ইদানীং –বোধ কাজ করে

বন্যা লিপি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার, ০৩:৫৫:০৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ২৯ মন্তব্য

ইদানীং একেবারেই ঘুম হচ্ছে খুবই কম। ডাক্তারের দেয়া মাথা ঠান্ডা রাখার ঔষধ খুব কম নেয়া হয়। নিতে হবে। খুব অল্পতেই চটে যাওয়া মানুষ আমি।ইদানীং চটতেও ভুলে যাচ্ছি। আশেপাশের মানুষের ভীড়ে বড্ড একা লাগে। হাজারো রকম কথাদের ভীড়ে আমার ক্রোধ বাড়ে।বাড়ে অসহায়ত্ব। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি আসলে কেমন? প্রিয় ডায়লগ একখানা প্রায়ই প্রায় মানুষকে শোনাই।* আমি এমনই* কেউ প্রশ্ন করে-' আপনি এমন কেন? কেমন যেন!'
-আপনার কি মন খারাপ?
আমিঃ মন? মন কি আবার?
তার আবার খারাপ ভালোই কি?
--মনের ওপর এত রেগে গেছেন? মন কি করলো?
আমিঃ মন নিয়ে ভাবাবাবি বন্ধ।বাদ দেন।
--সত্যি?এও সম্ভব?
আমিঃ সম্ভব।প্রমানিত।
--আমমমমমমম- মানুষ যে তার তো মন আছে!
আমিঃ বাদ সব।ভাবের কথার দাম নাই।
বৈচিত্রের বিচিত্রতায় হরদম পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের প্রেম,ভালবাসা,আবেগ,ক্রোধ,হিংসা,জিঘাংসা,ক্রমান্বয়ে উষ্ণায়নের ধাক্কায় বিলুপ্ত হচ্ছে সুস্থ্য মস্তিষ্কের সুস্থ্য চিন্তা।প্রয়োজন তবুও...! তবুও প্রয়োজন মস্তিষ্কপ্রসূত সামলে চলা গতির প্রভাব। সহজ সময় বলতে কখনোই কিছু ছিলোনা, নেই,থাকেওনা। থাকতে হয় মেধা। হ্যাঁ...মেধা সম্পন্ন বোধ। বোধটুকু বড় দামী। একা ভাবলে চলে? ছোঁয়াচে রোগের মতো হতে হয় পারস্পরিক বোধ। বুঝতে হয় বোধ এর মেধা।
" মাথার ভেতর কোনো এক বোধ কাজ করে, আমি পারিনা তাকে এড়াতে। সে আমার হাতে রাখে হাত"

হোক না হাতে হাত রাখার মতো বোধের ছোঁয়াচে রোগ!
আমি বলে যাই আমার কথা। আমি গ্যাঁট হয়ে থাকি আমার একমাত্র কথার সিদ্ধান্তে। ভেবে বলি, না ভেবে নয়। তোমার/তোমাদের বুঝতে কেন সমস্যা হয়? মেনে নেয়া /মানিয়ে চলা এক নয়।বোধ থাকতে হয়। সময়কে সময় দেয়া যায়না। সময়কে ব্যাবহার করতে জানতে /শিখতে হয়।মেধা কাউকে কেউ ঋন দিতে জানেনা। মেধাবী হতে ইচ্ছে থাকতে হয়।
মন; না থাকলে চলেও না: সত্য।কঠিন সত্য। মনেই বসবাস চাওয়া না চাওয়ার রহস্য।

ইদানীং কিছুই লিখতেও পারছিনা। অথচ কেউ কেউ খুঁড়ে যাচ্ছে..... "আজ একটা একটা লেখা লিখে ফেলুন না!"
চেষ্টা চালাতেও চেষ্টা করতে পারছিনা।
কেউ চাইছে, একটা গান লিখে দিন আমাকে, সুর কন্ঠ আমি দেবো গিটারে"
মাঝে মাঝে ভাবি: কেউ কেউ কত কত এক্সেপটেশন রাখছে এই আমায় নিয়ে?

এক্সেপটেসন!!
এখানেই ভাবনারা গতি পরিবর্তন করে আমার মস্তিষ্কে; ফিরে যাই পেছনদিকে।
ভাবা যায়? মেয়েটা এমন হবে,অমন হবে, সাধু হবে,শান্ত হবে, নিরব থাকবে,কথা কম বলবে, উঁচু আওয়াজ করবে না, বেশি মানুষের সাথে মিশবে না, ছেলেদের সাথে কথা বলা, বন্ধুত্ব থাকবে না, যেখানে সেখানে যখন তখন যাবেনা, ঘরের কাজে মন লাগাতে হবে, পড়াশুনা ঠিকঠাক মতো করতে হবে, ছোট ছোট ভাই-বোনের বড় হয়ে দেখাশুনা করবে, লক্ষী পয়মন্ত হয়ে চলবে, কোনো কথার প্রতিবাদ চলবে না, ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকতে পারবে না....ইত্যাদি ইদ্যাদি ইত্যাদি.... তালিকা লম্বা হতে হতে লম্বাই হতে থাকবে শুধু। পরের ঘরেও সেই একই চিত্র! এক্সেপেকটেসন!!
ঘরের বউ কেমন হবে! যেমন চাইবো তেমন হবে। সন্তান বড় হলে, একই.... চিত্রের রং বদলায় না।কালের গর্ভে ফ্যাকাসেও হয়না।
এক্সেপটেসনের সিঁড়িতে খাড়া বেয়ে উঠতে না পারলেও, নিজের মতো ঠাঁয় দাঁড়ানো কতটা দৃঢ়তা আর বাঁকা চোখের চাহনী মন থেকে সরিয়ে রাখতে হয় মনেরই জোড়ে।
তাহলে মন নামক বস্তুটা নেই বলে কি আত্মপ্রবঞ্চনার আশ্রয় নেয়া হয়ে গেলো না?
হতেই পারে! অস্বাভাবিক বলেও তো কিছু নেই!

গোলমেলে সময়ের গোলমেলে ভাবনারা বড্ড বেশি জোকারের মতো আচরন করে।

ইদানীং ; এই শব্দটা দিয়েই শুরু করা যেতে পারে হাজারো বিষয় নিয়ে ময়নাতদন্ত! কিন্তু আসলে তদন্ত শেষে কি কোনো মনপুতঃ ফলাফল পাওয়া যাবে? যায় পাওয়া? পাওয়া গেলে বোঝা যেত মেধাও কাজে লাগে!
কি মারাত্মক কথা তাইনা? *মেধাও কাজে লাগে* মেধা এখন কি কাজে কে কোথায় কেমন করে কাজে লাগাচ্ছে?
হবেই বা কি এতসব ভেবে? যা হবার তাই হয়! যা হবার না তাও হয়! হয়ই তো! হচ্ছে তো!।
স্বস্তি,শান্তি, সাধনা, হাসি,কান্না,বিষন্নতা,আবেগ, প্রেম, টান,দরদ, সমঝোতা, আত্মিকতা,..... সে এক বোধ* এর নাম।

কেউ কেউ যখন বলে, আপনার লেখা আমার ভালোলাগে, ভয় হয়।হ্যাঁ ভয় হয়। এক্সপেকটেসন বাড়ার ভয়! ইচ্ছের কলমে কালি বড্ড জড়তায় থাকে। সেই ভয়কে জয় করার সাহসটাই এখন বড্ড প্রয়োজন।
প্রয়োজন এক প্রচন্ড বোধএর। চাই সময়।

সময় বড় মহাজন*

নোটঃ এলোমেলো মনে হতেই পারে।একটু ভেবে দেখার মতো সময়ের প্রয়োজন মাত্র। শুভস্য।

0 Shares

২৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ