গণসমর্থন পেয়ে গেলে প্রেমিকাও হয়ে উঠে অহংকারী।
আমি রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা-
আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসায়।

রাজনীতি মূলত প্রথমে ভাঙে-
ভাগ্য ভাল হলে ভেঙে নতুন কিছু করে কিংবা করায়।
পৃথিবীকে বদলে দেয়ার নামে যে রাজনীতি এখন চোখে দেখা যায়,
তা শুধুই চোখের দেখা, পৃথিবী বদলে গেছে ঠিকি-
কিন্তু, এই বদলে যাওয়া কল্যাণের চেয়ে বেশি অকল্যাণ জন্ম দিয়ে চলেছে দিনের পর দিন।

রাজনীতি পৃথিবীর মানচিত্রে কাঁটা তারে এঁকে দিয়েছে বিভক্তি-
স্থাপন করেছে মৃত্যু ফাঁদ সীমানায় সীমানায়।
ভালোবাসার বদলে বুকে ফুটিয়েছে ঘৃণা,
হাতে তুলে দিয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ।
প্রেমিকার মুখ না চিনিয়ে, চিনিয়ে দেয় জাত-
হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ অথবা খ্রিস্টান ।

রাজনীতি আমি বিশ্বাস করিনা-
রাজনীতির নামে যা দেখতে পাওয়া যায়
তা কেবল ক্ষমতা নিশ্চিত করানোর একটা পরিকল্পিত পন্থা মাত্র।

হে মানব জাতি, তোমরা চেয়ে দেখো
ভালোবাসা ভাঙেনা কোন কিছু কখনো
ভালোবাসা মানুষকে শুদ্ধ করে তুলে-
নিম্নতম অশুদ্ধের পাহাড় থেকে।

ভালোবাসা জাত-ভেদ ভুলে গিয়ে
সংসার করতে শেখায় দুটো নর নারীকে।
ভালোবাসা প্রতিটি মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়।
ভালোবাসা মুছে দিতে পারে অবলীলায় ঐ রাজনীতির হিংস্র বর্ডার,
যেখান থেকে ছুটে আসে মানুষের দিকে মৃত্যুর বুলেট।

অথচ ঐ আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বৈঠকে প্রস্তাবিত হয়
অজস্র মানব জীবন উন্নয়ন আর মানব জীবন রক্ষার নামে নানা সিদ্ধান্ত ।

এসব সিদ্ধান্তের কথা যখন পত্রিকার পাতায় পাতায় বড় করে ছাপানো হয়,
তখন আমি চোখ বন্ধ করে দেখি সিমান্তের কাঁটা তারে ঝুলন্ত সেই ফেলানীর লাশ।
দেখি যুদ্ধাহত দেশের প্রতিটি অসহায় নারী- পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা আর শিশুর করুণ অশ্রু ভেজা মুখ।
বন্ধ চোখে দেখি খেতে না পাওয়া মানুষের সেসব জীবন্ত লাশ।

আমি রাজনীতি বিশ্বাস করিনা।
আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসায়।
হে মানব জাতি, তোমরা ভালোবাসতে শেখো-
রাজনীতির বহু ঊর্ধ্বে ভালোবাসা।
যেমন মাটির শরীর থেকে ঐ হিমালয় পর্বতশৃঙ্গ।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ