকবে এখানে সাথে ইচ্ছার ও । আপনি এইখানে নেতৃত্ব দিবেন যা আপনার অনেক গুলি গুণের মাঝে ঠাই করে নিবে । আমি মনে করি আপনি যে অবস্থায় যেখানেই থাকেন না কেন আপনার ও উচিত একজন উদ্যোক্তা হওয়া ।
এক্ষেত্রে আপনার মূলধন থাকলে ভাল কথা না থাকলেও হতাশার কিছু নেই আপনার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেকেই আছেন সেক্ষেত্রে আপনার কর্ম , আপনার উদ্দেশ্য , আপনার বাক্তিত্ত সব কিছুরই স্বচ্ছতা ও গ্রহন যোগ্যতা থাকতে হবে । উদ্দেশ্য হতে হবে সৎ এসকল বিষয় গুলি আপনার মাঝে থাকলে কোন প্রতিবন্ধকতাই আপনাকে রোধ করতে পারবেনা।
আজ এ পর্যন্তই ভাল থাকবেন সবাই । আল্লাহ্ হাফেয
১৫টি মন্তব্য
কৃষ্ণমানব
উপদেশ ভালোই দিয়েছেন ।
আশা করা যায় , কারো কাজে লাগবেই. . .. . .
যে কোন কিছু করার পূর্বে যেমন প্রয়োজনীয় সাপোর্ট লাগে :v !!
ঐটাও তেমন ।
এমন লেখা আশা করি আরো পাবো 🙂
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
ভাই আমরা অযথা চাকরীর পিছে দৌড়াই । আমাদের আসে পাশে অনেক সম্পদ আছে , অনেক সুযোগ আছে যে খান থেকে আপনি ছোট পরিসরে কাজ শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন । আপনি সামাজিক বাবসা ও শুরু করতে পারেন জনসেবা সাথে টাকা আয়
জিসান শা ইকরাম
গুড পোষ্ট।
আমার ভাবনাও এমন।
শুভ কামনা।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আমি ৬ জনের কর্মসংস্থান করেছি
ব্লগার সজীব
সহমত। থিংক পজেটিভ।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আমাদের অবশ্যই এমনটা ভাবতে হবে ।
কৃন্তনিকা
খুবই যুগোপযুগি পোস্ট।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আত্মনির্ভরশীলতা একটা উপভোগের বিষয় ।
মিজভী বাপ্পা
একমত পোষণ করছি 🙂
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
ধন্যবাদ । তাহলে কাজে লেগে যান
খেয়ালী মেয়ে
দেখি কাজে লাগানো যায় কিনা.. 🙂
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
অবশ্যই
বন্য
সুন্দর পোষ্ট, গুড জব!!
“তবে মূলধন না থাকলেও আপনার পাশে দাঁড়ানোর মত অনেকেই আছেন” বিষয়টির সাথে একমত হতে পারলাম না। সদ্য শিক্ষাজীবন থেকে বের হওয়া একজনের জন্য এটি অনেক কঠিন একটি বিষয়। আমি বুঝতে পারিনি আপনি বলেছেন “অনেককেই পাশে পাবেন” এই “অনেককে” বলতে কাদের বুঝিয়েছেন? একটু খুলে বললে বিষয়টি স্বচ্ছ হত আমার কাছে। ভাল থাকুন।
নাটোর শূন্য কিলোমিটার
আমার গল্পটি বলি , আমি অনার্স ১ম বর্ষে এক বড় ভাইয়ের কাছে গেলাম বললাম ভাই আমার কিছু একটা করা লাগবে তিনি আমাকে বুদ্ধি দিলেন একটা কোচিং ওপেন কর , আমার জায়গা ছিল না, নগদ কিছু বলতে একটা মোবাইল আর একটা সাইকেল ছিল । তিনি একটা স্কুল ও একটি হাসপাতালের পরিচালক । আমি বললাম জায়গা দরকার তিনি স্কুলের এক সেট চাবি দিয়ে বললেন যাও শুরু কর । পরের দু দিনের মধ্যে মোবাইল সাইকেল বিক্রি করে ব্যানার, পোষ্টার , মাইকিং করলাম ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিলাম । এভাবে শুরু তার পরে অনেক মাস ভাড়া দেই নি, ভাই কখনো এমন কি আজ পর্যন্ত চায়নি । বলছে আগে তুমি চল তার পরে আমাকে দিও। শুরুটা আমার অনেক খারাপ কাটছে হতাশ হইনি । এই যে ভাইয়ের কথা বললাম তিনি আমার আপন কে উনা এলাকায় থাকেন । এতো টুকুই । তার কাছে থেকে কারিকুলাম নিয়ে আমি আর কয়েকজন কে সাথে নিয়ে শহরের বাইরে ২ টা কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি । সেখানে প্রায় ১৬ জনের মত কাজ করছে । আমার কোচিং টাও এখনো আছে সেখানে নিয়মিত ৬ জন অনিয়মিত ৩ জন শিক্ষক আছেন । গত মাসে আমার কোচিং এর ৪র্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনকালে অন্য একজন কে পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে আমি চলে আসলাম ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখা ও মন্তব্য পড়ে আপনার অদম্য প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। যদিও সব সময় দু’য়ে দু’য়ে চার হয়ত
হয়না ।তবুও অসাধ্য ও নয় অনেক কিছুই ।